নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় ‘সবচেয়ে মুরুব্বি’ বলে। তার প্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল বলেন তিনি ‘নিজেকে এখনও আখতারদের (এনসিপির সদস্য সচিব) সঙ্গে’ মনে করেন।
আর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কথা শুনে তার মনে হয়েছে যেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘কথা শুনছেন’।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত শনিবার নিউ ইয়র্কে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন। তখন সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস।
ফখরুল বলেন, ‘গত পরশু, ইউএস-বাংলাদেশ একটা বিজনেস ফোরামের সভা হচ্ছিল। সেখানে আমাদের সম্মানিত, সকলের সম্মানিত, বিশ্বের সম্মানিত প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, আমার বারবার করে মনে হচ্ছিল, যে আমি এদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা শুনছি।
‘যে স্বপ্ন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেখেছিলেন যে বাংলাদেশকে একটা গণতান্ত্রিক, একটা সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি বাংলাদেশে পরিণত করবেন, তার সমস্ত কথাগুলো সেই সময় প্রফেসর ইউনূসের কথায় বেরিয়ে আসছিল।’
শুরুতে ৭৭ বছর বয়সী ফখরুল বলেন, ‘আমাকে সবচেয়ে মুরুব্বি বলে পরিচিত করে দেওয়া হল, আমি নিজে কিন্তু এখনও আখতারদের (এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন) সঙ্গে মন করি।
‘কারণ আজীবন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। এবং এখনও লড়াই করেই চলেছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ – সংগ্রাম, লড়াই এটা তাদের মজ্জাগত। যে কোনো বিপদে, যে কোনো দুঃসময়ে সবাই এক হয়ে লড়াই করতে জানে, তার প্রমাণ জুলাই দিয়েছে।’
তরুণদের ওপর আস্থার কথা জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমি একটা কথা খুব স্পষ্ট করে, দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই যে আমরা যারা বয়োজ্যেষ্ঠ আছি, আমরা অনেকগুলো লড়াই লড়েছি। আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি, পরবর্তীকালে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি।
‘আজকে আমাদের সামনে শোয়েবরা, জারারা (এনসিপি নেতা তাসনিম জারা), তারা এসছে, আশাবাদী যে আমরা ভবিষ্যতে আবার লড়াই করে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারব,’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ‘স্বপ্ন’ দেখতে হবে। আর সবচেয়ে বেশি দরকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার।
‘আমি শুধু আপনাদেরকে এই কথা বলতে চাই যে আমরা আধুনিক চিন্তা করি। আমাদের পরবর্তী জেনারেশন, আমাদের সামনের ছেলেরা, আমাদের মেয়েরা, তারা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি আধুনিক চিন্তা করে। সেটাকে ধারণ করার মত মানসিকতা আমাদের আছে এবং সেটাকে প্রমোট করার মত সংগঠন আমাদের করতে হবে,’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।
‘আমি আপনাদের যাদের কথা এখানে শুনলাম, আমি আরও আশাবাদী হয়ে উঠেছি যে আমাদের এই নতুন জেনারেশন তারা নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের নতুন সংগ্রামে, নতুন লড়াইয়ে, নতুন স্বপ্নের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিবে,’ বলেন ফখরুল।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় ‘সবচেয়ে মুরুব্বি’ বলে। তার প্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল বলেন তিনি ‘নিজেকে এখনও আখতারদের (এনসিপির সদস্য সচিব) সঙ্গে’ মনে করেন।
আর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কথা শুনে তার মনে হয়েছে যেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘কথা শুনছেন’।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত শনিবার নিউ ইয়র্কে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন। তখন সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস।
ফখরুল বলেন, ‘গত পরশু, ইউএস-বাংলাদেশ একটা বিজনেস ফোরামের সভা হচ্ছিল। সেখানে আমাদের সম্মানিত, সকলের সম্মানিত, বিশ্বের সম্মানিত প্রফেসর ইউনূস যখন কথা বলছিলেন, আমার বারবার করে মনে হচ্ছিল, যে আমি এদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কথা শুনছি।
‘যে স্বপ্ন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেখেছিলেন যে বাংলাদেশকে একটা গণতান্ত্রিক, একটা সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি বাংলাদেশে পরিণত করবেন, তার সমস্ত কথাগুলো সেই সময় প্রফেসর ইউনূসের কথায় বেরিয়ে আসছিল।’
শুরুতে ৭৭ বছর বয়সী ফখরুল বলেন, ‘আমাকে সবচেয়ে মুরুব্বি বলে পরিচিত করে দেওয়া হল, আমি নিজে কিন্তু এখনও আখতারদের (এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন) সঙ্গে মন করি।
‘কারণ আজীবন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। এবং এখনও লড়াই করেই চলেছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ – সংগ্রাম, লড়াই এটা তাদের মজ্জাগত। যে কোনো বিপদে, যে কোনো দুঃসময়ে সবাই এক হয়ে লড়াই করতে জানে, তার প্রমাণ জুলাই দিয়েছে।’
তরুণদের ওপর আস্থার কথা জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমি একটা কথা খুব স্পষ্ট করে, দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই যে আমরা যারা বয়োজ্যেষ্ঠ আছি, আমরা অনেকগুলো লড়াই লড়েছি। আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি, পরবর্তীকালে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি।
‘আজকে আমাদের সামনে শোয়েবরা, জারারা (এনসিপি নেতা তাসনিম জারা), তারা এসছে, আশাবাদী যে আমরা ভবিষ্যতে আবার লড়াই করে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারব,’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ‘স্বপ্ন’ দেখতে হবে। আর সবচেয়ে বেশি দরকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার।
‘আমি শুধু আপনাদেরকে এই কথা বলতে চাই যে আমরা আধুনিক চিন্তা করি। আমাদের পরবর্তী জেনারেশন, আমাদের সামনের ছেলেরা, আমাদের মেয়েরা, তারা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি আধুনিক চিন্তা করে। সেটাকে ধারণ করার মত মানসিকতা আমাদের আছে এবং সেটাকে প্রমোট করার মত সংগঠন আমাদের করতে হবে,’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।
‘আমি আপনাদের যাদের কথা এখানে শুনলাম, আমি আরও আশাবাদী হয়ে উঠেছি যে আমাদের এই নতুন জেনারেশন তারা নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের নতুন সংগ্রামে, নতুন লড়াইয়ে, নতুন স্বপ্নের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিবে,’ বলেন ফখরুল।