বন্দর কিংবা স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের মতো বিষয় একটি দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিতে পারে। এই ধরণের কৌশলগত সিদ্ধান্ত একটি অনির্বাচিত সরকার গ্রহণ করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার মতে, দেশের জনগণের ওপর এসব সিদ্ধান্তের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, এলডিসি তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ-পরিচালনা ও পানগাঁও নৌ টার্মিনাল পরিচালনার ভার বিদেশি কোম্পানিকে দেয়াসহ কৌশলগত বিষয়ে অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার নেই। বন্দরের বিষয়ে সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলো নিয়মিত কাজের (রুটিন ওয়ার্ক) অংশ নয়।
গতকাল সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে ইংরেজিতে লেখা এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। তারেক রহমান বলেন, ‘একটি দেশ যেই সরকারকে নির্বাচিত করেনি, সেই সরকার দেশের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিতে পারে না।’ তার মতে, দেশের জনগণের ওপর এসব সিদ্ধান্তের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে। এই সিদ্ধান্তগুলো এমন একটি অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে যাদের গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেট নেই।
এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়সূচি এগিয়ে নেয়া পুরোপুরি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘সময় নেয়ার বিকল্প পথে না গিয়ে ২০২৬ সালে উত্তরণের সময়সূচি এগিয়ে নেয়া পুরোপুরি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, অথচ তা নিচ্ছে এমন একটি অন্তর্বর্তী সরকার, যাদের কোনো নির্বাচনী ম্যান্ডেট নেই।’তার দাবি, ‘ইতিহাস আরও জটিল গল্প বলছে’। অ্যাঙ্গোলা ও সামোয়ার মতো দেশগুলোর জন্য উত্তরণের সময়সীমা পরিবর্তন করা হয়েছে। জাতিসংঘের নিয়মও বলছে, কোনো দেশ অর্থনৈতিকভাবে ধাক্কা খেলে সময়সীমা নিয়ে নমনীয়তা দেখানো যায়। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘আমরা কেন বিকল্প না থাকার ভান করছি? কেন আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ সংকুচিত করছি?’ উত্তরণে ‘যোগ্য’ হওয়া আর ‘প্রস্তুত’ হওয়া এক জিনিস নয় বলে মন্তব্য তার।
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবেশদ্বার হিসেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, সেখানে যা ঘটে, সেটা লাখ লাখ মানুষের জীবনে রাজনৈতিক বোলচালের চেয়েও বেশি প্রভাব ফেলে। তার অভিযোগ, এলডিসি উত্তরণের মতো বন্দরের ক্ষেত্রেও সব কৌশলগত বিকল্প বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জনগণের সমালোচনাকে ভালোভাবে নেয়া হচ্ছে না এবং যৌক্তিক উদ্বেগগুলোকে দ্রুততা ও অনিবার্যতার অজুহাত দেখিয়ে উপেক্ষা করা হচ্ছে।
তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেন, এটা কোনো ব্যক্তিগত সমালোচনা নয় বরং প্রতিষ্ঠান ও নীতিকে সুরক্ষা দেয়ার বিষয়। এসব সিদ্ধান্ত সেই সরকারের নেয়া উচিত, জনগণের কাছে যাদের জবাবদিহি রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া সহজ, তাদের কথা শোনা হোক, তারা অংশ নিতে পারুক এবং তাদের সম্মান জানানো হোক।
উপসংহারে তিনি বলেন, ‘কৌশলগত ধৈর্য কখনোই দুর্বলতা নয়। জনগণের মতামত কোনো বাধা নয়। গণতান্ত্রিক বৈধতা মানে বিলম্ব নয়।’ এ কারণেই দেশের মানুষ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
বন্দর কিংবা স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের মতো বিষয় একটি দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিতে পারে। এই ধরণের কৌশলগত সিদ্ধান্ত একটি অনির্বাচিত সরকার গ্রহণ করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার মতে, দেশের জনগণের ওপর এসব সিদ্ধান্তের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, এলডিসি তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ-পরিচালনা ও পানগাঁও নৌ টার্মিনাল পরিচালনার ভার বিদেশি কোম্পানিকে দেয়াসহ কৌশলগত বিষয়ে অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার নেই। বন্দরের বিষয়ে সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলো নিয়মিত কাজের (রুটিন ওয়ার্ক) অংশ নয়।
গতকাল সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে ইংরেজিতে লেখা এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। তারেক রহমান বলেন, ‘একটি দেশ যেই সরকারকে নির্বাচিত করেনি, সেই সরকার দেশের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিতে পারে না।’ তার মতে, দেশের জনগণের ওপর এসব সিদ্ধান্তের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব রয়েছে। এই সিদ্ধান্তগুলো এমন একটি অন্তর্বর্তী সরকার নিচ্ছে যাদের গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেট নেই।
এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়সূচি এগিয়ে নেয়া পুরোপুরি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘সময় নেয়ার বিকল্প পথে না গিয়ে ২০২৬ সালে উত্তরণের সময়সূচি এগিয়ে নেয়া পুরোপুরি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, অথচ তা নিচ্ছে এমন একটি অন্তর্বর্তী সরকার, যাদের কোনো নির্বাচনী ম্যান্ডেট নেই।’তার দাবি, ‘ইতিহাস আরও জটিল গল্প বলছে’। অ্যাঙ্গোলা ও সামোয়ার মতো দেশগুলোর জন্য উত্তরণের সময়সীমা পরিবর্তন করা হয়েছে। জাতিসংঘের নিয়মও বলছে, কোনো দেশ অর্থনৈতিকভাবে ধাক্কা খেলে সময়সীমা নিয়ে নমনীয়তা দেখানো যায়। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘আমরা কেন বিকল্প না থাকার ভান করছি? কেন আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ সংকুচিত করছি?’ উত্তরণে ‘যোগ্য’ হওয়া আর ‘প্রস্তুত’ হওয়া এক জিনিস নয় বলে মন্তব্য তার।
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবেশদ্বার হিসেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, সেখানে যা ঘটে, সেটা লাখ লাখ মানুষের জীবনে রাজনৈতিক বোলচালের চেয়েও বেশি প্রভাব ফেলে। তার অভিযোগ, এলডিসি উত্তরণের মতো বন্দরের ক্ষেত্রেও সব কৌশলগত বিকল্প বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জনগণের সমালোচনাকে ভালোভাবে নেয়া হচ্ছে না এবং যৌক্তিক উদ্বেগগুলোকে দ্রুততা ও অনিবার্যতার অজুহাত দেখিয়ে উপেক্ষা করা হচ্ছে।
তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেন, এটা কোনো ব্যক্তিগত সমালোচনা নয় বরং প্রতিষ্ঠান ও নীতিকে সুরক্ষা দেয়ার বিষয়। এসব সিদ্ধান্ত সেই সরকারের নেয়া উচিত, জনগণের কাছে যাদের জবাবদিহি রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া সহজ, তাদের কথা শোনা হোক, তারা অংশ নিতে পারুক এবং তাদের সম্মান জানানো হোক।
উপসংহারে তিনি বলেন, ‘কৌশলগত ধৈর্য কখনোই দুর্বলতা নয়। জনগণের মতামত কোনো বাধা নয়। গণতান্ত্রিক বৈধতা মানে বিলম্ব নয়।’ এ কারণেই দেশের মানুষ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।