পুলিশ বলছে তাদের খুজে পাওয়া যায়না
নোয়াখালীর সেনবাগে কিশোর গ্যাং এফ-১০ এর হাতে কলেজ ছাএ শাওন খুন, সুধারামের নোয়ান্নইর বাঁধের হাটে প্রবাসী সাজ্জাদ হোসেন সৌরভ খুন,বেগমগঞ্জের আলিয়ার পুরে রকি বাহিনীর হাতে ছেলের সামনে মাকে ধর্ষন করার মতো জঘন্য কর্মকান্ড পরিচালনাকারী ও জেলা শহর মাইজদীতে ছিনতাই, টেন্ডার বাজী, মাদক ব্যাবসা,অপহরনকারী কিশোরগ্যাং প্রকাশ্যে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ বলছে তাদের খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে সেনবাগের কিশোর গ্যাং অধ্যুষিত সেবার হাটে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ ও ব্যাবসায়ীদের মধ্যে একধরনের চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর তারা কোন কথা বলতে চায়না এবং বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সরে পড়ে। অনেকে মতো দোকান বন্ধ করে দেয়।
ভিন্ন কৌশলে কথা বলে জানা যায়, শাসকদলের নেতা ও মোহাম্মদ পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগানের প্রকাশ্য ছএছায়ায় গঠিত কিশোর গ্যাং এফ-১০ স্হানীয় বাজারে প্রশাসনের অনুমোদন না নিয়ে মেলার আয়োজন করে। এ মেলায় দোকানের চাঁদা ও জুয়ার ঘর বসানোর আধিপত্য্য নিয়ে কিশোরগ্যাং সিনিয়র গ্রুপের কমান্ডার হ্রদয়ের সাথে জুনিয়র গ্রুপের কলেজ ছাএ মাজহারুল ইসলাম শাওন গ্রুপের দ্বন্দ্ব বাধে। এ নিয়ে ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় সেবার হাটে দুই গ্রুপের তর্কবিতর্কের ফাঁকে সংঘর্ষ বাধলে সিনিয়র গ্রুপের হ্রদয়ের নেতৃত্বে গ্রুপ কিশোর গ্যাং জুনিয়র গ্রুপের শাওন,পিয়াস,ও মেহেদীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।এর মধ্যে শাসনকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এব্যাপারে শাওনের মা আনজুম আরা বেগম রুনা বাদি হয়ে সেন বাগ থানায় হ্রদয়কে প্রধান আসামি করে তার গ্রুপের নওশাদ,আরিফ, আরাফাত, নকিব,আরমান,শামীম,আরমান-২,সৈকত,ও গোলাম রব্বানী ওপরে হেলালের নাম দিয়ে আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত কারনে আর গ্রেপ্তারে উৎসাহ দেখাচ্ছে না বলে বাদি পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
নিহত শাওনের মামা আবুল কাশেম অভিযোগ করেন যে,মোহাম্মদ পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগানের ছএছায়ায় গড়ে উঠেছে সন্ত্রাসী গ্রুপ এফ-১০ বাহিনী। এ বাহিনী এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী,মাদক ব্যাবসার মতো কর্মকান্ডের সাথে স্কুল কলেজে পড়ুয়া মেয়েদের ইভটিজিং করে। এ ব্যাপারে রিগান চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বলেন, এ বয়সের ছেলেরা এগুলো সব এলাকায় করে থাকে।তিনি জোর দিয়ে বলেন, চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিলে সব ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
মোহাম্মদ পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা বলেন, এ রিগান চেয়ারম্যানই এফ- ১০ কিশোর গ্যাং প্রতিষ্ঠিত করে এলাকায় আতংকের সৃষ্টি করেছে। তিনিও তাকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে রিগান চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সে সব সময় কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। এক সময় এ এলাকা বিএনপি সন্ত্রাসের জনপদ ছিলো। তিনি তা থেকে এলাকাকে মুক্ত করেছিলেন বলে প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিমুদ্দিন কিশোর গ্যাং এর কথা স্বীকার করে বলেন,সারা দেশে কিশোর গ্যাং আছে এবং উঠতি বয়সের ছেলেরা নানান ধরনের অপরাধ করেন।সেনবাগঘও এর বাহিরে নয়।বিষয়টি তদন্ত করে গ্যাং ও তাদের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে।তবে মনে রাখতে হবে এসব ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও পুলিশকে চাপের মধ্যে রাখতে চায়।
এদিকে ৩১ জানুয়ারি সুধারামের নোয়ান্নই বাঁধের হাটে কিশোর গ্যাং এর জুনিয়র সিনিয়র দ্বন্দ্বে দিনে দুপুরের সংঘর্ষে প্রবাসী সাজ্জাদ হোসেন হত্যার পর পুলিশের সাড়াশি অভিযানের মুখে পালালেও এখন আবার কিশোর গ্যাং রিয়াজ গ্রুপ,নিদান গ্রুপ, ইসমাইল গ্রুপ,সুমন গ্রুপ,সুমন গ্রুপ,ও রিফাত গ্রুপ আবার সক্রিয় হয়ে এলাকায় ফিরে এসেছে।
তাছাড়া সাজ্জাদ হত্যা মামলার এক রিপোর্টে সুধারাম থানার পুলিশ পরিদর্শক সাব-জেল হোসেন উল্লেখ করেছেন, বাঁধের হাট এলাকায় ১০/১২ টি কিশোর গ্যাং তৎপর রয়েছে।
এ ছাড়া বেগমগঞ্জের আলাইয়ার পুরে রকি বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পরেছে এলাকার ৪০/৫০ হাজার মানুষ।
এ ব্যাপারে পুলিশ বলছে এসব বাহিনীকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, সেনবাগ হউক আর সুধারাম হউক কিশোর গ্যাং হউক আর তাদের গড ফাদার হউক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এখানে পুলিশের কোন দূ্রবলতা ও সহ্য করা হবেনা।
পুলিশ বলছে তাদের খুজে পাওয়া যায়না
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
নোয়াখালীর সেনবাগে কিশোর গ্যাং এফ-১০ এর হাতে কলেজ ছাএ শাওন খুন, সুধারামের নোয়ান্নইর বাঁধের হাটে প্রবাসী সাজ্জাদ হোসেন সৌরভ খুন,বেগমগঞ্জের আলিয়ার পুরে রকি বাহিনীর হাতে ছেলের সামনে মাকে ধর্ষন করার মতো জঘন্য কর্মকান্ড পরিচালনাকারী ও জেলা শহর মাইজদীতে ছিনতাই, টেন্ডার বাজী, মাদক ব্যাবসা,অপহরনকারী কিশোরগ্যাং প্রকাশ্যে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ বলছে তাদের খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে সেনবাগের কিশোর গ্যাং অধ্যুষিত সেবার হাটে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ মানুষ ও ব্যাবসায়ীদের মধ্যে একধরনের চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর তারা কোন কথা বলতে চায়না এবং বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সরে পড়ে। অনেকে মতো দোকান বন্ধ করে দেয়।
ভিন্ন কৌশলে কথা বলে জানা যায়, শাসকদলের নেতা ও মোহাম্মদ পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগানের প্রকাশ্য ছএছায়ায় গঠিত কিশোর গ্যাং এফ-১০ স্হানীয় বাজারে প্রশাসনের অনুমোদন না নিয়ে মেলার আয়োজন করে। এ মেলায় দোকানের চাঁদা ও জুয়ার ঘর বসানোর আধিপত্য্য নিয়ে কিশোরগ্যাং সিনিয়র গ্রুপের কমান্ডার হ্রদয়ের সাথে জুনিয়র গ্রুপের কলেজ ছাএ মাজহারুল ইসলাম শাওন গ্রুপের দ্বন্দ্ব বাধে। এ নিয়ে ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় সেবার হাটে দুই গ্রুপের তর্কবিতর্কের ফাঁকে সংঘর্ষ বাধলে সিনিয়র গ্রুপের হ্রদয়ের নেতৃত্বে গ্রুপ কিশোর গ্যাং জুনিয়র গ্রুপের শাওন,পিয়াস,ও মেহেদীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।এর মধ্যে শাসনকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এব্যাপারে শাওনের মা আনজুম আরা বেগম রুনা বাদি হয়ে সেন বাগ থানায় হ্রদয়কে প্রধান আসামি করে তার গ্রুপের নওশাদ,আরিফ, আরাফাত, নকিব,আরমান,শামীম,আরমান-২,সৈকত,ও গোলাম রব্বানী ওপরে হেলালের নাম দিয়ে আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত কারনে আর গ্রেপ্তারে উৎসাহ দেখাচ্ছে না বলে বাদি পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
নিহত শাওনের মামা আবুল কাশেম অভিযোগ করেন যে,মোহাম্মদ পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগানের ছএছায়ায় গড়ে উঠেছে সন্ত্রাসী গ্রুপ এফ-১০ বাহিনী। এ বাহিনী এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী,মাদক ব্যাবসার মতো কর্মকান্ডের সাথে স্কুল কলেজে পড়ুয়া মেয়েদের ইভটিজিং করে। এ ব্যাপারে রিগান চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বলেন, এ বয়সের ছেলেরা এগুলো সব এলাকায় করে থাকে।তিনি জোর দিয়ে বলেন, চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিলে সব ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
মোহাম্মদ পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা বলেন, এ রিগান চেয়ারম্যানই এফ- ১০ কিশোর গ্যাং প্রতিষ্ঠিত করে এলাকায় আতংকের সৃষ্টি করেছে। তিনিও তাকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে রিগান চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সে সব সময় কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। এক সময় এ এলাকা বিএনপি সন্ত্রাসের জনপদ ছিলো। তিনি তা থেকে এলাকাকে মুক্ত করেছিলেন বলে প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিমুদ্দিন কিশোর গ্যাং এর কথা স্বীকার করে বলেন,সারা দেশে কিশোর গ্যাং আছে এবং উঠতি বয়সের ছেলেরা নানান ধরনের অপরাধ করেন।সেনবাগঘও এর বাহিরে নয়।বিষয়টি তদন্ত করে গ্যাং ও তাদের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে।তবে মনে রাখতে হবে এসব ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও পুলিশকে চাপের মধ্যে রাখতে চায়।
এদিকে ৩১ জানুয়ারি সুধারামের নোয়ান্নই বাঁধের হাটে কিশোর গ্যাং এর জুনিয়র সিনিয়র দ্বন্দ্বে দিনে দুপুরের সংঘর্ষে প্রবাসী সাজ্জাদ হোসেন হত্যার পর পুলিশের সাড়াশি অভিযানের মুখে পালালেও এখন আবার কিশোর গ্যাং রিয়াজ গ্রুপ,নিদান গ্রুপ, ইসমাইল গ্রুপ,সুমন গ্রুপ,সুমন গ্রুপ,ও রিফাত গ্রুপ আবার সক্রিয় হয়ে এলাকায় ফিরে এসেছে।
তাছাড়া সাজ্জাদ হত্যা মামলার এক রিপোর্টে সুধারাম থানার পুলিশ পরিদর্শক সাব-জেল হোসেন উল্লেখ করেছেন, বাঁধের হাট এলাকায় ১০/১২ টি কিশোর গ্যাং তৎপর রয়েছে।
এ ছাড়া বেগমগঞ্জের আলাইয়ার পুরে রকি বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পরেছে এলাকার ৪০/৫০ হাজার মানুষ।
এ ব্যাপারে পুলিশ বলছে এসব বাহিনীকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, সেনবাগ হউক আর সুধারাম হউক কিশোর গ্যাং হউক আর তাদের গড ফাদার হউক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এখানে পুলিশের কোন দূ্রবলতা ও সহ্য করা হবেনা।