alt

গণভোটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ, সাংবিধানিক আদেশ চায় ঐকমত্য কমিশন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারি এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা তার আগে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা হস্তান্তরের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, “সাংবিধানিক আদেশ জারি করার পর এবং জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে সরকার যেন গণভোট আয়োজন করে—এটি আমরা লিখিতভাবে সুপারিশ করেছি। পাশাপাশি সরকারকে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে গণভোটের তফসিল নির্ধারণের পরামর্শও দিয়েছি।”

তবে পরে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক স্পষ্টীকরণে বলা হয়, কমিশনের সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজের বক্তব্য নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনের দিন বা তার আগে যেকোনো দিন সরকার জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজন করতে পারে—এই সুপারিশই কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংশোধন, সংযোজন ও পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জনগণের ক্ষমতা প্রয়োগের প্রস্তাব করেছে কমিশন। তার ভাষায়, “গণভোটের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে। আমরা মনে করি, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য এটি অত্যাবশ্যক। সে কারণেই গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, গণভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে সরকার। “আমরা শুধু বলেছি, সরকার যেন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।”

নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে জানিয়েছে, রমজানের আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে, আর ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। সে বিবেচনায় এর আগে গণভোট আয়োজন অর্থনৈতিকভাবে ব্যয়সাপেক্ষ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন এক কমিশনার।

দীর্ঘ আলোচনার ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারের যে উদ্যোগগুলো গ্রহণ করা হয়েছে, তার অঙ্গীকার হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদ ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়। তবে সনদে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট না থাকায় বিশেষজ্ঞদের মতামত ও রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন বাস্তবায়নসংক্রান্ত সুপারিশ চূড়ান্ত করে প্রধান উপদেষ্টার হাতে তা তুলে দেয়।

জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে গণভোট চেয়ে আসছিল, অন্যদিকে বিএনপিসহ কয়েকটি দল এ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছিল। শেষ পর্যন্ত গণভোটের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো হলেও কবে এবং কীভাবে তা হবে, সে প্রশ্নে মতভেদ রয়ে গেছে।

জামায়াত ও তার সহযোগী কয়েকটি দল আগামী নভেম্বরেই গণভোট আয়োজনের দাবি তুলেছে, পাশাপাশি তারা প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে। বিএনপি এই দুই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে এবং নভেম্বরে গণভোট চাওয়াকে ‘অন্য কোনো মাস্টারপ্ল্যান’-এর অংশ হিসেবে দেখছে।

গণভোটের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে আলী রীয়াজ বলেন, “সরকার একটি আদেশ জারি করবে, যার অধীনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে একটি প্রশ্ন থাকবে। তবে আদেশের সঙ্গে যুক্ত তফসিলে থাকা ৪৮টি বিষয়কে অন্তর্বর্তী সরকার বিল আকারে প্রস্তুত করে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা যেতে পারে।”

তার মতে, গণভোটের মাধ্যমে জনগণের অনুমোদন পাওয়া গেলে ওই বিলটি সংবিধান সংস্কার পরিষদের কাজে সহায়ক হবে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, “সংবিধান সংস্কার পরিষদ জুলাই সনদের মূল চেতনা ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন বা পরিবর্তন করবে। যদি ২৭০ দিনের মধ্যে পরিষদ দায়িত্ব সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়, তবে গণভোটে অনুমোদিত বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদগুলো প্রতিস্থাপন করবে।”

২৭০ দিন মেয়াদ শেষে সংবিধান সংস্কার পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। জাতীয় সংসদের সদস্যরাই এই পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা প্রস্তাব করেছি—সংসদের সদস্যরা সংসদীয় সদস্য হিসেবে এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে পৃথকভাবে শপথ নেবেন। পরিষদ নিজের রুলস অব প্রসিডিউর তৈরি করবে।”

তিনি জানান, সংসদের স্পিকার পরিষদের সভাপতি হবেন; অনুপস্থিত থাকলে ডেপুটি স্পিকার দায়িত্ব পালন করবেন, আর উভয়ের অনুপস্থিতিতে সভাপতি প্যানেল থেকে কেউ সভাপতিত্ব করবেন।

তার মতে, “আমরা বিশ্বাস করি, সংবিধান সংস্কার পরিষদ তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে এবং এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না, যেখানে সরকারের বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর করতে হবে। আমরা ইতিবাচক আস্থাই রাখতে চাই।”

ছবি

বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট: নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে

ছবি

এনসিপির শর্তে জুলাই সনদে সইয়ের ঘোষণা

ছবি

অস্ত্র মামলায় যুবলীগের সাবেক নেতা সম্রাটের যাবজ্জীবন

ছবি

নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে থাকবে ১৩ জন আনসার, প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নিরাপত্তায় থাক‌বে একজন সশস্ত্র আনসার

ছবি

ইসলামী ব্যাংক কর্মীদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দিতে ‘বিএনপির আহ্বানে’ জামায়াতের উদ্বেগ

ছবি

সমাবেশে বক্তাদের হুঁশিয়ারি, বিদেশিদের বন্দর দেয়ার সিদ্ধান্ত না পাল্টালে তীব্র আন্দোলন

ছবি

রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে তারেকের রুদ্ধদ্বার বৈঠক

ছবি

রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির শতাধিক নেতা কর্মীর বিএনপিতে যোগদান

ছবি

নির্বাচনী জোট নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি এনসিপি: সারজিস

ছবি

বিএনপি যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সুযোগ্য করে গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ : ডঃ মঈন খান

ছবি

বিএনপি ক্ষমতায় এলে বিলুপ্ত হবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ: আমীর খসরু

ছবি

ঘিওরে বিএনপির ৩১ দফা প্রচারে পথসভা

ছবি

বিএনপির লক্ষ্য ‘বৃহৎ জোট গঠন’, বললেন সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

মাহফুজ আলমের বক্তব্যে বিভ্রান্তি এড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

ছবি

ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে, এমন কিছুতে যাওয়া ঠিক হবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

‘আপত্তিকর মন্তব্যের’ অভিযোগ, পুবাইল থানার ওসির শাস্তি দাবি জামায়াতের

পিএসসি স্বায়ত্তশাসন চাইলেও জনপ্রশাসন ‘গুম চালায়’: হাসনাত

ছবি

জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়া মানেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে: আখতার

ছবি

‘জোট করলেও ভোট দলীয় প্রতীকে’: বিএনপির আপত্তি, ইসিকে চিঠি

ছবি

সংসদ নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা ও পরিবেশ নিয়ে খোঁজ নিল কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দল

ছবি

দেশের অশান্তি সৃষ্টির জন্য বিদেশ থেকে অর্থ পাঠানো হচ্ছে: অলি আহমদ

ছবি

দলগুলোর মধ্যে ‘কোনো বিভেদ নেই’: আমীর খসরু

ছবি

শফিকের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর মন্তব্যের’ অভিযোগ, পুবাইল থানার ওসির শাস্তি দাবি জামায়াতের

ছবি

আরপিও সংশোধনে আপত্তি বিএনপির: জোটবদ্ধ দলগুলোর প্রতীকে ভোটের সুযোগ রাখার দাবি

ছবি

সনদ বাস্তবায়নে বিএনপির বাধা, নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

ছবি

‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারী’ দলগুলোর ঐক্য চান ফখরুল

ছবি

অভিযুক্ত উপদেষ্টারা থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে: আমীর খসরু

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ‘আদেশ প্রস্তুত করছে’ কমিশন, অগ্রগতি হিসেবে দেখছে এনসিপি

ছবি

অবাধ নির্বাচনের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্দলীয়ভাবে পুনর্গঠনের আহ্বান সিপিবির

ছবি

নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্টের অভিযোগ: ইসলামী আন্দোলন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া প্রস্তুত করছে: এনসিপি

ছবি

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জুলাই সনদভুক্ত দলগুলোকে ঐক্যের আহ্বান মির্জা ফখরুলের

ছবি

৭ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলো বিএনপি

ছবি

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে: ডা. জাহিদ হোসেন

ছবি

পাটওয়ারীর পদত্যাগের খবর, এনসিপির অস্বীকার

ছবি

শাহবাগে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত এক

tab

গণভোটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ, সাংবিধানিক আদেশ চায় ঐকমত্য কমিশন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারি এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন বা তার আগে গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা হস্তান্তরের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবাদিকদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, “সাংবিধানিক আদেশ জারি করার পর এবং জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে সরকার যেন গণভোট আয়োজন করে—এটি আমরা লিখিতভাবে সুপারিশ করেছি। পাশাপাশি সরকারকে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে গণভোটের তফসিল নির্ধারণের পরামর্শও দিয়েছি।”

