মোহাম্মদ সামি
ইংল্যান্ড সফরের দলে জায়গা হয়নি মোহাম্মদ সামির। এই পেসারকে অস্ট্রেলিয়া সফরেও নিয়ে যাওয়া হয়নি। প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর বলছেন, সামি এখনও পুরোপুরি ফিট নন। আগামী দিনে সুস্থ হলে ইংল্যান্ডে পাঠানো হতেও পারে।
২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলেন সামি। তারপর থেকেই চোটের কারণে ভারতীয় দলের বাইরে । প্রত্যাবর্তন হয় এই বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে।
ইংল্যান্ড সফরের দল ঘোষণার পর আগরকর বলেন, ‘সামি পুরোপুরি ফিট নয়। দুর্দান্ত ক্রিকেটার সামি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করি।’ প্রয়োজনে ইংল্যান্ড সফরের মাঝে তাকে পাঠানো হতে পারে।
প্রশ্ন উঠছে আগামী দিনে সামিকে টেস্ট দলে আর দেখা যাবে কিনা। আগামী দু’বছরে শুধু ইংল্যান্ড নয়, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে টেস্ট রয়েছে ভারতের।
সূত্রের খবর, সামি আর লাল বলের ক্রিকেট খেলতে চাইছেন না। ৩৪ বছরের সামি সাদা বলের ক্রিকেটেই খেলতে চাইছেন। টেস্ট খেলতে গেলে আবার চোট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার চেয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে দু’-চার ওভার বল করা সহজ।
ভারতের হয়ে ৬৪টি টেস্টে ২২৯টি উইকেট নিয়েছেন সামি। ব্যাট হাতে দু’টি অর্ধশতরানও আছে তার। শামির সুইং যে কোনো ব্যাটারের কাছে বিভীষিকা। কিন্তু বয়স এবং চোট তার হাত থেকে হয়তো লাল বল দূরে ঠেলে দিচ্ছে।
এদিকে জসপ্রীত বুমরাহ জানিয়ে দিয়েছেন, ইংল্যান্ডে তিনি সব টেস্ট খেলবেন না। চোট সারিয়ে ফিরলেও এখনই টানা পাঁচ টেস্ট খেলার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না বুমরাহ। সামিকেও তেমনই টেস্ট ক্রিকেটের পরীক্ষায় ফেলতে চাইছে না বোর্ড।
সাংবাদিক সম্মেলনে ভিরাট কোহলির অবসর নিয়ে আগরকর বলেন, ‘ভিরাট গত এপ্রিল মাসের শুরুতে আমাদের জানিয়েছিল। ও ক’টা বল খেলেছে তার প্রত্যেকটায় ওকে ২০০ শতাংশ দিতে দেখেছি। এমনকি, যখন ও মাঠে ফিল্ডিং করেছে তখনও নিজের সবটা দিয়েছে। ওর মনে হয়েছে, নিজের সবটা ও টেস্ট ক্রিকেটে দিয়ে ফেলেছে। এর পরে খেললে আর সেটা করতে পারবে না। তাই ও সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতেই হতো।
কোহলির কয়েক দিন আগেই লাল বলের ক্রিকেটকে ‘বিদায়’ জানিয়েছেন রোহিত শর্মাও। এর আগে টেস্ট চাড়েন রবি চন্দন অশ্বিণ। এই তিন জনের অভাব পূরণ করা যে সহজ নয় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন আগরকর। তিনি বলেন, ‘যখন রোহিত, ভিরাট, অশ্বিনের মতো ক্রিকেটার অবসর নেয় তখন একটা শূন্যস্থান তৈরি হয়। তা ভরাট করা সহজ নয়। ওরা ক্রিকেটের বড় নাম। তবে একে অন্য ভাবেও দেখা যায়। ওরা না থাকায় অন্যদের কাছে সুযোগ বাড়ল। অন্য কেউ নজর কাড়তে পারে। আমার ওদের তিন জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওরা নিজেরাই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মোহাম্মদ সামি
