দ্রুত নতুন কমিটি গঠন ও সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে
মাগুরা জেলা বিএনপির আওতাধীন সব উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। বুধবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। মঙ্গলবার রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ ও সদস্যসচিব মনোয়ার হোসেন খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি আনতে এবং নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এসব ইউনিটে নতুন কমিটি গঠন করার কথা জানানো হয়েছে।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিলুপ্ত কমিটিগুলো বেশিরভাগই ২০১৮ সাল বা তারও আগে গঠিত হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এসব কমিটির কার্যক্রম স্থবির ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর মাগুরা জেলা বিএনপির ১১ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তাদের প্রথম বড় সাংগঠনিক পদক্ষেপ।
মাগুরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুকুজ্জামান বলেন, "সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন আমরা জেলার ছয়টি ইউনিটের (উপজেলা ও পৌরসভা) জন্য আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
তিনি আরও জানান, এই ইউনিটগুলো নতুন করে গঠিত হওয়ার পর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপরে সম্মেলন আয়োজনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মাগুরার দলীয় কার্যক্রমে নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে। দীর্ঘদিন ধরে স্থবিরতা কাটিয়ে দলের কার্যক্রমে নতুন দিশা এনে দলকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে নতুন আহ্বায়ক কমিটি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলার কমিটি পুনর্গঠন এবং নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে। মাগুরার ক্ষেত্রেও এই সিদ্ধান্তের প্রতিফলন দেখা গেছে। স্থানীয় পর্যায়ে নতুন কমিটি গঠনের পর জেলা কমিটির কাজ আরও সুসংগঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা ও দলীয় কোন্দল এড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। স্থানীয় ইউনিটগুলোর নেতৃত্বে নতুন মুখ আনা এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা দলকে শক্তিশালী করার জন্য জরুরি।
মাগুরা জেলা বিএনপির এই পদক্ষেপে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন গতিপ্রকৃতি দেখা যেতে পারে। তিন মাসের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন এবং সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এটি মাগুরা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
দ্রুত নতুন কমিটি গঠন ও সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
মাগুরা জেলা বিএনপির আওতাধীন সব উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। বুধবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। মঙ্গলবার রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ ও সদস্যসচিব মনোয়ার হোসেন খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি আনতে এবং নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত এসব ইউনিটে নতুন কমিটি গঠন করার কথা জানানো হয়েছে।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিলুপ্ত কমিটিগুলো বেশিরভাগই ২০১৮ সাল বা তারও আগে গঠিত হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এসব কমিটির কার্যক্রম স্থবির ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর মাগুরা জেলা বিএনপির ১১ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তাদের প্রথম বড় সাংগঠনিক পদক্ষেপ।
মাগুরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুকুজ্জামান বলেন, "সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন আমরা জেলার ছয়টি ইউনিটের (উপজেলা ও পৌরসভা) জন্য আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
তিনি আরও জানান, এই ইউনিটগুলো নতুন করে গঠিত হওয়ার পর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপরে সম্মেলন আয়োজনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মাগুরার দলীয় কার্যক্রমে নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে। দীর্ঘদিন ধরে স্থবিরতা কাটিয়ে দলের কার্যক্রমে নতুন দিশা এনে দলকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে নতুন আহ্বায়ক কমিটি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলার কমিটি পুনর্গঠন এবং নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে। মাগুরার ক্ষেত্রেও এই সিদ্ধান্তের প্রতিফলন দেখা গেছে। স্থানীয় পর্যায়ে নতুন কমিটি গঠনের পর জেলা কমিটির কাজ আরও সুসংগঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা ও দলীয় কোন্দল এড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। স্থানীয় ইউনিটগুলোর নেতৃত্বে নতুন মুখ আনা এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা দলকে শক্তিশালী করার জন্য জরুরি।
মাগুরা জেলা বিএনপির এই পদক্ষেপে স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন গতিপ্রকৃতি দেখা যেতে পারে। তিন মাসের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন এবং সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এটি মাগুরা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।