লুকা মদ্রিচ
ছিন্ন ১৩ বছরের সম্পর্ক, ক্লাব বিশ্বকাপের পর রিয়াল ছাড়ছেন মদ্রিচ, শনিবার ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ
২০১২ সালে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন লুকা মদ্রিচ। তার পর ১৩ বছর রিয়ালের মাঝমাঠ সামলেছেন। খেলেছেন ৫৯০টি ম্যাচ। জিতেছেন ২৮টি ট্রফি।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের পরই রেয়াল মাদ্রিদকে বিদায় জানাবেন লুকা মদ্রিচ। সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন ক্লাব ছাড়ার কথা। শনিবার,(২৪ মে ২০২৫) রেয়ালের ঘরের মাঠ স্যান্তিয়াগো বের্নাবিউয়ে শেষ ম্যাচ খেলবেন ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার। গত ১৩ বছরে রেয়ালের হয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৯০টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
জল্পনাই সত্যি হলো। আগামী মৌসুমে আর রেয়ালের জার্সিতে দেখা যাবে না মদ্রিচকে। নিজেই জানালেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা। মদ্রিচ লিখেছেন, ‘সময় হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তটা আসুক কখনও চাইনি। কিন্তু জীবনে সব কিছুর শুরু এবং শেষ রয়েছে। শনিবার স্যান্তিয়াগো বের্নাবিউয়ে আমার শেষ ম্যাচ। বিশ্বের সেরা ক্লাবের জার্সি পরার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম। বড় কিছু করার আকাক্সক্ষা ছিল মনে। তার পর যা ঘটেছে, তা আমি কখনও কল্পনা করিনি। রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলে আমার ফুটবল এবং ব্যক্তিগত জীবন পরিবর্তন হয়েছে।’ মদ্রিচ আরও লিখেন, ‘এই ক’বছরে অসাধারণ সব মুহূর্ত কাটিয়েছি। অনেক কিছু ঘটেছে, যেগুলো অসম্ভব মনে হতো। প্রত্যাবর্তন, ট্রফি জয়, বের্নাবিউয়ে দুর্দান্ত কিছু রাত। আমরা সব কিছু জিতেছি। এখানে ভীষণ সুখে ছিলাম। ভীষণ সুখে।’
১৩ বছর রেয়ালের জার্সি গায়ে খেলতে পারায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ, সতীর্থ, কোচদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মদ্রিচ। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ক্লাবের সদস্য-সমর্থকদেরও। তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছ থেকে প্রচুর ভালোবাসা, উৎসাহ পেয়েছি। এসব কখনও ভুলব না। ভাঙা হৃদয়ে বিদায় নিচ্ছি। গর্ব, কৃতজ্ঞতা, সব মিলিয়ে এমন সব স্মৃতি আছে, যা কখনও ভুলতে পারব না। ক্লাব বিশ্বকাপের পর আর এই জার্সি পরে খেলব না। তবে আজীবন রেয়ালের সমর্থক থেকে যাব।’ রেয়ালের ২৮টি ট্রফি জয়ের সাক্ষী মদ্রিচ। তার মধ্যে রয়েছে ছ’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, পাঁচ বার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, পাঁচ বার উয়েফা সুপার কাপ, চার বার লা লিগা, দু’বার স্প্যানিশ কাপ, পাঁচ বার স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং এক বার ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। রিয়ালের ১২৩ বছরের ইতিহাসে ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে তিনিই শীর্ষে রয়েছেন। স্পেনের ক্লাবটির হয়ে ৪৩টি গোল রয়েছে তার। বিদেশি ফুটলারদের মধ্যে রেয়ালের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড মদ্রিচের। শীর্ষে রয়েছেন করিম বেনজেমা। ফ্রান্সের সাবেক ফুটবলার রেয়ালের হয়ে ৬৪৮টি ম্যাচ খেলেছিলেন। ২০১৮ সালে উয়েফা এবং ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন ৩৯ বছরের মিডফিল্ডার।
লুকা মদ্রিচ