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
ইংল্যান্ড সফরের দলে জায়গা হয়নি মোহাম্মদ সামির। এই পেসারকে অস্ট্রেলিয়া সফরেও নিয়ে যাওয়া হয়নি। প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর বলছেন, সামি এখনও পুরোপুরি ফিট নন। আগামী দিনে সুস্থ হলে ইংল্যান্ডে পাঠানো হতেও পারে।
২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিলেন সামি। তারপর থেকেই চোটের কারণে ভারতীয় দলের বাইরে । প্রত্যাবর্তন হয় এই বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে।
ইংল্যান্ড সফরের দল ঘোষণার পর আগরকর বলেন, ‘সামি পুরোপুরি ফিট নয়। দুর্দান্ত ক্রিকেটার সামি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করি।’ প্রয়োজনে ইংল্যান্ড সফরের মাঝে তাকে পাঠানো হতে পারে।
প্রশ্ন উঠছে আগামী দিনে সামিকে টেস্ট দলে আর দেখা যাবে কিনা। আগামী দু’বছরে শুধু ইংল্যান্ড নয়, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে টেস্ট রয়েছে ভারতের।
সূত্রের খবর, সামি আর লাল বলের ক্রিকেট খেলতে চাইছেন না। ৩৪ বছরের সামি সাদা বলের ক্রিকেটেই খেলতে চাইছেন। টেস্ট খেলতে গেলে আবার চোট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার চেয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে দু’-চার ওভার বল করা সহজ।
ভারতের হয়ে ৬৪টি টেস্টে ২২৯টি উইকেট নিয়েছেন সামি। ব্যাট হাতে দু’টি অর্ধশতরানও আছে তার। শামির সুইং যে কোনো ব্যাটারের কাছে বিভীষিকা। কিন্তু বয়স এবং চোট তার হাত থেকে হয়তো লাল বল দূরে ঠেলে দিচ্ছে।
এদিকে জসপ্রীত বুমরাহ জানিয়ে দিয়েছেন, ইংল্যান্ডে তিনি সব টেস্ট খেলবেন না। চোট সারিয়ে ফিরলেও এখনই টানা পাঁচ টেস্ট খেলার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না বুমরাহ। সামিকেও তেমনই টেস্ট ক্রিকেটের পরীক্ষায় ফেলতে চাইছে না বোর্ড।
সাংবাদিক সম্মেলনে ভিরাট কোহলির অবসর নিয়ে আগরকর বলেন, ‘ভিরাট গত এপ্রিল মাসের শুরুতে আমাদের জানিয়েছিল। ও ক’টা বল খেলেছে তার প্রত্যেকটায় ওকে ২০০ শতাংশ দিতে দেখেছি। এমনকি, যখন ও মাঠে ফিল্ডিং করেছে তখনও নিজের সবটা দিয়েছে। ওর মনে হয়েছে, নিজের সবটা ও টেস্ট ক্রিকেটে দিয়ে ফেলেছে। এর পরে খেললে আর সেটা করতে পারবে না। তাই ও সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতেই হতো।
কোহলির কয়েক দিন আগেই লাল বলের ক্রিকেটকে ‘বিদায়’ জানিয়েছেন রোহিত শর্মাও। এর আগে টেস্ট চাড়েন রবি চন্দন অশ্বিণ। এই তিন জনের অভাব পূরণ করা যে সহজ নয় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন আগরকর। তিনি বলেন, ‘যখন রোহিত, ভিরাট, অশ্বিনের মতো ক্রিকেটার অবসর নেয় তখন একটা শূন্যস্থান তৈরি হয়। তা ভরাট করা সহজ নয়। ওরা ক্রিকেটের বড় নাম। তবে একে অন্য ভাবেও দেখা যায়। ওরা না থাকায় অন্যদের কাছে সুযোগ বাড়ল। অন্য কেউ নজর কাড়তে পারে। আমার ওদের তিন জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওরা নিজেরাই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।