ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলতি সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আশ্বাস দিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সোমবার,(০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে এনসিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করে। প্রতিনিধি দলে জহিরুল ইসলাম মুসা ছাড়াও দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। নিজেদের নিবন্ধনের অগ্রগতি জানতেই মূলত এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠক শেষে জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য সব শর্ত পূরণ করেই আবেদন করেছিল। আবেদনটি এখন প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সেক্রেটারির কাছে জানতে চেয়েছিলাম সেই প্রক্রিয়াটি কোন পর্যায়ে আছে।’
জবাবে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাঠ পর্যায় থেকে দলগুলোর তথ্য যাচাই বাছাইয়ের প্রতিবেদন তাদের হাতে আসতে শুরু করেছে।
এই প্রতিবেদনগুলো একত্রিত করার পর একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু এনসিপি নয়, যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ সব দলের বিষয়েই এ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে কমিশন জানিয়েছে বলে জানান এনসিপি নেতারা।
বৈঠকে এনসিপির দলীয় প্রতীক নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জহিরুল ইসলাম মুসা নিশ্চিত করেছেন।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক সংলাপের পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন নিবন্ধিত দলগুলোসহ সব দলের সঙ্গেই কমিশন সংলাপে বসবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান মুসা। এনসিপি শুরু থেকেই প্রবাসীদের ভোটের বিষয়ে সোচ্চার ছিল। কমিশন পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কতদিন আগে ব্যালট পাঠানো হবে এবং কী প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়ে তা ফেরত পাঠানো হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে যারা পেশাগত বা অন্য কোনো কারণে নির্বাচনের দিন নিজ সংসদীয় আসনের বাইরে থাকবেন, তারাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন বলে কমিশন জানিয়েছে।
সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় ১৪৩টি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। প্রাথমিক বাছাইয়ে ১২১টি দল বাদ পড়ে যায়। বর্তমানে এনসিপিসহ ২২টি দলের নিবন্ধন তথ্য যাচাইয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে তদন্ত চলছে। এই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধনের জন্য একটি দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়াংশ জেলায় দলীয় কার্যালয় এবং ১০০টি উপজেলা কমিটি থাকতে হয়। প্রতিটি কমিটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন থাকার প্রমাণও দাখিল করতে হয়।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলতি সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আশ্বাস দিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
সোমবার,(০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে এনসিপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করে। প্রতিনিধি দলে জহিরুল ইসলাম মুসা ছাড়াও দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। নিজেদের নিবন্ধনের অগ্রগতি জানতেই মূলত এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠক শেষে জহিরুল ইসলাম মুসা বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য সব শর্ত পূরণ করেই আবেদন করেছিল। আবেদনটি এখন প্রক্রিয়াধীন আছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সেক্রেটারির কাছে জানতে চেয়েছিলাম সেই প্রক্রিয়াটি কোন পর্যায়ে আছে।’
জবাবে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাঠ পর্যায় থেকে দলগুলোর তথ্য যাচাই বাছাইয়ের প্রতিবেদন তাদের হাতে আসতে শুরু করেছে।
এই প্রতিবেদনগুলো একত্রিত করার পর একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু এনসিপি নয়, যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ সব দলের বিষয়েই এ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে কমিশন জানিয়েছে বলে জানান এনসিপি নেতারা।
বৈঠকে এনসিপির দলীয় প্রতীক নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জহিরুল ইসলাম মুসা নিশ্চিত করেছেন।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক সংলাপের পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন নিবন্ধিত দলগুলোসহ সব দলের সঙ্গেই কমিশন সংলাপে বসবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান মুসা। এনসিপি শুরু থেকেই প্রবাসীদের ভোটের বিষয়ে সোচ্চার ছিল। কমিশন পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসীদের ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কতদিন আগে ব্যালট পাঠানো হবে এবং কী প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়ে তা ফেরত পাঠানো হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে যারা পেশাগত বা অন্য কোনো কারণে নির্বাচনের দিন নিজ সংসদীয় আসনের বাইরে থাকবেন, তারাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন বলে কমিশন জানিয়েছে।
সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় ১৪৩টি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। প্রাথমিক বাছাইয়ে ১২১টি দল বাদ পড়ে যায়। বর্তমানে এনসিপিসহ ২২টি দলের নিবন্ধন তথ্য যাচাইয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে তদন্ত চলছে। এই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ শুরু হবে।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধনের জন্য একটি দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, এক-তৃতীয়াংশ জেলায় দলীয় কার্যালয় এবং ১০০টি উপজেলা কমিটি থাকতে হয়। প্রতিটি কমিটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন থাকার প্রমাণও দাখিল করতে হয়।