তবে পরে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক স্পষ্টীকরণে বলা হয়, কমিশনের সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজের বক্তব্য নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, নির্বাচনের দিন বা তার আগে যেকোনো দিন সরকার জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে গণভোট আয়োজন করতে পারে—এই সুপারিশই কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংশোধন, সংযোজন ও পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জনগণের ক্ষমতা প্রয়োগের প্রস্তাব করেছে কমিশন। তার ভাষায়, “গণভোটের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে। আমরা মনে করি, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য এটি অত্যাবশ্যক। সে কারণেই গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, গণভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে সরকার। “আমরা শুধু বলেছি, সরকার যেন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।”

নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে জানিয়েছে, রমজানের আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে, আর ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। সে বিবেচনায় এর আগে গণভোট আয়োজন অর্থনৈতিকভাবে ব্যয়সাপেক্ষ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন এক কমিশনার।

দীর্ঘ আলোচনার ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কারের যে উদ্যোগগুলো গ্রহণ করা হয়েছে, তার অঙ্গীকার হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদ ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়। তবে সনদে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট না থাকায় বিশেষজ্ঞদের মতামত ও রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন বাস্তবায়নসংক্রান্ত সুপারিশ চূড়ান্ত করে প্রধান উপদেষ্টার হাতে তা তুলে দেয়।

জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে গণভোট চেয়ে আসছিল, অন্যদিকে বিএনপিসহ কয়েকটি দল এ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছিল। শেষ পর্যন্ত গণভোটের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো হলেও কবে এবং কীভাবে তা হবে, সে প্রশ্নে মতভেদ রয়ে গেছে।

জামায়াত ও তার সহযোগী কয়েকটি দল আগামী নভেম্বরেই গণভোট আয়োজনের দাবি তুলেছে, পাশাপাশি তারা প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন চাচ্ছে। বিএনপি এই দুই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে এবং নভেম্বরে গণভোট চাওয়াকে ‘অন্য কোনো মাস্টারপ্ল্যান’-এর অংশ হিসেবে দেখছে।

গণভোটের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে আলী রীয়াজ বলেন, “সরকার একটি আদেশ জারি করবে, যার অধীনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে একটি প্রশ্ন থাকবে। তবে আদেশের সঙ্গে যুক্ত তফসিলে থাকা ৪৮টি বিষয়কে অন্তর্বর্তী সরকার বিল আকারে প্রস্তুত করে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা যেতে পারে।”

তার মতে, গণভোটের মাধ্যমে জনগণের অনুমোদন পাওয়া গেলে ওই বিলটি সংবিধান সংস্কার পরিষদের কাজে সহায়ক হবে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, “সংবিধান সংস্কার পরিষদ জুলাই সনদের মূল চেতনা ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন বা পরিবর্তন করবে। যদি ২৭০ দিনের মধ্যে পরিষদ দায়িত্ব সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়, তবে গণভোটে অনুমোদিত বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদগুলো প্রতিস্থাপন করবে।”

২৭০ দিন মেয়াদ শেষে সংবিধান সংস্কার পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। জাতীয় সংসদের সদস্যরাই এই পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আলী রীয়াজ বলেন, “আমরা প্রস্তাব করেছি—সংসদের সদস্যরা সংসদীয় সদস্য হিসেবে এবং সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে পৃথকভাবে শপথ নেবেন। পরিষদ নিজের রুলস অব প্রসিডিউর তৈরি করবে।”

তিনি জানান, সংসদের স্পিকার পরিষদের সভাপতি হবেন; অনুপস্থিত থাকলে ডেপুটি স্পিকার দায়িত্ব পালন করবেন, আর উভয়ের অনুপস্থিতিতে সভাপতি প্যানেল থেকে কেউ সভাপতিত্ব করবেন।

তার মতে, “আমরা বিশ্বাস করি, সংবিধান সংস্কার পরিষদ তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে এবং এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না, যেখানে সরকারের বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর করতে হবে। আমরা ইতিবাচক আস্থাই রাখতে চাই।”

back to top