alt

বঙ্গভবন থেকে মুজিবের ছবি নামানো ‘অন্যায়’ হয়েছে: সেলিম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

রাষ্ট্রপতির বাসভবন- বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানোটা ‘অন্যায়’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতিম-লীর সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। গতকাল শুক্রবার ঢাকার তোপখানা রোডে বিএমএ মিলনায়তনে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক সম্মেলনে’ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর একই বছরের ১১ই নভেম্বর বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলা হয়। সেদিন এক ফেইসবুক পোস্টে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছিলেন, ‘বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে ৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাকে আর কোথাও দেখা যাবে না।’

সে প্রসঙ্গ ধরে সেলিম বলেন, ‘মুজিবের ছবি বঙ্গভবন থেকে নামিয়ে দিয়েছে। খুব অন্যায় কাজ করেছে। মুজিবের ছবি নামানো ঠিক হয় নাই। মুজিবের ছবি থাকবে, কিন্তু পাশে ভাসানীর ছবিও রাখতে হবে। পাশে কর্নেল তাহেরের ছবিও রাখতে হবে। পাশে মনি সিংহের ছবিও রাখতে হবে।’

তনি বলেন, ‘এই সরকারকে নিরপেক্ষ সরকারের মতো আচরণ করতে হবে? সমস্ত দলীয় সংযোগ অবিলম্বে ছিন্ন করে দিতে হবে। তা না হলে এই সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। এটা সমস্ত জনগণই বোঝে।’

বৈষম্যের বিরোধিতা করে অভ্যুত্থান হলেও বৈষম্য দূর হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সম্ভাবনা এবং সংকটের এক দোলাচলের ভেতরে আমরা চলছি। গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। বলা হলো, এটা হলো বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থান।

‘আমি ইউনূস সাহেবকে প্রশ্ন করতে চাই, দেড় বছর পার হয়ে যাচ্ছে, বৈষম্য দূর করেছেন? এক ইঞ্চি বৈষম্য দূর হয় নাই।’

সেলিম বলেন, ‘নানা ক্ষেত্রে বৈষম্য আছে। কিন্তু অর্থনৈতিক বৈষম্য হলো প্রধান। হিসাব বলে, ইউনূস সাহেব আসার পর দরিদ্র মানুষের সংখ্যা আরও বেড়েছে। দেশে যদি শোষণ আর বৈষম্য বহাল থাকে, অর্থনৈতিক অবস্থা যদি এরকমই হয় যে গরিবের সম্পদ খালি বড়োলোকের কাছে যেতে থাকবে, তাহলে শোষণ আর বৈষম্য কমবে না।’ জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে ঐক্যমত্য কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একটা কাগজে সই নিয়েছে। এখন আরেকটি কাগজ ছাপিয়ে দিয়ে বলছে, এটাই হচ্ছে ঐকমত্যের দলিল।’

গণভোট প্রসঙ্গেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তার ভাষ্য, গণভোটের মাধ্যমে সরকার বিরাট ‘চাল’ চেলেছে। ‘তারা এতগুলো বিষয় নিয়ে গণভোট করবে। আপনাকে বলতে হবে ‘হ্যাঁ’ কি ‘না’। আমি ১৩ নম্বর মানি, ১৪ নম্বর মানি না, ১৫ নম্বর অর্ধেক মানি। ১৬ নম্বর পোয়াটা মানি। আপনি কী করবেন? হ্যাঁ-ও বলতে পারছেন না। না-ও বলতে পারছেন না।

“কিন্তু আপনাকে হ্যাঁ-না দুটোর একটি বলতে হবে। এটা একটা বিরাট চাল চেলেছে। এবং সেটা যদি নির্বাচনের আগে করে ফেলে তাহলে তারা কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে প্রধান ভিত্তি, সে ভিত্তি ধুলিস্মাৎ করে দেবে।’

এ কথার ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘কেননা তাদের মুখ থেকেই উচ্চারিত হয়েছিল যে, আমরা নতুন সংবিধান করবো, নতুন পতাকা করবো এবং নতুন রাষ্ট্র আমরা এখানে প্রতিষ্ঠা করবো। এই কথা বলে কিন্তু তারা শুরু করেছিল। করতে পারেনি। কিন্তু ষড়যন্ত্র তাদের দূর হয় নাই।’

জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের জন্য সুবিধা হয়, যদি পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে; পরিস্থিতির ভেতর অনিশ্চয়তা যদি তারা টিকিয়ে রাখতে পারে। ‘সুতরাং পায়ে-পা লাগিয়ে ঝগড়া তারা লাগাবে; বিবাদ লাগাবো; সংঘাত লাগাবে, যেন নির্বাচন হতে না পারে।’

ছবি

একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চব্বিশকে বড় করতে চায় একটি মহল: বিএনপি

ছবি

ভোলায় বিজেপি-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ ‘অশ্বডিম্ব’: সিপিবি সভাপতি

ছবি

নির্বাচনের আগে একটি দল জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

গণভোটের আদেশ দিতে হবে মুহাম্মদ ইউনূসকে, অধ্যাদেশ নয়–হাসনাত আব্দুল্লাহ

ছবি

ঐকমত্য কমিশনসহ কয়েকটি দল বিএনপির ওপর মত চাপিয়ে দিতে চায়: আমীর খসরু

ছবি

স্বাধীনতা যুদ্ধ ভুলিয়ে দিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে বড় করে দেখানো হচ্ছে’: ফখরুল

ছবি

বিএনপি অন্যায়ভাবে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে: জামায়াত নেতা তাহের

ছবি

বিদেশে যেতে দেয়া হলো না কেন, সরকারের ব্যাখ্যা চান মিলন

ছবি

ঝটিকা মিছিল থেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৪৬ জন গ্রেপ্তার: ডিএমপি

ছবি

সরকারে তিন দলের প্রভাব, জামায়াতের কর্তৃত্ব সবচেয়ে বেশি: আনু মুহাম্মদ

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার ও ঐক্যমত্য কমিশন ‘সংকট সৃষ্টি’ করেছে: মির্জা ফখরুল

ছবি

বিএনপি সরকারের ওপর ‘অন্যায়ভাবে চাপ সৃষ্টি’ করছে: জামায়াত নেতা তাহের

ঢাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে পুলিশের অভিযান, আটক ৩০ নেতা-কর্মী

ছবি

বিদেশে যেতে না দেওয়ায় সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাইলেন বিএনপি নেতা মিলন

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে: মির্জা ফখরুল

ছবি

সনদ বাস্তবায়নে প্রথম প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে হবে: সরকারকে এনসিপি

ছবি

ক্ষমা চাইতে নারাজ, সমর্থকদের ভোট বর্জনের হুঁশিয়ারি হাসিনার

ছবি

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ: হতাশ বিএনপি, বললো ‘প্রতারণা’

ছবি

উখিয়া-টেকনাফে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ হোন

ছবি

জুলাই সনদে সইয়ে যেসব শর্ত দিলো এনসিপি

ছবি

গণভোট আয়োজনের প্রস্তাবসহ নির্বাচন কমিশনকে জামায়াতের ১৮ দফা সুপারিশ

ছবি

আইসিসিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর ‘সহিংসতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগ

ছবি

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই: আমীর খসরু

ছবি

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে ‘বহির্ভূত বিষয়’ যুক্তের অভিযোগ বিএনপির সালাহউদ্দিনের

ছবি

বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট: নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে

ছবি

এনসিপির শর্তে জুলাই সনদে সইয়ের ঘোষণা

ছবি

গণভোটে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ, সাংবিধানিক আদেশ চায় ঐকমত্য কমিশন

ছবি

অস্ত্র মামলায় যুবলীগের সাবেক নেতা সম্রাটের যাবজ্জীবন

ছবি

নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে থাকবে ১৩ জন আনসার, প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নিরাপত্তায় থাক‌বে একজন সশস্ত্র আনসার

ছবি

ইসলামী ব্যাংক কর্মীদের নির্বাচনী দায়িত্ব না দিতে ‘বিএনপির আহ্বানে’ জামায়াতের উদ্বেগ

ছবি

সমাবেশে বক্তাদের হুঁশিয়ারি, বিদেশিদের বন্দর দেয়ার সিদ্ধান্ত না পাল্টালে তীব্র আন্দোলন

ছবি

রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে তারেকের রুদ্ধদ্বার বৈঠক

ছবি

রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির শতাধিক নেতা কর্মীর বিএনপিতে যোগদান

ছবি

নির্বাচনী জোট নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি এনসিপি: সারজিস

ছবি

বিএনপি যুবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সুযোগ্য করে গড়ে তুলতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ : ডঃ মঈন খান

tab

বঙ্গভবন থেকে মুজিবের ছবি নামানো ‘অন্যায়’ হয়েছে: সেলিম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

