নিউক্যাসল অধিনায়ক ব্রুনো গিমারাইস
প্রজন্মের পর প্রজন্ম যাচ্ছে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বড় কোনো শিরোপা জিতছে না, তবুও অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন ভক্তরা। তাদের খুশির জোয়ারে ভাসিয়ে, স্বপ্নের রাত উপহার দিয়ে লিভারপুলকে হারিয়ে প্রথমবার লীগ কাপ জিতলো ক্লাবটি।
ওয়েম্বলিতে রোববার ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। ড্যান বার্ন প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান আলেকসান্দার ইসাক।
আট মিনিট যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন ফেদেরিকো চিয়েসা।
শুরুতে অফসাইড দিলেও ভিএআরের সাহায্যে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি। জেগে ওঠে লিভারপুলের আশা।
কিন্তু রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার বাকি সময়টায় গোলের আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। নিজেদের উজাড় করে দিয়ে ব্যবধান ধরে রাখে নিউক্যাসল। চোখে জল, মুখে হাসি নিয়ে ৫৬ বছরের মধ্যে প্রথম শিরোপা উদযাপনে মেতে উঠে তারা।
১৯৫৫ সালে এফএ কাপ জেতার পর ইল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবলে এটাই নিউক্যাসলের প্রথম শিরোপা। ১৯৬৯ সালে ফেয়ার্স কাপ (বর্তমানের ইউরোপা লীগ) জেতার পর তাদের বড় কোনো শিরোপা।
২০২২-২৩ আসরের রানার্সআপ নিউক্যাসলের দারুণ প্রাপ্তির দিনে আরেকটি টুর্নামেন্টে হতাশা নিয়ে ফিরলো লিভারপুল। প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা জয়ের পথে এগিয়ে যাওয়া দলটি গত সপ্তাহে বিদায় নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলো থেকে, পিএসজির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে।
‘সমর্থকদের কাছে এটা বিশ্বকাপের মতো’
অপেক্ষার দীর্ঘ সাতটি দশক পার করে, অবশেষে এখন শিরোপা জয়ের হাসিতে উজ্জ্বল নিউক্যাসল ইউনাইটেডের প্রতিটি মুখ। শিরোপা লড়াইয়ে তারা জায়ান্ট লিভারপুলকে হারাতে পারবে, খুব কম মানুষই হয়তো ভেবেছিল। সেই অভাবনীয় কাজটাই করে, লীগ কাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরে নিউক্যাসল অধিনায়ক ব্রুনো গিমারেস গর্বিত কণ্ঠে বললেন, ‘আবারও আমরা চ্যাম্পিয়ন।’
ইংলিশ ফুটবলে সেই ১৯৫৫ সালে রোববারের আগে সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিল নিউক্যাসল, ঘরে তুলেছিল এফএ কাপ। আর ১৯৬৯ সালে ফেয়ার্স কাপ (বর্তমানের ইউরোপা লীগ) জিতে ক্লাবের ইতিহাসে সর্বশেষ বড় শিরোপা জয়ের উৎসব করেছিল তারা।
‘এই সবকিছুই সমর্থকদের জন্য। তাদের সবকিছু প্রাপ্য। এখানে প্রথম এসেই আমি বলেছিলাম, (ক্লাবের) ইতিহাসে নিজের নাম লেখাতে চাই।’
‘এখন আমরা বলতে পারি, আমরা আবারও চ্যাম্পিয়ন’।
এত এত অপেক্ষার পর ক্লাবের ভক্ত-সমর্থকদের কাছে এই শিরোপার স্বাদ যে কত মধুর, তা অনুভব করতে পারছেন গিমারেস।
‘ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার জীবনের সেরা দিন। আর তাদের (সমর্থকদের) কাছে এটা তো বিশ্বকাপের মতো। মানুষ (যারা ছোট ছিল) বড় হয়ে গেছে, কিন্তু আমাদের চ্যাম্পিয়ন রূপে দেখেনি। এই ক্লাবে অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম বছর এবং এটা আমার সেরা দিনগুলোর একটি। অবিশ্বাস্য।’
‘আমরা ইতিহাস গড়ছি। (ভবিষ্যতে) যখন আমি এখান থেকে চলে যাব, আমি চাই সমর্থকরা আমার নাম ধরে গান গাইবে যেমনটা তারা করে (সাবেক নিউক্যাসল অধিনায়ক অ্যালান) শিয়েরারের জন্য। তিনি ম্যাচের আগে আমাকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। আজ আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি।’
নিউক্যাসল অধিনায়ক ব্রুনো গিমারাইস
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
প্রজন্মের পর প্রজন্ম যাচ্ছে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বড় কোনো শিরোপা জিতছে না, তবুও অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন ভক্তরা। তাদের খুশির জোয়ারে ভাসিয়ে, স্বপ্নের রাত উপহার দিয়ে লিভারপুলকে হারিয়ে প্রথমবার লীগ কাপ জিতলো ক্লাবটি।
ওয়েম্বলিতে রোববার ফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। ড্যান বার্ন প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান আলেকসান্দার ইসাক।
আট মিনিট যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন ফেদেরিকো চিয়েসা।
শুরুতে অফসাইড দিলেও ভিএআরের সাহায্যে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি। জেগে ওঠে লিভারপুলের আশা।
কিন্তু রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার বাকি সময়টায় গোলের আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। নিজেদের উজাড় করে দিয়ে ব্যবধান ধরে রাখে নিউক্যাসল। চোখে জল, মুখে হাসি নিয়ে ৫৬ বছরের মধ্যে প্রথম শিরোপা উদযাপনে মেতে উঠে তারা।
১৯৫৫ সালে এফএ কাপ জেতার পর ইল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবলে এটাই নিউক্যাসলের প্রথম শিরোপা। ১৯৬৯ সালে ফেয়ার্স কাপ (বর্তমানের ইউরোপা লীগ) জেতার পর তাদের বড় কোনো শিরোপা।
২০২২-২৩ আসরের রানার্সআপ নিউক্যাসলের দারুণ প্রাপ্তির দিনে আরেকটি টুর্নামেন্টে হতাশা নিয়ে ফিরলো লিভারপুল। প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা জয়ের পথে এগিয়ে যাওয়া দলটি গত সপ্তাহে বিদায় নিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলো থেকে, পিএসজির বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে।
‘সমর্থকদের কাছে এটা বিশ্বকাপের মতো’
অপেক্ষার দীর্ঘ সাতটি দশক পার করে, অবশেষে এখন শিরোপা জয়ের হাসিতে উজ্জ্বল নিউক্যাসল ইউনাইটেডের প্রতিটি মুখ। শিরোপা লড়াইয়ে তারা জায়ান্ট লিভারপুলকে হারাতে পারবে, খুব কম মানুষই হয়তো ভেবেছিল। সেই অভাবনীয় কাজটাই করে, লীগ কাপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরে নিউক্যাসল অধিনায়ক ব্রুনো গিমারেস গর্বিত কণ্ঠে বললেন, ‘আবারও আমরা চ্যাম্পিয়ন।’
ইংলিশ ফুটবলে সেই ১৯৫৫ সালে রোববারের আগে সর্বশেষ শিরোপা জিতেছিল নিউক্যাসল, ঘরে তুলেছিল এফএ কাপ। আর ১৯৬৯ সালে ফেয়ার্স কাপ (বর্তমানের ইউরোপা লীগ) জিতে ক্লাবের ইতিহাসে সর্বশেষ বড় শিরোপা জয়ের উৎসব করেছিল তারা।
‘এই সবকিছুই সমর্থকদের জন্য। তাদের সবকিছু প্রাপ্য। এখানে প্রথম এসেই আমি বলেছিলাম, (ক্লাবের) ইতিহাসে নিজের নাম লেখাতে চাই।’
‘এখন আমরা বলতে পারি, আমরা আবারও চ্যাম্পিয়ন’।
এত এত অপেক্ষার পর ক্লাবের ভক্ত-সমর্থকদের কাছে এই শিরোপার স্বাদ যে কত মধুর, তা অনুভব করতে পারছেন গিমারেস।
‘ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার জীবনের সেরা দিন। আর তাদের (সমর্থকদের) কাছে এটা তো বিশ্বকাপের মতো। মানুষ (যারা ছোট ছিল) বড় হয়ে গেছে, কিন্তু আমাদের চ্যাম্পিয়ন রূপে দেখেনি। এই ক্লাবে অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম বছর এবং এটা আমার সেরা দিনগুলোর একটি। অবিশ্বাস্য।’
‘আমরা ইতিহাস গড়ছি। (ভবিষ্যতে) যখন আমি এখান থেকে চলে যাব, আমি চাই সমর্থকরা আমার নাম ধরে গান গাইবে যেমনটা তারা করে (সাবেক নিউক্যাসল অধিনায়ক অ্যালান) শিয়েরারের জন্য। তিনি ম্যাচের আগে আমাকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। আজ আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি।’