ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারি আদেশ হাতে পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত করণীয় নির্ধারণ করবে।
রোববার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “সরকার থেকে যে আদেশ জারি হবে, সে আদেশের শর্তানুযায়ী প্রচলিত আইন অনুসরণ করে ইসির যা করণীয়, তাই করবে। ওইটা আমাদের হাতে এলে, এর উপর ভিত্তি করে কমিশনের যা করণীয়, করা হবে।”
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়।
অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াতে ইসলামীর মতো ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের দাবির মুখে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলটিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইন উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে (সোমবার) জারি করা হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরপিও-এর ৯০ জ অনুচ্ছেদ (১) (খ) দফা অনুযায়ী, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হবে যদি সরকার কর্তৃক দলটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত একই আইনের আওতায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
দলটি বিলুপ্ত বা বাতিল হলে তার নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “সিদ্ধান্তটা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানছি, আপনারা যেভাবে দেখছেন, আমরাও সেভাবে দেখছি। এ সংক্রান্ত পেপারস আসবে নিশ্চয়ই, তারপর আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি বলেন, “সরকার যে আদেশটা দেবে, আদেশে কী শর্ত থাকবে নির্বাচন কমিশন এখনও জানে না। অফিসিয়ালি জানার পরে, এর ভিত্তিতে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ইসির যা করার সেটাই করবে।”
রোববার, ১১ মে ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারি আদেশ হাতে পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত করণীয় নির্ধারণ করবে।
রোববার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “সরকার থেকে যে আদেশ জারি হবে, সে আদেশের শর্তানুযায়ী প্রচলিত আইন অনুসরণ করে ইসির যা করণীয়, তাই করবে। ওইটা আমাদের হাতে এলে, এর উপর ভিত্তি করে কমিশনের যা করণীয়, করা হবে।”
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়।
অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াতে ইসলামীর মতো ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের দাবির মুখে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলটিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইন উপদেষ্টা জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে (সোমবার) জারি করা হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।
এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরপিও-এর ৯০ জ অনুচ্ছেদ (১) (খ) দফা অনুযায়ী, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হবে যদি সরকার কর্তৃক দলটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত একই আইনের আওতায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
দলটি বিলুপ্ত বা বাতিল হলে তার নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “সিদ্ধান্তটা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানছি, আপনারা যেভাবে দেখছেন, আমরাও সেভাবে দেখছি। এ সংক্রান্ত পেপারস আসবে নিশ্চয়ই, তারপর আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি বলেন, “সরকার যে আদেশটা দেবে, আদেশে কী শর্ত থাকবে নির্বাচন কমিশন এখনও জানে না। অফিসিয়ালি জানার পরে, এর ভিত্তিতে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ইসির যা করার সেটাই করবে।”