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
ছিন্ন ১৩ বছরের সম্পর্ক, ক্লাব বিশ্বকাপের পর রিয়াল ছাড়ছেন মদ্রিচ, শনিবার ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ
২০১২ সালে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন লুকা মদ্রিচ। তার পর ১৩ বছর রিয়ালের মাঝমাঠ সামলেছেন। খেলেছেন ৫৯০টি ম্যাচ। জিতেছেন ২৮টি ট্রফি।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের পরই রেয়াল মাদ্রিদকে বিদায় জানাবেন লুকা মদ্রিচ। সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন ক্লাব ছাড়ার কথা। শনিবার,(২৪ মে ২০২৫) রেয়ালের ঘরের মাঠ স্যান্তিয়াগো বের্নাবিউয়ে শেষ ম্যাচ খেলবেন ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার। গত ১৩ বছরে রেয়ালের হয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৯০টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
জল্পনাই সত্যি হলো। আগামী মৌসুমে আর রেয়ালের জার্সিতে দেখা যাবে না মদ্রিচকে। নিজেই জানালেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা। মদ্রিচ লিখেছেন, ‘সময় হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তটা আসুক কখনও চাইনি। কিন্তু জীবনে সব কিছুর শুরু এবং শেষ রয়েছে। শনিবার স্যান্তিয়াগো বের্নাবিউয়ে আমার শেষ ম্যাচ। বিশ্বের সেরা ক্লাবের জার্সি পরার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলাম। বড় কিছু করার আকাক্সক্ষা ছিল মনে। তার পর যা ঘটেছে, তা আমি কখনও কল্পনা করিনি। রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলে আমার ফুটবল এবং ব্যক্তিগত জীবন পরিবর্তন হয়েছে।’ মদ্রিচ আরও লিখেন, ‘এই ক’বছরে অসাধারণ সব মুহূর্ত কাটিয়েছি। অনেক কিছু ঘটেছে, যেগুলো অসম্ভব মনে হতো। প্রত্যাবর্তন, ট্রফি জয়, বের্নাবিউয়ে দুর্দান্ত কিছু রাত। আমরা সব কিছু জিতেছি। এখানে ভীষণ সুখে ছিলাম। ভীষণ সুখে।’
১৩ বছর রেয়ালের জার্সি গায়ে খেলতে পারায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ, সতীর্থ, কোচদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মদ্রিচ। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ক্লাবের সদস্য-সমর্থকদেরও। তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছ থেকে প্রচুর ভালোবাসা, উৎসাহ পেয়েছি। এসব কখনও ভুলব না। ভাঙা হৃদয়ে বিদায় নিচ্ছি। গর্ব, কৃতজ্ঞতা, সব মিলিয়ে এমন সব স্মৃতি আছে, যা কখনও ভুলতে পারব না। ক্লাব বিশ্বকাপের পর আর এই জার্সি পরে খেলব না। তবে আজীবন রেয়ালের সমর্থক থেকে যাব।’ রেয়ালের ২৮টি ট্রফি জয়ের সাক্ষী মদ্রিচ। তার মধ্যে রয়েছে ছ’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, পাঁচ বার ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, পাঁচ বার উয়েফা সুপার কাপ, চার বার লা লিগা, দু’বার স্প্যানিশ কাপ, পাঁচ বার স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং এক বার ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। রিয়ালের ১২৩ বছরের ইতিহাসে ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে তিনিই শীর্ষে রয়েছেন। স্পেনের ক্লাবটির হয়ে ৪৩টি গোল রয়েছে তার। বিদেশি ফুটলারদের মধ্যে রেয়ালের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড মদ্রিচের। শীর্ষে রয়েছেন করিম বেনজেমা। ফ্রান্সের সাবেক ফুটবলার রেয়ালের হয়ে ৬৪৮টি ম্যাচ খেলেছিলেন। ২০১৮ সালে উয়েফা এবং ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন ৩৯ বছরের মিডফিল্ডার।