দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখি ও বন্যপ্রাণীর অধিকারও নিশ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিসিসি) বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী ‘প্রাণী ও প্রাণের মেলা’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘‘গণতন্ত্র যেমন মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে, তেমনি রাষ্ট্রে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠিত থাকলে বাস্তুতন্ত্র ও বন্যপ্রাণীর অধিকারও সুরক্ষিত থাকে। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে একজন নাগরিক হিসেবে রাজনৈতিক অধিকার হারানোর অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকের মনে অসহিষ্ণুতা তৈরি করেছে। এই অসহিষ্ণুতা কাটিয়ে মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার জন্য মনুষত্ব অর্জন ও পশুত্ব বর্জন আমাদের অঙ্গীকার হতে হবে।’’
তিনি জীববৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘‘বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে মানুষের কারণে প্রজাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এক সময় সুন্দরবনে ৪০০-৫০০ বাঘ ছিল, এখন তা নেমে এসেছে প্রায় একশ’তে। হাতির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২০০-এর মতো। এভাবে অনেক প্রাণী বিলুপ্তির পথে।’’
জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড়, জলাভূমি ভরাট ও অপরিকল্পিত নগরায়নকে জীববৈচিত্র্যের হুমকির কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘একইসঙ্গে বন্যপ্রাণী পাচারও উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ফলে প্রাণী, উদ্ভিদ ও জলজ প্রাণীর আবাসস্থল অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।’’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘প্রাণী অধিকারের বিষয়টি কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, বরং বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষা ও মানবজাতির টেকসই ভবিষ্যতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষ প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল হলে তা সমাজের পরিপক্বতা ও উন্নত নৈতিকতার প্রতিফলন ঘটায়।’’
আইন সংস্কারের অঙ্গীকার করে তারেক বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে প্রাণী কল্যাণ আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কিত আইনগুলোকে সময়োপযোগী করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘‘রাষ্ট্র কখনো কখনো মানুষের নিরাপত্তাই নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়। এ বাস্তবতায় প্রাণীর নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা অনেকে অপ্রাসঙ্গিক ভাবতে পারেন। কিন্তু সীমাবদ্ধতা থাকলেও শুভ উদ্যোগকে নিয়মিত আলোচনায় ও চর্চায় রাখা প্রয়োজন।’’
অনুষ্ঠানে প্রাণীপ্রেমী শাহিনা খান জামান ও প্রয়াত শিক্ষক আকাশ কলি দাসকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কবি আবদুল হাই শিকদার, সাবেক ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা, প্রাণীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা বক্তব্য দেন।
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখি ও বন্যপ্রাণীর অধিকারও নিশ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিসিসি) বাংলাদেশ অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী ‘প্রাণী ও প্রাণের মেলা’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘‘গণতন্ত্র যেমন মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে, তেমনি রাষ্ট্রে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠিত থাকলে বাস্তুতন্ত্র ও বন্যপ্রাণীর অধিকারও সুরক্ষিত থাকে। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে একজন নাগরিক হিসেবে রাজনৈতিক অধিকার হারানোর অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকের মনে অসহিষ্ণুতা তৈরি করেছে। এই অসহিষ্ণুতা কাটিয়ে মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার জন্য মনুষত্ব অর্জন ও পশুত্ব বর্জন আমাদের অঙ্গীকার হতে হবে।’’
তিনি জীববৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘‘বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে মানুষের কারণে প্রজাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এক সময় সুন্দরবনে ৪০০-৫০০ বাঘ ছিল, এখন তা নেমে এসেছে প্রায় একশ’তে। হাতির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২০০-এর মতো। এভাবে অনেক প্রাণী বিলুপ্তির পথে।’’
জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড়, জলাভূমি ভরাট ও অপরিকল্পিত নগরায়নকে জীববৈচিত্র্যের হুমকির কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘একইসঙ্গে বন্যপ্রাণী পাচারও উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ফলে প্রাণী, উদ্ভিদ ও জলজ প্রাণীর আবাসস্থল অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে।’’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘প্রাণী অধিকারের বিষয়টি কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, বরং বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য রক্ষা ও মানবজাতির টেকসই ভবিষ্যতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষ প্রাণীর প্রতি সহানুভূতিশীল হলে তা সমাজের পরিপক্বতা ও উন্নত নৈতিকতার প্রতিফলন ঘটায়।’’
আইন সংস্কারের অঙ্গীকার করে তারেক বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে প্রাণী কল্যাণ আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কিত আইনগুলোকে সময়োপযোগী করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘‘রাষ্ট্র কখনো কখনো মানুষের নিরাপত্তাই নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়। এ বাস্তবতায় প্রাণীর নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা অনেকে অপ্রাসঙ্গিক ভাবতে পারেন। কিন্তু সীমাবদ্ধতা থাকলেও শুভ উদ্যোগকে নিয়মিত আলোচনায় ও চর্চায় রাখা প্রয়োজন।’’
অনুষ্ঠানে প্রাণীপ্রেমী শাহিনা খান জামান ও প্রয়াত শিক্ষক আকাশ কলি দাসকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কবি আবদুল হাই শিকদার, সাবেক ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা, প্রাণীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা বক্তব্য দেন।