দুই দিনের নাটকীয়তার পর অনুমিত চিত্রনাট্যই মঞ্চায়িত হলো বিসিবিতে। চমকপ্রদ পটপরিবর্তনের পথ ধরে ফারুক আহমেদের জায়গায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান এখন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় শুক্রবার বিকেলে সভাপতি নির্বাচিত হন বুলবুল।
সভায় শুরুতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে বোর্ড পরিচালক ঘোষণা করা হয় তাকে। এরপর পরিচালকদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন দেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
বিসিবির ষোড়শ সভাপতি বুলবুল। নাজমুল হাসান ও ফারুক আহমেদের মতো তিনিও নির্বাচিত হলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
৫৭ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেটার আইসিসির ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছিলেন অনেক বছর ধরে।
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আমিনুলের পদচারণা শুরু আশির দশকের মাঝামাঝি। ক্রমে তিনি হয়ে ওঠেন দলের মিডল অর্ডারের ভরসা। একসময়ও নেতৃত্বও পান। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে স্কটল্যান্ডকে হারানোর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পায় দল। পরে নেতৃত্ব হারালেও দেশের অভিষেক টেস্টে করেন স্মরণীয় এক সেঞ্চুরি। ১৩ টেস্ট ও ৩৯ ওয়ানডে খেলে শেষ হয় তার ক্যারিয়ার।
২০০৩ সালে খেলা ছাড়ার পর কোচিংয়ে নাম লেখান তিনি। তার কোচিংয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জয় করে আবাহনী লিমিটেড। পরে তিনি পরিবারসহ থিতু হন অস্ট্রেলিয়ায়। নতুন অধ্যায় শুরু হয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে। সেখান থেকে পরে আইসিসিতে গত বছর দশেক কাজ করে আসছিলেন ডেভেলপমেন্টের নানা ভূমিকায়।
এবার পথচলা শুরু করছেন ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে কাজ করার জন্য যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি গত মাসে। তবে তার সভাপতি হওয়ার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয়ে ওঠে মূলত গত দুই দিনে।
গত বুধবার রাতে ফারুক আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা জানান, বিসিবি সভাপতির দায়িত্বে পরিবর্তন চান তারা। ফারুক তখন সময় চাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু পরদিনই জানান, পদত্যাগ করবেন না তিনি। এর মধ্যেই জানা যায়, ফারুকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে অনাস্থা জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন বিসিবির আট পরিচালক। সেই চিঠির সূত্র ধরে বিসিবি পরিচালক হিসেবে ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় প্রজ্ঞাপন জারি করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
এই রাতেই এনএসসির কাউন্সিলর করে নেওয়া হয় আমিনুলকে। শুক্রবার বিকেলে এনএসসির মনোনয়নে বোর্ড পরিচালকও করা হয় তাকে। এরপর জরুরি বোর্ড সভায় তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন পরিচালকদের ভোটে।
সব মিলিয়ে ৪৮ ঘণ্টার কম সময়ে অভাবনীয়ভাবে পাল্টে গেল দেশের ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ের ছবি। যেভাবে বিসিবি সভাপতি হয়েছিলেন ফারুক, সেই পথে তাকে বিদায় নিতে হলো। একই পথ ধরেই সভাপতি হলেন আমিনুল। তার ভবিষ্যৎ বলবে কেবল সময়।
আগামী অক্টোবরের মধ্যে বিসিবি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে। আপাতত আমিনুলের মেয়াদ নির্বাচন পর্যন্তই।
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
দুই দিনের নাটকীয়তার পর অনুমিত চিত্রনাট্যই মঞ্চায়িত হলো বিসিবিতে। চমকপ্রদ পটপরিবর্তনের পথ ধরে ফারুক আহমেদের জায়গায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান এখন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভায় শুক্রবার বিকেলে সভাপতি নির্বাচিত হন বুলবুল।
সভায় শুরুতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নে বোর্ড পরিচালক ঘোষণা করা হয় তাকে। এরপর পরিচালকদের ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন দেশের সাবেক এই অধিনায়ক।
বিসিবির ষোড়শ সভাপতি বুলবুল। নাজমুল হাসান ও ফারুক আহমেদের মতো তিনিও নির্বাচিত হলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
৫৭ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেটার আইসিসির ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছিলেন অনেক বছর ধরে।
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আমিনুলের পদচারণা শুরু আশির দশকের মাঝামাঝি। ক্রমে তিনি হয়ে ওঠেন দলের মিডল অর্ডারের ভরসা। একসময়ও নেতৃত্বও পান। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে স্কটল্যান্ডকে হারানোর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পায় দল। পরে নেতৃত্ব হারালেও দেশের অভিষেক টেস্টে করেন স্মরণীয় এক সেঞ্চুরি। ১৩ টেস্ট ও ৩৯ ওয়ানডে খেলে শেষ হয় তার ক্যারিয়ার।
২০০৩ সালে খেলা ছাড়ার পর কোচিংয়ে নাম লেখান তিনি। তার কোচিংয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জয় করে আবাহনী লিমিটেড। পরে তিনি পরিবারসহ থিতু হন অস্ট্রেলিয়ায়। নতুন অধ্যায় শুরু হয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে। সেখান থেকে পরে আইসিসিতে গত বছর দশেক কাজ করে আসছিলেন ডেভেলপমেন্টের নানা ভূমিকায়।
এবার পথচলা শুরু করছেন ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে কাজ করার জন্য যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি গত মাসে। তবে তার সভাপতি হওয়ার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয়ে ওঠে মূলত গত দুই দিনে।
গত বুধবার রাতে ফারুক আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা জানান, বিসিবি সভাপতির দায়িত্বে পরিবর্তন চান তারা। ফারুক তখন সময় চাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু পরদিনই জানান, পদত্যাগ করবেন না তিনি। এর মধ্যেই জানা যায়, ফারুকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে অনাস্থা জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন বিসিবির আট পরিচালক। সেই চিঠির সূত্র ধরে বিসিবি পরিচালক হিসেবে ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় প্রজ্ঞাপন জারি করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
এই রাতেই এনএসসির কাউন্সিলর করে নেওয়া হয় আমিনুলকে। শুক্রবার বিকেলে এনএসসির মনোনয়নে বোর্ড পরিচালকও করা হয় তাকে। এরপর জরুরি বোর্ড সভায় তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন পরিচালকদের ভোটে।
সব মিলিয়ে ৪৮ ঘণ্টার কম সময়ে অভাবনীয়ভাবে পাল্টে গেল দেশের ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ের ছবি। যেভাবে বিসিবি সভাপতি হয়েছিলেন ফারুক, সেই পথে তাকে বিদায় নিতে হলো। একই পথ ধরেই সভাপতি হলেন আমিনুল। তার ভবিষ্যৎ বলবে কেবল সময়।
আগামী অক্টোবরের মধ্যে বিসিবি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা আছে। আপাতত আমিনুলের মেয়াদ নির্বাচন পর্যন্তই।