সিলেট টেস্ট
১ম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করার পর মোমিনুল ২য় ইনিংসেও ভাল ব্যাট করেন
দিনের শুরুতে বাগড়া বাধলো বৃষ্টি। দিনের শেষে দ্রুতই নেমে এলো আঁধার। সিলেট টেস্টে এ দিন খেলা হয় মোটে ৪৪ ওভার। অধিনায়ক শান্তর ফিফটিতে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করে বাংলাদেশ। ৬০ বলে ২১ রানে অপরাজিত জাকের আলি। ১০৩ বলে ৬০ রানে নতুন দিন শুরু করবেন নাজমুল শান্ত। আজ চতুর্থ দিন নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে অর্থাৎ ৯টা ৪৫ মিনিটে শুরু হবে খেলা। চায়ের রাজধানীর আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯৪ রান। জিম্বাবুয়ের লিড পেরিয়ে স্বাগতিকরা এখন ১১২ রানে এগিয়ে।
শান্ত ছাড়া আর কেউ ব্যাটিংয়ে তেমন নির্ভরতা দিতে পারেননি। অস্বস্তিময় ইনিংস শেষে ড্রেসিং রুমে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। ফিফটির কাছাকাছি গেলেও মোমিনুল হকের ব্যাটিংয়েও ছিল না স্বস্তি। আরও একবার হতাশ করেন মুশফিকুর রহিম।
আগের রাতের টানা বৃষ্টির পর সকালেও বেশ কিছুক্ষণ চলে হালকা বর্ষণ। ভেসে যায় প্রথম সেশন। নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা। শুরু থেকেই ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বলের বিপক্ষে অস্বস্তিতে দেখা যায় জয়কে।
দিনের সপ্তম ওভারে শরীর বরাবর তাক করা বাউন্সারে আর টিকতে পারেননি ২৪ বছর বয়সী ওপেনার। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ধরেন ড্রেসিং রুমের পথ। ৬৫ বলে করেন তিনি ৩৩ রান। এ নিয়ে টানা ১৭ ইনিংসে পঞ্চাশ ছুঁতে ব্যর্থ তিনি। সর্বশেষ ১০ ইনিংসে ৯ বারই তিনি আউট হলেন কট বিহাইন্ড বা স্লিপে ক্যাচ দিয়ে।
জয়ের বিদায়ে ভাঙে ৬০ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। এরপর আরেকটি পঞ্চাশছোঁয়া জুটি গড়েন মোমিনুল ও শান্ত। ক্রিজে নেমে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে ভিক্টর নিয়াউচির সুইং বোলিংয়ে ভুগতে থাকেন মোমিনুল।
রিচার্ড এনগারাভার বলে পরপর দুটি চার মারেন শান্ত। বদলা নেয়ার জেদেই হয়তো বাউন্সার মারেন বাঁহাতি পেসার। সেটি আবার মাথার অনেক ওপর দিয়ে চলে যায় সীমানায়। পরের বৈধ ডেলিভারিতেও বাউন্ডারি মারেন শান্ত। ওভারে আসে মোট ১৮ রান।
ইতিবাচক শুরুর পর ওয়েসলি মাধভেরের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে বসেন শান্ত। তবে উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিতে পারেননি নিয়াশা মায়াভো। ২৬ রানে বেঁচে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তবে মোমিনুলের ক্যাচ নিতে ভুল করেননি মায়াভো। নিয়াউচির অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট ডেলিভারি ঠিকঠাক খেলতে পারেননি। তার গ্লাভস ছুঁয়ে যাওয়া বল লুফে নেন জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক। ৬ চারে ৮৪ বলে ৪৭ রান করেন মোমিনুল।
এরপর টিকতে পারেননি মুশফিক। মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও ৪ রান করে আউট তিনি।
টেস্টে টানা চার ইনিংস ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা সাত ইনিংসে দুই অঙ্ক ছুঁতে ব্যর্থ মুশফিক। গত বছর পাকিস্তান সফরে ১৯১ রানের ইনিংসের পর থেকেই রান নেই তার ব্যাটে। টানা ১২ ইনিংসে চল্লিশও ছুঁতে পারেননি ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটার।
দেশের ইতিহাসের প্রথম ব্যাটার হিসেবে একশ টেস্ট খেলা থেকে আর মাত্র ৫ ম্যাচ দূরে সাবেক এই অধিনায়ক। কিন্তু এই বয়স ও সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় এখন জায়গা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
দিনের বাকি অংশে আর উইকেট পড়তে দেননি শান্ত ও জাকের আলি। ৭ চারে ৮৪ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি করেন শান্ত।
স্কোর কার্ড
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ১৯১/১০ (মোমিনুল ৫৬, শান্ত ৪০, জাকের ২৮; মুজারাবানি ৩/৫০, মাসাকাদজা ৩/২১, মাধেভেরে ২/২, নিউচি ২/৭৪)।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস ২৭৩/১০ (উইলিয়ামস ৫৯, বেনেট ৫৭; মিরাজ ৫/৫২, নাহিদ রানা ৩/৭৪)।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস
(আগের দিন ৫৭/১)
সাদমান ক উইলিমস ব মুজারাবানি ৪
জয় ক আরভিন ব মুজারাবানি ৩৩
মোমিনুল ক মায়াভো ব নিয়াচি ৪৭
নাজমুল শান্ত* অপরাজিত ৬০
মুশফিক ক আরভিন ব মুজারাবানি ৪
জাকের আলী অপরাজিত ২১
অতিরিক্ত ২৫
মোট (৫৭ ওভারে) ১৯৪/৪
উইকেট পতন : ১/১৩ (সাদমান), ২/৭৩ (জয়), ৩/১৩৮ মোমিনুল), ৪/১৫৫ (মুশফিক)।
বোলিং : নিয়াচি ১৩-৪-২৮-১, মুজারাবানি ১৫-৫-৫১-৩, নাগারাভা ১৩-৩-৫৫-০, মাধেভেরে ৮-১-৩২-০, মাসাকাদজা ৮-৩-১৩-০।
অন্য প্রান্তে জাকের অবশ্য ছিলেন নড়বড়ে। বেশ কিছু বল কানায় লেগে অল্পের জন্য বেঁচে যান কিপার-ব্যাটার।
সিলেট টেস্ট
১ম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করার পর মোমিনুল ২য় ইনিংসেও ভাল ব্যাট করেন
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
দিনের শুরুতে বাগড়া বাধলো বৃষ্টি। দিনের শেষে দ্রুতই নেমে এলো আঁধার। সিলেট টেস্টে এ দিন খেলা হয় মোটে ৪৪ ওভার। অধিনায়ক শান্তর ফিফটিতে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করে বাংলাদেশ। ৬০ বলে ২১ রানে অপরাজিত জাকের আলি। ১০৩ বলে ৬০ রানে নতুন দিন শুরু করবেন নাজমুল শান্ত। আজ চতুর্থ দিন নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে অর্থাৎ ৯টা ৪৫ মিনিটে শুরু হবে খেলা। চায়ের রাজধানীর আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৯৪ রান। জিম্বাবুয়ের লিড পেরিয়ে স্বাগতিকরা এখন ১১২ রানে এগিয়ে।
শান্ত ছাড়া আর কেউ ব্যাটিংয়ে তেমন নির্ভরতা দিতে পারেননি। অস্বস্তিময় ইনিংস শেষে ড্রেসিং রুমে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয়। ফিফটির কাছাকাছি গেলেও মোমিনুল হকের ব্যাটিংয়েও ছিল না স্বস্তি। আরও একবার হতাশ করেন মুশফিকুর রহিম।
আগের রাতের টানা বৃষ্টির পর সকালেও বেশ কিছুক্ষণ চলে হালকা বর্ষণ। ভেসে যায় প্রথম সেশন। নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন ঘণ্টা পর শুরু হয় খেলা। শুরু থেকেই ব্লেসিং মুজারাবানির শর্ট বলের বিপক্ষে অস্বস্তিতে দেখা যায় জয়কে।
দিনের সপ্তম ওভারে শরীর বরাবর তাক করা বাউন্সারে আর টিকতে পারেননি ২৪ বছর বয়সী ওপেনার। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ধরেন ড্রেসিং রুমের পথ। ৬৫ বলে করেন তিনি ৩৩ রান। এ নিয়ে টানা ১৭ ইনিংসে পঞ্চাশ ছুঁতে ব্যর্থ তিনি। সর্বশেষ ১০ ইনিংসে ৯ বারই তিনি আউট হলেন কট বিহাইন্ড বা স্লিপে ক্যাচ দিয়ে।
জয়ের বিদায়ে ভাঙে ৬০ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। এরপর আরেকটি পঞ্চাশছোঁয়া জুটি গড়েন মোমিনুল ও শান্ত। ক্রিজে নেমে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে ভিক্টর নিয়াউচির সুইং বোলিংয়ে ভুগতে থাকেন মোমিনুল।
রিচার্ড এনগারাভার বলে পরপর দুটি চার মারেন শান্ত। বদলা নেয়ার জেদেই হয়তো বাউন্সার মারেন বাঁহাতি পেসার। সেটি আবার মাথার অনেক ওপর দিয়ে চলে যায় সীমানায়। পরের বৈধ ডেলিভারিতেও বাউন্ডারি মারেন শান্ত। ওভারে আসে মোট ১৮ রান।
ইতিবাচক শুরুর পর ওয়েসলি মাধভেরের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে বসেন শান্ত। তবে উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিতে পারেননি নিয়াশা মায়াভো। ২৬ রানে বেঁচে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তবে মোমিনুলের ক্যাচ নিতে ভুল করেননি মায়াভো। নিয়াউচির অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট ডেলিভারি ঠিকঠাক খেলতে পারেননি। তার গ্লাভস ছুঁয়ে যাওয়া বল লুফে নেন জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক। ৬ চারে ৮৪ বলে ৪৭ রান করেন মোমিনুল।
এরপর টিকতে পারেননি মুশফিক। মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও ৪ রান করে আউট তিনি।
টেস্টে টানা চার ইনিংস ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা সাত ইনিংসে দুই অঙ্ক ছুঁতে ব্যর্থ মুশফিক। গত বছর পাকিস্তান সফরে ১৯১ রানের ইনিংসের পর থেকেই রান নেই তার ব্যাটে। টানা ১২ ইনিংসে চল্লিশও ছুঁতে পারেননি ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটার।
দেশের ইতিহাসের প্রথম ব্যাটার হিসেবে একশ টেস্ট খেলা থেকে আর মাত্র ৫ ম্যাচ দূরে সাবেক এই অধিনায়ক। কিন্তু এই বয়স ও সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় এখন জায়গা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
দিনের বাকি অংশে আর উইকেট পড়তে দেননি শান্ত ও জাকের আলি। ৭ চারে ৮৪ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি করেন শান্ত।
স্কোর কার্ড
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ১৯১/১০ (মোমিনুল ৫৬, শান্ত ৪০, জাকের ২৮; মুজারাবানি ৩/৫০, মাসাকাদজা ৩/২১, মাধেভেরে ২/২, নিউচি ২/৭৪)।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস ২৭৩/১০ (উইলিয়ামস ৫৯, বেনেট ৫৭; মিরাজ ৫/৫২, নাহিদ রানা ৩/৭৪)।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস
(আগের দিন ৫৭/১)
সাদমান ক উইলিমস ব মুজারাবানি ৪
জয় ক আরভিন ব মুজারাবানি ৩৩
মোমিনুল ক মায়াভো ব নিয়াচি ৪৭
নাজমুল শান্ত* অপরাজিত ৬০
মুশফিক ক আরভিন ব মুজারাবানি ৪
জাকের আলী অপরাজিত ২১
অতিরিক্ত ২৫
মোট (৫৭ ওভারে) ১৯৪/৪
উইকেট পতন : ১/১৩ (সাদমান), ২/৭৩ (জয়), ৩/১৩৮ মোমিনুল), ৪/১৫৫ (মুশফিক)।
বোলিং : নিয়াচি ১৩-৪-২৮-১, মুজারাবানি ১৫-৫-৫১-৩, নাগারাভা ১৩-৩-৫৫-০, মাধেভেরে ৮-১-৩২-০, মাসাকাদজা ৮-৩-১৩-০।
অন্য প্রান্তে জাকের অবশ্য ছিলেন নড়বড়ে। বেশ কিছু বল কানায় লেগে অল্পের জন্য বেঁচে যান কিপার-ব্যাটার।