ভোট স্থগিত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর টহল
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে মোংলা পৌরসভার দিগন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার বিএনপির তিনটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের জন্য ভোট গ্রহণ চলছিল। সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত মোংলা পৌরসভার ১, ২ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট আয়োজন করে জেলা বিএনপি। তবে দুপুরের দিকে যুবদলের সদস্যসচিব এম এ কাশেমের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেলে ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সামনে থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এর আগে, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামী আদর্শ একাডেমি বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে মারধর করা হয়। এতে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি প্রার্থী কামাল, তাঁর ছেলে আবদুল আহাদ, মো. ফিরোজ আহাম্মেদ এবং বাহাদুর আহত হন। তাঁদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পৌর যুবদলের সভাপতি মাহমুদ রিয়াদ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন দলে না থাকা এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে কাজ করা কয়েকজনকে কমিটিতে যুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এ নিয়ে ত্যাগী নেতা-কর্মীরা ভোট বন্ধের অনুরোধ করলেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তা অগ্রাহ্য করে ভোট চালিয়ে যায়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাছির আহাম্মেদ বলেন, কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই যুবদলের কিছু নেতা-কর্মী তাঁদের পছন্দের ব্যক্তিদের কমিটিতে জায়গা দিতে সমস্যা তৈরি করছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলার সময় বেলা দেড়টার দিকে হঠাৎ হামলা চালিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়।
ঘটনার পর পুলিশ ও নৌবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকাজুড়ে পুলিশ ও নৌবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাছির আহাম্মেদ। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিতভাবে এ ঘটনা জানানো হবে। পাশাপাশি এম এ কাশেমসহ জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হামলায় আহতদের মধ্যে কয়েকজনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। হামলার খবরে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন ও যৌথ বাহিনীর টহল পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোংলার রাজনীতিতে উত্তেজনা ও বিভাজন আরও প্রকট হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দলীয় নেতাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
ভোট স্থগিত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর টহল
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে মোংলা পৌরসভার দিগন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
শনিবার বিএনপির তিনটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের জন্য ভোট গ্রহণ চলছিল। সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত মোংলা পৌরসভার ১, ২ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট আয়োজন করে জেলা বিএনপি। তবে দুপুরের দিকে যুবদলের সদস্যসচিব এম এ কাশেমের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেলে ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সামনে থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এর আগে, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামী আদর্শ একাডেমি বিদ্যালয় কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে মারধর করা হয়। এতে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি প্রার্থী কামাল, তাঁর ছেলে আবদুল আহাদ, মো. ফিরোজ আহাম্মেদ এবং বাহাদুর আহত হন। তাঁদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পৌর যুবদলের সভাপতি মাহমুদ রিয়াদ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন দলে না থাকা এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে কাজ করা কয়েকজনকে কমিটিতে যুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এ নিয়ে ত্যাগী নেতা-কর্মীরা ভোট বন্ধের অনুরোধ করলেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তা অগ্রাহ্য করে ভোট চালিয়ে যায়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাছির আহাম্মেদ বলেন, কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই যুবদলের কিছু নেতা-কর্মী তাঁদের পছন্দের ব্যক্তিদের কমিটিতে জায়গা দিতে সমস্যা তৈরি করছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চলার সময় বেলা দেড়টার দিকে হঠাৎ হামলা চালিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়।
ঘটনার পর পুলিশ ও নৌবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকাজুড়ে পুলিশ ও নৌবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাছির আহাম্মেদ। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিতভাবে এ ঘটনা জানানো হবে। পাশাপাশি এম এ কাশেমসহ জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হামলায় আহতদের মধ্যে কয়েকজনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। হামলার খবরে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রশাসন ও যৌথ বাহিনীর টহল পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোংলার রাজনীতিতে উত্তেজনা ও বিভাজন আরও প্রকট হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দলীয় নেতাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।