ভারতের ত্রিপুরার উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তারা এই ঘটনাকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গন এবং জাতিসংঘে বিষয়টি উত্থাপনের দাবি জানিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, "হাইকমিশনে হামলা রাষ্ট্রীয় মর্যাদার ওপর আঘাত। এ ঘটনায় শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।" ভারতের উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর প্রতি সতর্ক বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, "সীমান্তে আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে জনগণ প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হবে।" সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে উসকানিমূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ছয় দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো:
১. ভারতের সঙ্গে অসম ও পরিবেশবিরোধী চুক্তি বাতিল।
২. নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা।
৩. দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা।
৪. হিন্দু, বৌদ্ধসহ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার।
৫. পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা।
৬. শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের আওতায় আনা।
নতুন কর্মসূচি:
ডিসেম্বর মাসজুড়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ‘বিজয় যাত্রা’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন জানান, চলতি মাসে দেশের প্রতিটি থানা ও উপজেলায় কমিটি ঘোষণা করা হবে। এছাড়া প্রবীণ নাগরিকদের পরামর্শ গ্রহণে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতের ত্রিপুরার উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তারা এই ঘটনাকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গন এবং জাতিসংঘে বিষয়টি উত্থাপনের দাবি জানিয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, "হাইকমিশনে হামলা রাষ্ট্রীয় মর্যাদার ওপর আঘাত। এ ঘটনায় শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।" ভারতের উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর প্রতি সতর্ক বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, "সীমান্তে আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে জনগণ প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হবে।" সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে উসকানিমূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ছয় দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো:
১. ভারতের সঙ্গে অসম ও পরিবেশবিরোধী চুক্তি বাতিল।
২. নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা।
৩. দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা।
৪. হিন্দু, বৌদ্ধসহ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার।
৫. পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা।
৬. শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের আওতায় আনা।
নতুন কর্মসূচি:
ডিসেম্বর মাসজুড়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে ‘বিজয় যাত্রা’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন জানান, চলতি মাসে দেশের প্রতিটি থানা ও উপজেলায় কমিটি ঘোষণা করা হবে। এছাড়া প্রবীণ নাগরিকদের পরামর্শ গ্রহণে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।