অবৈধভাবে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ অস্ত্র রাখার অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাত আলীর তথ্যমতে, সম্রাট পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই রায়টি ঘোষণা করা হয়।
সম্রাটের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে, তবে এটি তার প্রথম মামলার রায় যেখানে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হলো।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনোর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে যান সম্রাট। পরবর্তীতে ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে র্যাব তাকে এবং তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে।
সেদিন বিকালে র্যাব সদস্যরা সম্রাটকে নিয়ে রাজধানীর কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালান। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার সেই অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত’ বৈদ্যুতিক যন্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার অভিযোগে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়। একই দিনে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয় র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেকের পক্ষ থেকে।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই শেখর চন্দ্র মল্লিক। একই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন এসআই আব্দুল হালিম।
২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। সে সময় তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু তাকে আটক করা সম্ভব না হওয়ায় পলাতক দেখিয়ে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
বিচারের সময় মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। গত ৭ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করে ২৮ অক্টোবর।
এর আগে ২০২৫ সালের ১৭ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায়ও সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এছাড়া ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের আরেক মামলায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে আদালত।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
অবৈধভাবে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ অস্ত্র রাখার অভিযোগে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাত আলীর তথ্যমতে, সম্রাট পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই রায়টি ঘোষণা করা হয়।
সম্রাটের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে, তবে এটি তার প্রথম মামলার রায় যেখানে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হলো।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনোর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর আত্মগোপনে চলে যান সম্রাট। পরবর্তীতে ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে র্যাব তাকে এবং তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে।
সেদিন বিকালে র্যাব সদস্যরা সম্রাটকে নিয়ে রাজধানীর কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালান। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার সেই অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত’ বৈদ্যুতিক যন্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব জানায়।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার অভিযোগে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়। একই দিনে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয় র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেকের পক্ষ থেকে।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই শেখর চন্দ্র মল্লিক। একই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন এসআই আব্দুল হালিম।
২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। সে সময় তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কিন্তু তাকে আটক করা সম্ভব না হওয়ায় পলাতক দেখিয়ে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
বিচারের সময় মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। গত ৭ অক্টোবর যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করে ২৮ অক্টোবর।
এর আগে ২০২৫ সালের ১৭ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায়ও সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এছাড়া ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের আরেক মামলায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে আদালত।