নির্বাচনের ৩০টি আসনের প্রতিশ্রুতি না পেয়ে’ পিআর নিয়ে জামায়াতে ইসলামী চাপ সৃষ্টি করছে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যে ভাষ্য প্রচার করেছে কলকাতার সংবাদমাধ্যম, সেটিকে ‘ভুয়া’ দাবি করেছেন তিনি।
ওই বক্তব্য নিয়ে আলোচনার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সফররত মির্জা ফখরুল বলেন, “ওই নিউজটা ফেইক নিউজ। ওরা (পত্রিকাটি) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে এই মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর সংবাদ দিয়েছে। কোনো রাজনৈতিক নেতা এরকম অবান্তর কথা বলতে পারে? এটা উদ্দেশ্যমূলক। কলকাতার পত্রিকাটিকে আমি এই ধরনের কোনো কথা বলিনি।”
সম্প্রতি কলকাতার দৈনিক ওই সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুলকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, তাদের কাছে ‘৩০টি আসন’ চেয়েছিল জামায়াত। এর জবাবে বিএনপি ‘অনেক কম’ সংখ্যা উল্লেখ করে, যা জামায়াতের ‘মনঃপূত হয়নি’। সেখানে ফখরুলকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “জামায়াতকে আর আমরা মাথায় উঠতে দেব না। তারা যত বড় না শক্তি, আমরা অকারণে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।”
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানায়। দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “এ ধরনের সম্পূর্ণ অসত্য, অমর্যাদাকর ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মত প্রবীণ রাজনীতিবিদ দিয়েছেন, তা বিশ্বাস করতে আমাদের কষ্ট হয়। এই বক্তব্যের সাথে সত্য ও শিষ্টাচারের কোনো মিল নেই। যদি এ বক্তব্য তার হয়ে থাকে, তবে আমরা তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি অনুরোধ করছি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কার কাছে এই আসনগুলো দাবি করেছে–তার প্রমাণ জাতির সামনে উপস্থাপন করুন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাভাবিকভাবে তার মূল নেতৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয়। কারো কাছে আসন চাওয়ার রাজনীতির সাথে জামায়াতের বর্তমান সময়ে কোনো সম্পর্ক নেই। যদি তিনি তার বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন, তবে আশা করি জনগণের সামনে ন্যূনতম পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করবেন।”
উক্ত সাক্ষাৎকারে ফখরুলকে উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়, “পিআর-টিআর সবই বিএনপির উপরে চাপ সৃষ্টির কৌশল। জামায়াত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে।”
সাক্ষাৎকারে ফখরুলের কাছে প্রশ্ন ছিল, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রভাব ছাড়া নির্বাচন ও সরকার গঠন হবে। সত্যিই কি বাংলাদেশে ভারতের কোনো প্রভাব আর অবশিষ্ট নেই? জবাবে বিএনপি মহাসচিবকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “ভারত মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী। সেই সময়ে এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। ভৌগোলিকভাবেও বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত, একদিকে সাগর। ভারতের প্রভাব বাংলাদেশে থাকবেই। সমস্যা হলো, বাংলাদেশ বলতে শুধু আওয়ামী লীগকে বুঝেছে ভারতের শাসকেরা। আওয়ামী লীগের ভাষ্য মেনে বিএনপি ও জামায়াতকে একই বন্ধনীতে ফেলেছে। জামায়াত ও বিএনপির রাজনীতি এক নয়। আমরা অসাম্প্রদায়িক, মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দল। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত সংবিধান রক্ষায় আজও স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করছি। বামেরা আমাদের সঙ্গে রয়েছে।”
এর প্রতিবাদে জামায়াতের বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি এবং সংগঠনের মর্যাদা সম্পর্কে তিনি যে তাচ্ছিল্যের ভাষায় কথা বলেছেন, তার বিচারের ভার জনগণের আদালতের উপর ছেড়ে দিলাম। প্রিয় জনগণের উপর আমাদের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। আমাদের কার্যক্রম দেশ ও জনগণের জন্য। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। আমাদের ভরসার মূল জায়গা মহান রবের করুণা ও সাহায্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”
মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নির্বাচনের ৩০টি আসনের প্রতিশ্রুতি না পেয়ে’ পিআর নিয়ে জামায়াতে ইসলামী চাপ সৃষ্টি করছে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের যে ভাষ্য প্রচার করেছে কলকাতার সংবাদমাধ্যম, সেটিকে ‘ভুয়া’ দাবি করেছেন তিনি।
ওই বক্তব্য নিয়ে আলোচনার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সফররত মির্জা ফখরুল বলেন, “ওই নিউজটা ফেইক নিউজ। ওরা (পত্রিকাটি) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে এই মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর সংবাদ দিয়েছে। কোনো রাজনৈতিক নেতা এরকম অবান্তর কথা বলতে পারে? এটা উদ্দেশ্যমূলক। কলকাতার পত্রিকাটিকে আমি এই ধরনের কোনো কথা বলিনি।”
সম্প্রতি কলকাতার দৈনিক ওই সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুলকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, তাদের কাছে ‘৩০টি আসন’ চেয়েছিল জামায়াত। এর জবাবে বিএনপি ‘অনেক কম’ সংখ্যা উল্লেখ করে, যা জামায়াতের ‘মনঃপূত হয়নি’। সেখানে ফখরুলকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “জামায়াতকে আর আমরা মাথায় উঠতে দেব না। তারা যত বড় না শক্তি, আমরা অকারণে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।”
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানায়। দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “এ ধরনের সম্পূর্ণ অসত্য, অমর্যাদাকর ও প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মত প্রবীণ রাজনীতিবিদ দিয়েছেন, তা বিশ্বাস করতে আমাদের কষ্ট হয়। এই বক্তব্যের সাথে সত্য ও শিষ্টাচারের কোনো মিল নেই। যদি এ বক্তব্য তার হয়ে থাকে, তবে আমরা তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি অনুরোধ করছি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কার কাছে এই আসনগুলো দাবি করেছে–তার প্রমাণ জাতির সামনে উপস্থাপন করুন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাভাবিকভাবে তার মূল নেতৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয়। কারো কাছে আসন চাওয়ার রাজনীতির সাথে জামায়াতের বর্তমান সময়ে কোনো সম্পর্ক নেই। যদি তিনি তার বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন, তবে আশা করি জনগণের সামনে ন্যূনতম পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করবেন।”
উক্ত সাক্ষাৎকারে ফখরুলকে উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়, “পিআর-টিআর সবই বিএনপির উপরে চাপ সৃষ্টির কৌশল। জামায়াত নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে।”
সাক্ষাৎকারে ফখরুলের কাছে প্রশ্ন ছিল, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন ফেব্রুয়ারিতে ভারতের প্রভাব ছাড়া নির্বাচন ও সরকার গঠন হবে। সত্যিই কি বাংলাদেশে ভারতের কোনো প্রভাব আর অবশিষ্ট নেই? জবাবে বিএনপি মহাসচিবকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “ভারত মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী। সেই সময়ে এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। ভৌগোলিকভাবেও বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত, একদিকে সাগর। ভারতের প্রভাব বাংলাদেশে থাকবেই। সমস্যা হলো, বাংলাদেশ বলতে শুধু আওয়ামী লীগকে বুঝেছে ভারতের শাসকেরা। আওয়ামী লীগের ভাষ্য মেনে বিএনপি ও জামায়াতকে একই বন্ধনীতে ফেলেছে। জামায়াত ও বিএনপির রাজনীতি এক নয়। আমরা অসাম্প্রদায়িক, মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দল। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত সংবিধান রক্ষায় আজও স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করছি। বামেরা আমাদের সঙ্গে রয়েছে।”
এর প্রতিবাদে জামায়াতের বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি এবং সংগঠনের মর্যাদা সম্পর্কে তিনি যে তাচ্ছিল্যের ভাষায় কথা বলেছেন, তার বিচারের ভার জনগণের আদালতের উপর ছেড়ে দিলাম। প্রিয় জনগণের উপর আমাদের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। আমাদের কার্যক্রম দেশ ও জনগণের জন্য। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। আমাদের ভরসার মূল জায়গা মহান রবের করুণা ও সাহায্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের অসত্য ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”