ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে শেষ দিন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নতুন দলগুলোর আবেদনের ‘হিড়িক’ পড়েছে। রবিবার(২২-৬-২০২৫) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ২৪টি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ইসিতে আবেদন জমা পড়েছে; যার মধ্যে বৈষম্যবিরোধীদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) আছে।
আবেদন জমা দিয়ে কেউ কেউ সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের প্রতীক ও দলের নাম জানিয়েছেন। অনেকে আবার চুপচাপ আবেদন জমা দিয়ে চলে গেছেন। যারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের সবার দাবি, ইসির সব শর্ত পূরণ করেই তারা নিবন্ধন আবেদন করেছেন। তারা নিবন্ধন পাবেন।
রবিবার যেসব দল ইসিতে আবেদন জমা দিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে- জনতার পার্টি বাংলাদেশ (জেপিপি); ? গণদল, বাংলাদেশ জনজোট পার্টি (বাজপা); বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ সমতা পার্টি; বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন; বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টি; ইসলামী ঐক্যজোট; নতুন বাংলাদেশ পার্টি (এনবিপি); বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা পার্টি; বাংলাদেশ গণবিপ্লবী পার্টি ; ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ); বাংলাদেশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ফেডারেশন; জনতার দল; বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা পার্টি; বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম এল); বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি (বিসিপি); জাতীয় ন্যায় বিচার পার্টি; বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (বিডিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি); আ আমজনগণ পার্টি।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গত ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে ইসি। ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করে ৬৫টি নতুন রাজনৈতিক দল। এনসিপিসহ ৪৬টি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। গতকাল সেই সময় শেষ হয়।
ইসির নিবন্ধন পেলে নির্ধারিত প্রতীকে ভোট করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট দলের প্রার্থীরা; ভোটে অংশ নিতে দলের প্রার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
নিবন্ধন আবেদন
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে বিদ্যমান আইন-বিধি অনুযায়ী ১০টি তথ্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। নিবন্ধন ফি হিসেবে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা, যা অফেরতযোগ্য।
নতুন দলের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের শর্ত হলো, দলটির একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে। কার্যকর কমিটি থাকতে হবে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায়। সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা কিংবা মহানগরীর থানার কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের নথিও দেখাতে হবে।
দলীয় প্যাডে দরখাস্তের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও দলীয় পতাকার ছবি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্যের নামের তালিকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সর্বশেষ স্থিতি জমা দিতে হবে।
আবেদন পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন তা যাচাই-বাছাই শুরু করবে। নিবন্ধন শর্ত পূরণ করতে পারলে দলীয় প্রতীকসহ নিবন্ধন সনদ দেবে।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় বিদায় নেয় তৎকালীন ইসি। বিদ্যমান আইনের আলোকে এ এম এম নাসির উদ্দিন কমিশন গঠিত হয় ২১ নভেম্বর।
৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিবন্ধন পেয়েছে ৬টি দল। সব মিলিয়ে এখন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫০। সম্প্রতি নিবন্ধন স্থগিত হয়েছে আওয়ামী লীগের আর আদালতের আদেশে নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসিতে ৯৩টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল।
রোববার, ২২ জুন ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে শেষ দিন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নতুন দলগুলোর আবেদনের ‘হিড়িক’ পড়েছে। রবিবার(২২-৬-২০২৫) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ২৪টি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ইসিতে আবেদন জমা পড়েছে; যার মধ্যে বৈষম্যবিরোধীদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) আছে।
আবেদন জমা দিয়ে কেউ কেউ সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের প্রতীক ও দলের নাম জানিয়েছেন। অনেকে আবার চুপচাপ আবেদন জমা দিয়ে চলে গেছেন। যারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের সবার দাবি, ইসির সব শর্ত পূরণ করেই তারা নিবন্ধন আবেদন করেছেন। তারা নিবন্ধন পাবেন।
রবিবার যেসব দল ইসিতে আবেদন জমা দিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে- জনতার পার্টি বাংলাদেশ (জেপিপি); ? গণদল, বাংলাদেশ জনজোট পার্টি (বাজপা); বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ সমতা পার্টি; বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন; বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টি; ইসলামী ঐক্যজোট; নতুন বাংলাদেশ পার্টি (এনবিপি); বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা পার্টি; বাংলাদেশ গণবিপ্লবী পার্টি ; ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ); বাংলাদেশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ফেডারেশন; জনতার দল; বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা পার্টি; বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম এল); বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি (বিসিপি); জাতীয় ন্যায় বিচার পার্টি; বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (বিডিপি), ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি); আ আমজনগণ পার্টি।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গত ১০ মার্চ আগ্রহী দলগুলোর কাছ থেকে নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে ইসি। ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করে ৬৫টি নতুন রাজনৈতিক দল। এনসিপিসহ ৪৬টি দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়ে ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। গতকাল সেই সময় শেষ হয়।
ইসির নিবন্ধন পেলে নির্ধারিত প্রতীকে ভোট করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট দলের প্রার্থীরা; ভোটে অংশ নিতে দলের প্রার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
নিবন্ধন আবেদন
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে বিদ্যমান আইন-বিধি অনুযায়ী ১০টি তথ্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। নিবন্ধন ফি হিসেবে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা, যা অফেরতযোগ্য।
নতুন দলের ক্ষেত্রে নিবন্ধনের শর্ত হলো, দলটির একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে। কার্যকর কমিটি থাকতে হবে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায়। সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা কিংবা মহানগরীর থানার কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের নথিও দেখাতে হবে।
দলীয় প্যাডে দরখাস্তের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও দলীয় পতাকার ছবি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্যের নামের তালিকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সর্বশেষ স্থিতি জমা দিতে হবে।
আবেদন পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন তা যাচাই-বাছাই শুরু করবে। নিবন্ধন শর্ত পূরণ করতে পারলে দলীয় প্রতীকসহ নিবন্ধন সনদ দেবে।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় বিদায় নেয় তৎকালীন ইসি। বিদ্যমান আইনের আলোকে এ এম এম নাসির উদ্দিন কমিশন গঠিত হয় ২১ নভেম্বর।
৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিবন্ধন পেয়েছে ৬টি দল। সব মিলিয়ে এখন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫০। সম্প্রতি নিবন্ধন স্থগিত হয়েছে আওয়ামী লীগের আর আদালতের আদেশে নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইসিতে ৯৩টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল।