অভিনন্দন! সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল। তারা সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় তারা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। তাদের এই অর্জনে আমরা গর্বিত। আনন্দিত! অভিনন্দন!
রোববার নেপালের কাঠমান্ডুতে ফাইনালে টাইব্রেকারে ভারতের বিরুদ্ধে ৩-২ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে খেলা টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়ায়। ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে থেকেও মেয়েরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে এবং শিরোপার দেখা পেয়েছে। শিরোপার কাছে গিয়ে আগে অনেকবারই বাংলাদেশকে না পাওয়ার বেদনায় পুড়তে হয়েছে। এবার তারা শেষ হাসিটা হেসেছে।
ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের আরও অনেক অর্জন রয়েছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের বিভিন্ন পর্যায়ে তারা শিরোপা জিতেছে। নারী ফুটবলারদের সাফল্য দেশবাসীকে গর্বিত করেছে। আশা করি, আগামীতে তারা সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।
নারী ফুটবল দলকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে নারী ক্রীড়াবিদদের আর্থসামাজিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়। সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখা প্রশংসার দাবি রাখে।
আউটডোর ও ইনডোর অনেক খেলাতেই নারীদের উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে। ক্রিকেটে নারীদের অনেক অর্জন আছে। সাঁতার, ভারোত্তোলন, দাবাসহ বিভিন্ন খেলায় নারী ক্রীড়াবিদরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।
সব খেলাতেই সাফল্য অর্জন করতে হলে একজন নারী খেলোয়াড়কে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। তাদের পক্ষে কোনো একটি খেলায় অংশ নেয়া সহজ নয়। অনেককে নিজ পরিবার ও সমাজের বাধা মোকাবিলা করে খেলায় মনোনিবেশ করতে হয়। পেশাদার ক্রীড়া জগতেও রয়েছে প্রতিকূলতা। প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে খেলার নানান স্তরে পুরুষ ক্রীড়াবিদরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পান, নারী ক্রীড়াবিদরা তা পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। এখন অবশ্য নারী ক্রীড়াবিদদের সুযোগ-সুবিধা ধীরে ধীরে বাড়ছে। আশা করি, আগামীতে সেটা বজায় থাকবে।
দেশে অন্যান্য অঙ্গনের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও সব বাধা ডিঙ্গিয়ে দেশের নারীরা তাদের সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন। আমরা আশা করব, ক্রীড়াঙ্গনসহ সব ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীর প্রতিভা বিকাশে সমান সুযোগ তৈরি হবে। নারীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে তারা আগামীতে আরো সাফল্য অর্জন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।
সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
অভিনন্দন! সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দল। তারা সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় তারা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। তাদের এই অর্জনে আমরা গর্বিত। আনন্দিত! অভিনন্দন!
রোববার নেপালের কাঠমান্ডুতে ফাইনালে টাইব্রেকারে ভারতের বিরুদ্ধে ৩-২ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে খেলা টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়ায়। ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে থেকেও মেয়েরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে এবং শিরোপার দেখা পেয়েছে। শিরোপার কাছে গিয়ে আগে অনেকবারই বাংলাদেশকে না পাওয়ার বেদনায় পুড়তে হয়েছে। এবার তারা শেষ হাসিটা হেসেছে।
ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের আরও অনেক অর্জন রয়েছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের বিভিন্ন পর্যায়ে তারা শিরোপা জিতেছে। নারী ফুটবলারদের সাফল্য দেশবাসীকে গর্বিত করেছে। আশা করি, আগামীতে তারা সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে।
নারী ফুটবল দলকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে নারী ক্রীড়াবিদদের আর্থসামাজিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়। সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখা প্রশংসার দাবি রাখে।
আউটডোর ও ইনডোর অনেক খেলাতেই নারীদের উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে। ক্রিকেটে নারীদের অনেক অর্জন আছে। সাঁতার, ভারোত্তোলন, দাবাসহ বিভিন্ন খেলায় নারী ক্রীড়াবিদরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।
সব খেলাতেই সাফল্য অর্জন করতে হলে একজন নারী খেলোয়াড়কে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। তাদের পক্ষে কোনো একটি খেলায় অংশ নেয়া সহজ নয়। অনেককে নিজ পরিবার ও সমাজের বাধা মোকাবিলা করে খেলায় মনোনিবেশ করতে হয়। পেশাদার ক্রীড়া জগতেও রয়েছে প্রতিকূলতা। প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে খেলার নানান স্তরে পুরুষ ক্রীড়াবিদরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পান, নারী ক্রীড়াবিদরা তা পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। এখন অবশ্য নারী ক্রীড়াবিদদের সুযোগ-সুবিধা ধীরে ধীরে বাড়ছে। আশা করি, আগামীতে সেটা বজায় থাকবে।
দেশে অন্যান্য অঙ্গনের মতো ক্রীড়াঙ্গনেও সব বাধা ডিঙ্গিয়ে দেশের নারীরা তাদের সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন। আমরা আশা করব, ক্রীড়াঙ্গনসহ সব ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীর প্রতিভা বিকাশে সমান সুযোগ তৈরি হবে। নারীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে তারা আগামীতে আরো সাফল্য অর্জন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।