ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে একমত হয়ে আমরা সবাই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি। সবকিছু পর্যালোচনা শেষে সবাই একমত হয়েছি, একটি সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে গ্রহণ করা হবে এবং এটার ওপর একটা গণভোট হবে। গণভোটের পর যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সংসদের মাধ্যমে ২৭০ দিনে এটাকে সংবিধানে যুক্ত করা হবে। সবকিছু ঠিক, আমরাও রাজি, বিএনপিও রাজি। কিন্তু হঠাৎ করেই বিএনপি পল্টি নিয়েছে। তারা এতদিন ধরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে থেকে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের পর এখন বলছে, আমরা এটাকে মানি না। বিএনপি বর্তমানে অন্যায়ভাবে এই সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।’
শুক্রবার,(৩১ অক্টোবর ২০২৫) সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার এলাকায় কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন। সেখানে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াত আয়োজিত ভোট কেন্দ্র পরিচালক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘বিএনপি যদি সংস্কার না মানে, তাহলে এই প্রক্রিয়ার শুরুর আগে তারা বলতে পারতো। তখন হয়তো বিএনপি ছাড়াই জুলাই সনদ হতো বা হতো না। এতগুলো রাজনৈতিক দলের সময় নষ্ট করে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে সবাই যখন একটি জায়গায় পৌঁছেছে, তখনই বিএনপি সংস্কারের বিরোধিতা করছে। আমি মনে করি, এটি বিএনপির দায়িত্বহীনতার পরিচয়। বিএনপি পরিকল্পিতভাবে দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, এই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরির একটি অপকৌশল অবলম্বন করেছে তারা।’
সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী শুরু থেকেই বলছে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়েই সংস্কার করতে হবে। কারণ জনগণই ক্ষমতার উৎস। এখন বিএনপি বলছে, আমরা গণভোট মানি, তবে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একইসঙ্গে হতে হবে। গণভোট হচ্ছে সংস্কারের জন্য এবং জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে সরকার গঠনের জন্য। তারা তালের রস ও রামের রস একসঙ্গে মেশাতে চায়। বিএনপি সব জায়গায় গিয়ে ঝামেলা সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।’ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে তো বিএনপির কোনো লাভ দেখছি না। তাহলে তারা এমনটা কেন করছে, আমার বুঝে আসে না। নির্বাচন না হলে যারা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে, তারাই আরেকটি সুযোগ পাবে। আচরণ দেখে মনে হচ্ছে বিএনপি সংস্কারবিহীন যে বাংলাদেশ আমরা আওয়ামী লীগের সময় দেখেছি, সেই বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশকে আওয়ামী জাহেলিয়াতের দিকে ফিরে যেতে এ দেশের মানুষ কখনোই দেবে না।’
সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আরও বলেন, ‘এই সরকার চাপের কাছে যদি নতি স্বীকার করে এবং সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে, তাহলে বুঝতে হবে এই সরকার আর নিরপেক্ষ নেই। সরকার যদি নিরপেক্ষতা হারায় এবং কোনো দলের প্রতি আনুগত্য পোষণ করে, তাহলে সেই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। এই সরকারের ওপর মানুষ আস্থা রাখবে কিনা, সেটা নিয়েও এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই সরকার যদি কোনো দলের প্রতিনিধিত্ব করে, কোনো দলের কাছে মাথানত করে, তাহলে এই সরকারের প্রতি আস্থা রাখার কোনো সুযোগ আমাদের আর নেই।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- জামায়াতের কুমিল্লা অঞ্চলের টিম সদস্য আবদুস সাত্তার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ শাহজাহান, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মাহবুবর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান ভূঁইয়া এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে একমত হয়ে আমরা সবাই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি। সবকিছু পর্যালোচনা শেষে সবাই একমত হয়েছি, একটি সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে গ্রহণ করা হবে এবং এটার ওপর একটা গণভোট হবে। গণভোটের পর যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনের সংসদের মাধ্যমে ২৭০ দিনে এটাকে সংবিধানে যুক্ত করা হবে। সবকিছু ঠিক, আমরাও রাজি, বিএনপিও রাজি। কিন্তু হঠাৎ করেই বিএনপি পল্টি নিয়েছে। তারা এতদিন ধরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে থেকে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের পর এখন বলছে, আমরা এটাকে মানি না। বিএনপি বর্তমানে অন্যায়ভাবে এই সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।’
শুক্রবার,(৩১ অক্টোবর ২০২৫) সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার এলাকায় কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন। সেখানে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াত আয়োজিত ভোট কেন্দ্র পরিচালক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।
সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘বিএনপি যদি সংস্কার না মানে, তাহলে এই প্রক্রিয়ার শুরুর আগে তারা বলতে পারতো। তখন হয়তো বিএনপি ছাড়াই জুলাই সনদ হতো বা হতো না। এতগুলো রাজনৈতিক দলের সময় নষ্ট করে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে সবাই যখন একটি জায়গায় পৌঁছেছে, তখনই বিএনপি সংস্কারের বিরোধিতা করছে। আমি মনে করি, এটি বিএনপির দায়িত্বহীনতার পরিচয়। বিএনপি পরিকল্পিতভাবে দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, এই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরির একটি অপকৌশল অবলম্বন করেছে তারা।’
সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী শুরু থেকেই বলছে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়েই সংস্কার করতে হবে। কারণ জনগণই ক্ষমতার উৎস। এখন বিএনপি বলছে, আমরা গণভোট মানি, তবে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একইসঙ্গে হতে হবে। গণভোট হচ্ছে সংস্কারের জন্য এবং জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে সরকার গঠনের জন্য। তারা তালের রস ও রামের রস একসঙ্গে মেশাতে চায়। বিএনপি সব জায়গায় গিয়ে ঝামেলা সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।’ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে তো বিএনপির কোনো লাভ দেখছি না। তাহলে তারা এমনটা কেন করছে, আমার বুঝে আসে না। নির্বাচন না হলে যারা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে, তারাই আরেকটি সুযোগ পাবে। আচরণ দেখে মনে হচ্ছে বিএনপি সংস্কারবিহীন যে বাংলাদেশ আমরা আওয়ামী লীগের সময় দেখেছি, সেই বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশকে আওয়ামী জাহেলিয়াতের দিকে ফিরে যেতে এ দেশের মানুষ কখনোই দেবে না।’
সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আরও বলেন, ‘এই সরকার চাপের কাছে যদি নতি স্বীকার করে এবং সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে, তাহলে বুঝতে হবে এই সরকার আর নিরপেক্ষ নেই। সরকার যদি নিরপেক্ষতা হারায় এবং কোনো দলের প্রতি আনুগত্য পোষণ করে, তাহলে সেই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। এই সরকারের ওপর মানুষ আস্থা রাখবে কিনা, সেটা নিয়েও এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই সরকার যদি কোনো দলের প্রতিনিধিত্ব করে, কোনো দলের কাছে মাথানত করে, তাহলে এই সরকারের প্রতি আস্থা রাখার কোনো সুযোগ আমাদের আর নেই।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- জামায়াতের কুমিল্লা অঞ্চলের টিম সদস্য আবদুস সাত্তার, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ শাহজাহান, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মাহবুবর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান ভূঁইয়া এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির সাহাব উদ্দিন প্রমুখ।