নিউ ইয়র্কে এনসিপি নেতাদের ওপর আওয়ামী লীগের ‘হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার জন্য’ কনসাল জেনারেলের পদত্যাগ দাবি করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার ঢাকায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, “এ হামলার সঙ্গে কূটনৈতিক মিশনের কিছু কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারে।”
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে তিন দলের পাঁচ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার নিউ ইয়র্কে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তাদের মধ্যে এনসিপির দুজন হলেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।
মুহাম্মদ ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে বিশেষ নিরাপত্তায় অন্য একটি গেইট দিয়ে বেরিয়ে গেলেও তার সফরসঙ্গী বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতারা সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে বের হওয়ার সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ঘিরে নানা স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি তুমুল গালিগালাজ করেন। এনসিপির আখতার হোসেনের গায়ে ডিমও ছোড়া হয়।
ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন নাহিদ ইসলাম। একইসঙ্গে দেশের সকল জেলা এবং মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল হবে জানিয়ে সরকারের কাছে কিছু দাবি তিনি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো—
নিউ ইয়র্কের ঘটনার সকল হামলাকারীদের চিহ্নিত করা এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা।
অবিলম্বে নিউ ইয়র্কের কনসাল জেনারেলের পদত্যাগ।
ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।
‘ফ্যাসিবাদী জামানায় নিযুক্ত আওয়ামী দোসরদের’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অপসারণ করা।
অগাস্টে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের তালিকা প্রকাশ করা।
‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার স্বচ্ছ করা এবং ত্বরান্বিত করা। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করা।
নাহিদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা এর আগে জুলাই পদযাত্রায় গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের উপর হত্যার নীল নকশা নিয়ে আক্রমণ দেখেছি। গণঅভ্যুত্থানের নেতা উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উপর লন্ডন ও আমেরিকায় হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়া ডক্টর ইউনূসের সফরসঙ্গী তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের ওপর এয়ারপোর্টে হামলা হয়েছে। এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারাকে লক্ষ্য করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগরা হামলা করেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, ক্রমাগত ‘হামলা, ষড়যন্ত্র এবং অপতৎপরতা’ চললেও সরকারের পক্ষ থেকে ‘উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা’ নেওয়া হয়নি। নাহিদ বলেন, “এই ঘটনাগুলোর সাথে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা জড়িত। ভেতর থেকে এই ইনফরমেশনগুলো লিক করা হয় এবং সরকার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিরাপত্তা প্রদানের যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেই ব্যবস্থাগুলো যথাযথ ছিল না। আমরা এর নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে আমরা বসব এবং তার থেকে আমরা জবাবদিহিতা চাইব। কেন বারবার এই ঘটনাগুলো ঘটছে দেশের বাইরে? আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখছি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক যে নিয়োগগুলো দেওয়া হচ্ছে সেটা নিয়ে নানা বিতর্ক হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী জামানায় যারা যারা নিয়োগ পেয়েছিল, তাদের সম্পূর্ণরূপে অপসারণ হয়নি বা তারা থেকে গেল, কেন থেকে যাচ্ছে সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট জবাব আমরা পাইনি।”
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আমরা এই দাবিগুলো পেশ করব এবং তার কাছ থেকে আমরা জবাবদিহিতা চাইব যে আমাদের বিদেশে যে দূতাবাসগুলো রয়েছে, তারা কেন আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে এবং কেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী তৎপরতা তারা বন্ধ করতে পারছে না।”
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেত্রী নাহিদা সারোয়ার নিভা, তাজনূভা জাবীন, সালেহ উদ্দিন সিফাত, আল আমিন, সাইফ মোস্তাফিজ উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিউ ইয়র্কে এনসিপি নেতাদের ওপর আওয়ামী লীগের ‘হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার জন্য’ কনসাল জেনারেলের পদত্যাগ দাবি করেছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার ঢাকায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, “এ হামলার সঙ্গে কূটনৈতিক মিশনের কিছু কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারে।”
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে তিন দলের পাঁচ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার নিউ ইয়র্কে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তাদের মধ্যে এনসিপির দুজন হলেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা।
মুহাম্মদ ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে বিশেষ নিরাপত্তায় অন্য একটি গেইট দিয়ে বেরিয়ে গেলেও তার সফরসঙ্গী বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতারা সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে বের হওয়ার সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ঘিরে নানা স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি তুমুল গালিগালাজ করেন। এনসিপির আখতার হোসেনের গায়ে ডিমও ছোড়া হয়।
ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন নাহিদ ইসলাম। একইসঙ্গে দেশের সকল জেলা এবং মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল হবে জানিয়ে সরকারের কাছে কিছু দাবি তিনি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো—
নিউ ইয়র্কের ঘটনার সকল হামলাকারীদের চিহ্নিত করা এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা।
অবিলম্বে নিউ ইয়র্কের কনসাল জেনারেলের পদত্যাগ।
ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।
‘ফ্যাসিবাদী জামানায় নিযুক্ত আওয়ামী দোসরদের’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অপসারণ করা।
অগাস্টে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের তালিকা প্রকাশ করা।
‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার স্বচ্ছ করা এবং ত্বরান্বিত করা। দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করা।
নাহিদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা এর আগে জুলাই পদযাত্রায় গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের উপর হত্যার নীল নকশা নিয়ে আক্রমণ দেখেছি। গণঅভ্যুত্থানের নেতা উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উপর লন্ডন ও আমেরিকায় হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যাওয়া ডক্টর ইউনূসের সফরসঙ্গী তিনটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের ওপর এয়ারপোর্টে হামলা হয়েছে। এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারাকে লক্ষ্য করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগরা হামলা করেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, ক্রমাগত ‘হামলা, ষড়যন্ত্র এবং অপতৎপরতা’ চললেও সরকারের পক্ষ থেকে ‘উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা’ নেওয়া হয়নি। নাহিদ বলেন, “এই ঘটনাগুলোর সাথে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা জড়িত। ভেতর থেকে এই ইনফরমেশনগুলো লিক করা হয় এবং সরকার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিরাপত্তা প্রদানের যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেই ব্যবস্থাগুলো যথাযথ ছিল না। আমরা এর নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে আমরা বসব এবং তার থেকে আমরা জবাবদিহিতা চাইব। কেন বারবার এই ঘটনাগুলো ঘটছে দেশের বাইরে? আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখছি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক যে নিয়োগগুলো দেওয়া হচ্ছে সেটা নিয়ে নানা বিতর্ক হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী জামানায় যারা যারা নিয়োগ পেয়েছিল, তাদের সম্পূর্ণরূপে অপসারণ হয়নি বা তারা থেকে গেল, কেন থেকে যাচ্ছে সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট জবাব আমরা পাইনি।”
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আমরা এই দাবিগুলো পেশ করব এবং তার কাছ থেকে আমরা জবাবদিহিতা চাইব যে আমাদের বিদেশে যে দূতাবাসগুলো রয়েছে, তারা কেন আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ হচ্ছে এবং কেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী তৎপরতা তারা বন্ধ করতে পারছে না।”
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেত্রী নাহিদা সারোয়ার নিভা, তাজনূভা জাবীন, সালেহ উদ্দিন সিফাত, আল আমিন, সাইফ মোস্তাফিজ উপস্থিত ছিলেন।