উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু খালাস পাওয়ার পর দীর্ঘ ১৭ বছর কারাভোগ শেষে কারামুক্ত হলেন।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে মুক্তি পান। তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন।
জেল সুপার আল মামুন বলেন, সোমবার জামিনের কাগজ পত্র কারাগারে আসলে যাচাই বাছাই ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার বেলা ১১ টার কিছু পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এসময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির এই নেতার মুক্তির খবরে সকাল থেকেই কারা ফটকে শতশত নেতাকর্মীরা ভীড় জমান। পরে তিনি বেলা ১১ টার সময় পরিবারের সদস্যদের সাথে কারাগারের মূল ফটক দিয়ে বের হয়ে যান। এসময় শতশত নেতাকর্মীদেরকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান কারামুক্ত বিএনপির ওই নেতা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, কারগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি সরাসরি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে যাবেন পিন্টু। পরে সেখান থেকে নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবেন।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, রাজধানী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ৪ শতাধিক। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৮ সালের ১০ই অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে।
গত ১ ডিসেম্বর ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতের দেয়া রায়কে অবৈধ বলে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্জ এ রায় ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত আব্দুস সালাম পিন্টু ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর- ভূঞাপুর) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পর থেকেই তিনি কারাগারে আটক ছিলেন।
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু খালাস পাওয়ার পর দীর্ঘ ১৭ বছর কারাভোগ শেষে কারামুক্ত হলেন।
আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ থেকে মুক্তি পান। তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন।
জেল সুপার আল মামুন বলেন, সোমবার জামিনের কাগজ পত্র কারাগারে আসলে যাচাই বাছাই ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার বেলা ১১ টার কিছু পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এসময় তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির এই নেতার মুক্তির খবরে সকাল থেকেই কারা ফটকে শতশত নেতাকর্মীরা ভীড় জমান। পরে তিনি বেলা ১১ টার সময় পরিবারের সদস্যদের সাথে কারাগারের মূল ফটক দিয়ে বের হয়ে যান। এসময় শতশত নেতাকর্মীদেরকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান কারামুক্ত বিএনপির ওই নেতা।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, কারগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি সরাসরি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে যাবেন পিন্টু। পরে সেখান থেকে নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবেন।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, রাজধানী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ৪ শতাধিক। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৮ সালের ১০ই অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে।
গত ১ ডিসেম্বর ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতের দেয়া রায়কে অবৈধ বলে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্জ এ রায় ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত আব্দুস সালাম পিন্টু ১৯৯১ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর- ভূঞাপুর) আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গ্রেফতার হন। গ্রেফতারের পর থেকেই তিনি কারাগারে আটক ছিলেন।