ইরাকের ইরানপন্থি সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের (পিএমএফ) সামরিক ঘাঁটির একটি কমান্ড পোস্টে বিমান হামলা হয়েছে। শুক্রবার রাজধানী বাগদাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের কালসো সামরিক ঘাঁটিতে এই হামলা হয়েছে। ইরাকের দুটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই সূত্র বলেছে, হামলার পরপরই সামরিক ঘাঁটির কমান্ড পোস্টে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। বিমান হামলার কারণে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তারা।
কালসো সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলায় পিএমএফের এক যোদ্ধা নিহত ও আরও ছয়জন আহত হয়েছেন বলে পার্শ্ববর্তী হিল্লা শহরের একটি হাসপাতালের দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে পিএমএফ বলেছে, বিস্ফোরণে বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি এবং কয়েকজন আহত হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ইরাকের ওই দুই নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, বিমান হামলার সাথে কারা জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ইরাকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর কোনও তৎপরতা নেই।
এর আগে, গত শনিবার ইসরায়েলি ভূখণ্ডে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এই হামলার জবাবে শুক্রবার ইরানের ইসফাহান শহরে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইরাকের বিভিন্ন শিয়া মতাবলম্বী ইরান-পন্থি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সমন্বয়ে পিএমএফ গড়ে তোলা হয়েছিল। পরে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে রাষ্ট্রায়ত্ত নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইরাক। গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে গত কয়েক মাস ধরে ইরাকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওপর ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়ে আসছে পিএমএফের সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। তবে গত ফেব্রুয়ারির শুরুর দিক থেকে মার্কিন বাহিনীর অবস্থানে হামলা বন্ধ করেছে পিএমএফ।
অর্থ-বাণিজ্য: এনইআইআর চালু ১ জানুয়ারি পর্যন্ত
অর্থ-বাণিজ্য: সোনার দাম ভরিতে আরও দেড় হাজার টাকা বাড়ছে
অর্থ-বাণিজ্য: ২৪ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা
অর্থ-বাণিজ্য: পাঁচ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন পৌনে ১২ শতাংশ