বাংলাদেশের উপর আমেরিকার আরোপিত নতুন শুল্ক নিয়ে বিএনপির সাথে আলোচনা করেছে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাত করে এই বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন আলোচনা করেন বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাক্ষাত করতে আসেন অ্যান জ্যাকবসন। সাক্ষাতকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। পরে আমীর খসরু আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়গুলো ছাড়াও বাংলাদেশের উপর আমেরিকা যে বিশাল শুল্ক আরোপ করেছে তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু। এই ট্যারিফ (শুল্ক) বাংলাদেশ কিভাবে সামাল দেবে এবং এই বিষয়ে বিএনপির মতামত কি তা জানতে চান অ্যান জ্যাকবসন ও তার টিম।
খসরু জানিয়েছেন, ‘এর জবাবে বিএনপি বলেছে, আমরা এই ব্যাপারে (ট্যারিফ) সরকারের সাথে সহযোগিতা করে একটা সমাধান বের করা দরকার বলে মনে করি। কারণ বাংলাদেশের পণ্যের ওপর উচ্চ ট্যারিফ যদি মূল্য বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমাদের গার্মেন্টেসের রপ্তানি চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বিএনপি এই বিষয়ে সরকারের সাথে কাজ করবে এবং সহযোগিতা করবে যাতে ট্যারিফের বিষয়টার সুষ্ঠু সমাধান হয়।’
দুই দেশের বাণিজ্য বাড়ানো এবং বাংলাদেশে কিভাবে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো যায় সেসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান খসরু।
নির্বাচন নিয়ে স্বাভাবিক আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘স্বাভাবিক আলোচনা হয়েছে নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনের বিষয় এবং বিএনপির প্রস্তুতিসহ আমাদের (বিএনপির) মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের কথা বলেছি।’
খসরু জানান, ‘অ্যান জ্যাকবসন লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের প্রশংসা করেছেন। সেই মিটিংয়ের গুরুত্ব তারা অনুধাবন করতে পারছে এবং ওই মিটিংয়ের ফলে যে দেশের মধ্যে বড় ধরণের স্বস্তি এসেছে এবং নির্বাচনমুখী হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের বিষয়ে তো একটা মোটামুটি জায়গায় এসেছে, এটা তো স্বস্তির ব্যাপার। সবাই জানে যে, ডেমোক্রেটিক ট্রান্সফরমেশনের দিকে আমরা যাচ্ছি। সেটার একটা মোটামুটি দিনক্ষণের সিদ্ধান্তে সবার মধ্যেই স্বস্তি এসেছ। শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, বাংলাদেশের যারা পার্টনার আছে তারাও একটা জায়গায় উপনীত হয়েছে যে, বাংলাদেশে ডেমোক্রেটিক প্রসেস বা অর্ডারের দিকে যাচ্ছে। কারণ তাদের ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনা কি হবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়ে যায়।’
রোববার, ২২ জুন ২০২৫
বাংলাদেশের উপর আমেরিকার আরোপিত নতুন শুল্ক নিয়ে বিএনপির সাথে আলোচনা করেছে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাত করে এই বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন আলোচনা করেন বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাক্ষাত করতে আসেন অ্যান জ্যাকবসন। সাক্ষাতকালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। পরে আমীর খসরু আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের বিষয়গুলো ছাড়াও বাংলাদেশের উপর আমেরিকা যে বিশাল শুল্ক আরোপ করেছে তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে জানান আমীর খসরু। এই ট্যারিফ (শুল্ক) বাংলাদেশ কিভাবে সামাল দেবে এবং এই বিষয়ে বিএনপির মতামত কি তা জানতে চান অ্যান জ্যাকবসন ও তার টিম।
খসরু জানিয়েছেন, ‘এর জবাবে বিএনপি বলেছে, আমরা এই ব্যাপারে (ট্যারিফ) সরকারের সাথে সহযোগিতা করে একটা সমাধান বের করা দরকার বলে মনে করি। কারণ বাংলাদেশের পণ্যের ওপর উচ্চ ট্যারিফ যদি মূল্য বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমাদের গার্মেন্টেসের রপ্তানি চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বিএনপি এই বিষয়ে সরকারের সাথে কাজ করবে এবং সহযোগিতা করবে যাতে ট্যারিফের বিষয়টার সুষ্ঠু সমাধান হয়।’
দুই দেশের বাণিজ্য বাড়ানো এবং বাংলাদেশে কিভাবে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো যায় সেসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান খসরু।
নির্বাচন নিয়ে স্বাভাবিক আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘স্বাভাবিক আলোচনা হয়েছে নির্বাচন নিয়ে। নির্বাচনের বিষয় এবং বিএনপির প্রস্তুতিসহ আমাদের (বিএনপির) মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। আমরা আমাদের কথা বলেছি।’
খসরু জানান, ‘অ্যান জ্যাকবসন লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের প্রশংসা করেছেন। সেই মিটিংয়ের গুরুত্ব তারা অনুধাবন করতে পারছে এবং ওই মিটিংয়ের ফলে যে দেশের মধ্যে বড় ধরণের স্বস্তি এসেছে এবং নির্বাচনমুখী হয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের বিষয়ে তো একটা মোটামুটি জায়গায় এসেছে, এটা তো স্বস্তির ব্যাপার। সবাই জানে যে, ডেমোক্রেটিক ট্রান্সফরমেশনের দিকে আমরা যাচ্ছি। সেটার একটা মোটামুটি দিনক্ষণের সিদ্ধান্তে সবার মধ্যেই স্বস্তি এসেছ। শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, বাংলাদেশের যারা পার্টনার আছে তারাও একটা জায়গায় উপনীত হয়েছে যে, বাংলাদেশে ডেমোক্রেটিক প্রসেস বা অর্ডারের দিকে যাচ্ছে। কারণ তাদের ভবিষ্যত কর্ম পরিকল্পনা কি হবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়ে যায়।’