মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশিত প্রবন্ধে কটাক্ষ; ছাত্রশিবির দুঃখ প্রকাশ করে প্রত্যাহারের ঘোষণা
জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির, তাদের মাসিক প্রকাশনা ‘ছাত্র সংবাদ’-এর একটি বিতর্কিত প্রবন্ধ প্রকাশের পর এটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রশিবির জানায়, “সম্পাদকমণ্ডলীর অসতর্কতাবশত ‘যুগে যুগে স্বৈরাচার ও তাদের করুণ পরিণতি’ শীর্ষক প্রবন্ধে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত কয়েকটি লাইন প্রকাশ হয়ে যায়।” শিবির কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং প্রবন্ধটি ‘ছাত্র সংবাদ’-এর অনলাইন সংস্করণ এবং ডিসেম্বর সংখ্যার সকল প্রিন্ট কপি থেকে প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রবন্ধের মধ্যে এমন একটি বিতর্কিত মন্তব্য ছিল, "অনেক মুসলিম না বুঝে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল, এটা তাদের ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা ছিল। আল্লাহ তায়ালা তাদের ক্ষমা করুন।" এই মন্তব্যটি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কটাক্ষ বলে সমালোচিত হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ সৃষ্টি হয়েছে।
এ নিয়ে ছাত্রদল, যেটি বিএনপির ছাত্র সংগঠন এবং দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে রাজনৈতিক জোটে ছিল, তাদের নিন্দা প্রকাশ করেছে। ছাত্রদল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, "এ ধরনের বক্তব্য একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসরদের ধৃষ্টতা এবং নিজেদের পরাজয়ের গ্লানি চাপা দেওয়ার অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।"
ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ছাত্র সংবাদ’ পত্রিকা ঐতিহ্যগতভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে বিভিন্ন লেখকের লেখা প্রকাশ করে আসছে এবং স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। তারা আরও উল্লেখ করেছে যে, “গত ডিসেম্বর সংখ্যায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশ কয়েকটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। তবে সম্পাদকমণ্ডলীর অসতর্কতাবশত ওই সংখ্যায় ‘যুগে যুগে স্বৈরাচার ও তাদের করুণ পরিণতি’ শীর্ষক প্রবন্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে বিতর্কিত কিছু লাইন প্রকাশ হয়ে যায়।"
ছাত্রশিবির তাদের বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখপ্রকাশ করে বলেছে, মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা এই ধরনের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবন্ধ প্রকাশ করায় তারা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "এ ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং প্রবন্ধটি অনলাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একইভাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর সংখ্যার সকল প্রিন্ট কপিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।"
ছাত্রশিবিরের এ পদক্ষেপের পর, সমালোচনা ও প্রতিবাদে সাড়া দেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষও তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা রক্ষার জন্য এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্যকে আপত্তিকর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং রাজনৈতিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে বিভিন্ন পক্ষ মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং এর সঙ্গে জড়িত গর্বিত মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশিত প্রবন্ধে কটাক্ষ; ছাত্রশিবির দুঃখ প্রকাশ করে প্রত্যাহারের ঘোষণা
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির, তাদের মাসিক প্রকাশনা ‘ছাত্র সংবাদ’-এর একটি বিতর্কিত প্রবন্ধ প্রকাশের পর এটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রশিবির জানায়, “সম্পাদকমণ্ডলীর অসতর্কতাবশত ‘যুগে যুগে স্বৈরাচার ও তাদের করুণ পরিণতি’ শীর্ষক প্রবন্ধে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত কয়েকটি লাইন প্রকাশ হয়ে যায়।” শিবির কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং প্রবন্ধটি ‘ছাত্র সংবাদ’-এর অনলাইন সংস্করণ এবং ডিসেম্বর সংখ্যার সকল প্রিন্ট কপি থেকে প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রবন্ধের মধ্যে এমন একটি বিতর্কিত মন্তব্য ছিল, "অনেক মুসলিম না বুঝে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল, এটা তাদের ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা ছিল। আল্লাহ তায়ালা তাদের ক্ষমা করুন।" এই মন্তব্যটি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কটাক্ষ বলে সমালোচিত হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ সৃষ্টি হয়েছে।
এ নিয়ে ছাত্রদল, যেটি বিএনপির ছাত্র সংগঠন এবং দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে রাজনৈতিক জোটে ছিল, তাদের নিন্দা প্রকাশ করেছে। ছাত্রদল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, "এ ধরনের বক্তব্য একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসরদের ধৃষ্টতা এবং নিজেদের পরাজয়ের গ্লানি চাপা দেওয়ার অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।"
ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ছাত্র সংবাদ’ পত্রিকা ঐতিহ্যগতভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে বিভিন্ন লেখকের লেখা প্রকাশ করে আসছে এবং স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। তারা আরও উল্লেখ করেছে যে, “গত ডিসেম্বর সংখ্যায় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশ কয়েকটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। তবে সম্পাদকমণ্ডলীর অসতর্কতাবশত ওই সংখ্যায় ‘যুগে যুগে স্বৈরাচার ও তাদের করুণ পরিণতি’ শীর্ষক প্রবন্ধে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে বিতর্কিত কিছু লাইন প্রকাশ হয়ে যায়।"
ছাত্রশিবির তাদের বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখপ্রকাশ করে বলেছে, মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা এই ধরনের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবন্ধ প্রকাশ করায় তারা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "এ ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং প্রবন্ধটি অনলাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একইভাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর সংখ্যার সকল প্রিন্ট কপিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে।"
ছাত্রশিবিরের এ পদক্ষেপের পর, সমালোচনা ও প্রতিবাদে সাড়া দেওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন এবং সাধারণ মানুষও তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা রক্ষার জন্য এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্যকে আপত্তিকর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং রাজনৈতিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে বিভিন্ন পক্ষ মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং এর সঙ্গে জড়িত গর্বিত মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে।