দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে শেষ করতে পারল না আর্জেন্টিনা। গুয়াইয়াকিলে স্বাগতিক ইকুয়েডরের কাছে ১-০ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লিওনেল স্কালোনির দলকে। লিওনেল মেসি ছিলেন না একাদশে, তাঁকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক নিকোলাস ওতামেন্দি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে চাপ বাড়তে থাকে অতিথিদের ওপর। যোগ করা সময়ে (৪৫+১৩ মিনিটে) ভিএআরের সিদ্ধান্তে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করেন ইকুয়েডর অধিনায়ক এনের ভ্যালেন্সিয়া। আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে পরাস্ত করেই জয়সূচক গোল এনে দেন তিনি। যদিও রিপ্লেতে আর্জেন্টিনার নিকোলাস তালিয়াফিকোর কনুইয়ের ধাক্কা ইচ্ছাকৃত ছিল না বলেই মনে হয়েছে, তবে রেফারির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে গোল মেনে নিতে হয় আর্জেন্টিনাকে।
দ্বিতীয়ার্ধে সংখ্যাগত সমতায় ফেরার সুযোগ আসে আর্জেন্টিনার সামনে। ৫০ মিনিটে নিকোলাস গঞ্জালেসকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ইকুয়েডর মিডফিল্ডার ময়জেস কাইসেদো। তবে এর পরও গোল শোধ করতে ব্যর্থ হয় আলবিসেলেস্তেরা। পুরো ম্যাচে ৮টি শট নিয়েও ইকুয়েডরের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। বিপরীতে স্বাগতিকরা ১১ শটের মধ্যে ৪টি রাখে পোস্টে।
মেসির অনুপস্থিতিতে ১০ নম্বর জার্সি পরে নামা কিশোর প্রতিভা ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোও আশানুরূপ কিছু করতে পারেননি। স্কালোনির বদলির কৌশল নিয়েও উঠছে প্রশ্ন—বিশেষ করে মাঝমাঠে প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারায় ম্যাচের মোড় ঘোরাতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা।
২০০৯ সালে বলিভিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হারের পর এই প্রথম বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লাল কার্ড ও পেনাল্টি একসঙ্গে হজম করল আর্জেন্টিনা। তবে আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করায় বড় কোনো সংকটে পড়ছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ১৮ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকেই বাছাই শেষ করেছে তারা। ইকুয়েডর ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে।
ইকুয়েডরের কাছে এটি ২০১৫ সালের পর আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রথম জয়। একই সঙ্গে ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে হারানোর স্বাদও পেল তারা। এই হারে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান হারাতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা; স্পেন ও ফ্রান্সের নিচে নেমে যাবে তৃতীয় স্থানে।
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে শেষ করতে পারল না আর্জেন্টিনা। গুয়াইয়াকিলে স্বাগতিক ইকুয়েডরের কাছে ১-০ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লিওনেল স্কালোনির দলকে। লিওনেল মেসি ছিলেন না একাদশে, তাঁকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক নিকোলাস ওতামেন্দি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে চাপ বাড়তে থাকে অতিথিদের ওপর। যোগ করা সময়ে (৪৫+১৩ মিনিটে) ভিএআরের সিদ্ধান্তে পাওয়া পেনাল্টি থেকে গোল করেন ইকুয়েডর অধিনায়ক এনের ভ্যালেন্সিয়া। আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে পরাস্ত করেই জয়সূচক গোল এনে দেন তিনি। যদিও রিপ্লেতে আর্জেন্টিনার নিকোলাস তালিয়াফিকোর কনুইয়ের ধাক্কা ইচ্ছাকৃত ছিল না বলেই মনে হয়েছে, তবে রেফারির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে গোল মেনে নিতে হয় আর্জেন্টিনাকে।
দ্বিতীয়ার্ধে সংখ্যাগত সমতায় ফেরার সুযোগ আসে আর্জেন্টিনার সামনে। ৫০ মিনিটে নিকোলাস গঞ্জালেসকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ইকুয়েডর মিডফিল্ডার ময়জেস কাইসেদো। তবে এর পরও গোল শোধ করতে ব্যর্থ হয় আলবিসেলেস্তেরা। পুরো ম্যাচে ৮টি শট নিয়েও ইকুয়েডরের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। বিপরীতে স্বাগতিকরা ১১ শটের মধ্যে ৪টি রাখে পোস্টে।
মেসির অনুপস্থিতিতে ১০ নম্বর জার্সি পরে নামা কিশোর প্রতিভা ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোও আশানুরূপ কিছু করতে পারেননি। স্কালোনির বদলির কৌশল নিয়েও উঠছে প্রশ্ন—বিশেষ করে মাঝমাঠে প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ আনতে না পারায় ম্যাচের মোড় ঘোরাতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা।
২০০৯ সালে বলিভিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হারের পর এই প্রথম বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে লাল কার্ড ও পেনাল্টি একসঙ্গে হজম করল আর্জেন্টিনা। তবে আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করায় বড় কোনো সংকটে পড়ছে না বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ১৮ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকেই বাছাই শেষ করেছে তারা। ইকুয়েডর ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে।
ইকুয়েডরের কাছে এটি ২০১৫ সালের পর আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রথম জয়। একই সঙ্গে ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলকে হারানোর স্বাদও পেল তারা। এই হারে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান হারাতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা; স্পেন ও ফ্রান্সের নিচে নেমে যাবে তৃতীয় স্থানে।