আণবিক বিজ্ঞানী ড. রেজাউর রহমান আর নেই।
রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
ল্যাবএইড হাসপাতালের পরিচালক (হাসপাতাল) ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, ড. রেজাউর রহমান গত ১৩ অক্টোবর বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এনজিওগ্রাম করার পর দেখা যায়, তাঁর রক্তনালী বন্ধ হয়ে গেছে, যা স্টেন্ট বসিয়ে খোলা সম্ভব ছিল না। এ কারণে ১৫ অক্টোবর তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়।
অপারেশন সফল হলেও বয়সজনিত কারণ এবং বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় তিনি পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত রোববার সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
১৯৪৪ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন রেজাউর রহমান। ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞানে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৬৬ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে বিজ্ঞানী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সাভারের আণবিক শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের খাদ্য ও বিকিরণ জীববিদ্যা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর গবেষণার মূল ক্ষেত্র ছিল কীটপতঙ্গের উপর তেজস্ক্রিয়ার প্রভাব।
বিজ্ঞানের পাশাপাশি লেখালেখিতেও সক্রিয় ছিলেন ড. রেজাউর রহমান। বিজ্ঞানবিষয়ক পাঠ্যবইসহ একাধিক গ্রন্থ এবং নানা প্রবন্ধ রচনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি সাহিত্যচর্চায় যুক্ত থেকে বেশ কিছু উপন্যাস ও গল্পও লিখেছেন।
বিজ্ঞান ও সাহিত্য উভয়ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন এই বিজ্ঞানী।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
আণবিক বিজ্ঞানী ড. রেজাউর রহমান আর নেই।
রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
ল্যাবএইড হাসপাতালের পরিচালক (হাসপাতাল) ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, ড. রেজাউর রহমান গত ১৩ অক্টোবর বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এনজিওগ্রাম করার পর দেখা যায়, তাঁর রক্তনালী বন্ধ হয়ে গেছে, যা স্টেন্ট বসিয়ে খোলা সম্ভব ছিল না। এ কারণে ১৫ অক্টোবর তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়।
অপারেশন সফল হলেও বয়সজনিত কারণ এবং বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় তিনি পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত রোববার সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
১৯৪৪ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন রেজাউর রহমান। ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জীববিজ্ঞানে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৬৬ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে বিজ্ঞানী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি সাভারের আণবিক শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের খাদ্য ও বিকিরণ জীববিদ্যা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। তাঁর গবেষণার মূল ক্ষেত্র ছিল কীটপতঙ্গের উপর তেজস্ক্রিয়ার প্রভাব।
বিজ্ঞানের পাশাপাশি লেখালেখিতেও সক্রিয় ছিলেন ড. রেজাউর রহমান। বিজ্ঞানবিষয়ক পাঠ্যবইসহ একাধিক গ্রন্থ এবং নানা প্রবন্ধ রচনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি সাহিত্যচর্চায় যুক্ত থেকে বেশ কিছু উপন্যাস ও গল্পও লিখেছেন।
বিজ্ঞান ও সাহিত্য উভয়ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন এই বিজ্ঞানী।