রাষ্ট্রপতির বাসভবন- বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানোটা ‘অন্যায়’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতিম-লীর সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। গতকাল শুক্রবার ঢাকার তোপখানা রোডে বিএমএ মিলনায়তনে ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক সম্মেলনে’ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর একই বছরের ১১ই নভেম্বর বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলা হয়। সেদিন এক ফেইসবুক পোস্টে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছিলেন, ‘বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে ৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাকে আর কোথাও দেখা যাবে না।’

সে প্রসঙ্গ ধরে সেলিম বলেন, ‘মুজিবের ছবি বঙ্গভবন থেকে নামিয়ে দিয়েছে। খুব অন্যায় কাজ করেছে। মুজিবের ছবি নামানো ঠিক হয় নাই। মুজিবের ছবি থাকবে, কিন্তু পাশে ভাসানীর ছবিও রাখতে হবে। পাশে কর্নেল তাহেরের ছবিও রাখতে হবে। পাশে মনি সিংহের ছবিও রাখতে হবে।’

তনি বলেন, ‘এই সরকারকে নিরপেক্ষ সরকারের মতো আচরণ করতে হবে? সমস্ত দলীয় সংযোগ অবিলম্বে ছিন্ন করে দিতে হবে। তা না হলে এই সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। এটা সমস্ত জনগণই বোঝে।’

বৈষম্যের বিরোধিতা করে অভ্যুত্থান হলেও বৈষম্য দূর হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সম্ভাবনা এবং সংকটের এক দোলাচলের ভেতরে আমরা চলছি। গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। বলা হলো, এটা হলো বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থান।

‘আমি ইউনূস সাহেবকে প্রশ্ন করতে চাই, দেড় বছর পার হয়ে যাচ্ছে, বৈষম্য দূর করেছেন? এক ইঞ্চি বৈষম্য দূর হয় নাই।’

সেলিম বলেন, ‘নানা ক্ষেত্রে বৈষম্য আছে। কিন্তু অর্থনৈতিক বৈষম্য হলো প্রধান। হিসাব বলে, ইউনূস সাহেব আসার পর দরিদ্র মানুষের সংখ্যা আরও বেড়েছে। দেশে যদি শোষণ আর বৈষম্য বহাল থাকে, অর্থনৈতিক অবস্থা যদি এরকমই হয় যে গরিবের সম্পদ খালি বড়োলোকের কাছে যেতে থাকবে, তাহলে শোষণ আর বৈষম্য কমবে না।’ জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে ঐক্যমত্য কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘একটা কাগজে সই নিয়েছে। এখন আরেকটি কাগজ ছাপিয়ে দিয়ে বলছে, এটাই হচ্ছে ঐকমত্যের দলিল।’

গণভোট প্রসঙ্গেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তার ভাষ্য, গণভোটের মাধ্যমে সরকার বিরাট ‘চাল’ চেলেছে। ‘তারা এতগুলো বিষয় নিয়ে গণভোট করবে। আপনাকে বলতে হবে ‘হ্যাঁ’ কি ‘না’। আমি ১৩ নম্বর মানি, ১৪ নম্বর মানি না, ১৫ নম্বর অর্ধেক মানি। ১৬ নম্বর পোয়াটা মানি। আপনি কী করবেন? হ্যাঁ-ও বলতে পারছেন না। না-ও বলতে পারছেন না।

“কিন্তু আপনাকে হ্যাঁ-না দুটোর একটি বলতে হবে। এটা একটা বিরাট চাল চেলেছে। এবং সেটা যদি নির্বাচনের আগে করে ফেলে তাহলে তারা কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে প্রধান ভিত্তি, সে ভিত্তি ধুলিস্মাৎ করে দেবে।’

এ কথার ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘কেননা তাদের মুখ থেকেই উচ্চারিত হয়েছিল যে, আমরা নতুন সংবিধান করবো, নতুন পতাকা করবো এবং নতুন রাষ্ট্র আমরা এখানে প্রতিষ্ঠা করবো। এই কথা বলে কিন্তু তারা শুরু করেছিল। করতে পারেনি। কিন্তু ষড়যন্ত্র তাদের দূর হয় নাই।’

জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের জন্য সুবিধা হয়, যদি পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে; পরিস্থিতির ভেতর অনিশ্চয়তা যদি তারা টিকিয়ে রাখতে পারে। ‘সুতরাং পায়ে-পা লাগিয়ে ঝগড়া তারা লাগাবে; বিবাদ লাগাবো; সংঘাত লাগাবে, যেন নির্বাচন হতে না পারে।’

back to top