বঙ্গভবন থেকে ‘শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্টের পর খন্দকার মোশতাক বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তিনি আবার শেখ মুজিবের ছবি পুনঃস্থাপন করেছিলেন।’
রিজভী বলেন, ‘আজকে আমি খবরে পড়েছি, বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। দেখুন…সময় তো সবসময় একরকম যায় না। ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান আছে, সেটা থাক। আমরা স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক অন্যায়, দুঃশাসন দেখেছি। তারপরও তো সে ছিল। তার ছবিটা ছিল।’
‘আমি মনে করি, তার ছবিটা নামিয়ে ফেলাটা উচিত হয়নি,’ জানান রিজভী।
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন নিয়োগ পাওয়া উপদেষ্টা মাহফুজ আলম রোববার শপথের পর জানান বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে।
বঙ্গভবনের দরবার হলে দাঁড়ানো নিজের ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করে মাহফুজ লিখেন, ‘৭১-পরবর্তী ফ্যাসিস্ট নেতা মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। এটা আমার জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রর্থী। কিন্তু মানুষের মধ্যে জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তার ছবি কোথাও দেখা যাবে না।’
এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর আজ প্রতিক্রিয়া জানালো বিএনপি, যাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক। শেখ হাসিনার শাসনামলে শেখ মুজিবুর রহমানকে সংবিধানে জাতির পিতার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
আজ বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনে, জাতীয় ইতিহাসের আন্দোলনে তার (শেখ মুজিব) কতটুকু অবদান, সেটা স্বীকার করা হোক। আমরা আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণ নই। আমরা ছোট মনের না। সেজন্যই বলছি, শেখ মুজিবের ছবি নামানো উচিত হয়নি।’
মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
বঙ্গভবন থেকে ‘শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্টের পর খন্দকার মোশতাক বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তিনি আবার শেখ মুজিবের ছবি পুনঃস্থাপন করেছিলেন।’
রিজভী বলেন, ‘আজকে আমি খবরে পড়েছি, বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। দেখুন…সময় তো সবসময় একরকম যায় না। ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান আছে, সেটা থাক। আমরা স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের অনেক অন্যায়, দুঃশাসন দেখেছি। তারপরও তো সে ছিল। তার ছবিটা ছিল।’
‘আমি মনে করি, তার ছবিটা নামিয়ে ফেলাটা উচিত হয়নি,’ জানান রিজভী।
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন নিয়োগ পাওয়া উপদেষ্টা মাহফুজ আলম রোববার শপথের পর জানান বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে।
বঙ্গভবনের দরবার হলে দাঁড়ানো নিজের ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করে মাহফুজ লিখেন, ‘৭১-পরবর্তী ফ্যাসিস্ট নেতা মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। এটা আমার জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রর্থী। কিন্তু মানুষের মধ্যে জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তার ছবি কোথাও দেখা যাবে না।’
এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর আজ প্রতিক্রিয়া জানালো বিএনপি, যাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক। শেখ হাসিনার শাসনামলে শেখ মুজিবুর রহমানকে সংবিধানে জাতির পিতার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
আজ বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনে, জাতীয় ইতিহাসের আন্দোলনে তার (শেখ মুজিব) কতটুকু অবদান, সেটা স্বীকার করা হোক। আমরা আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণ নই। আমরা ছোট মনের না। সেজন্যই বলছি, শেখ মুজিবের ছবি নামানো উচিত হয়নি।’