সংবাদ সম্মেলনে সুরিয়াকুমার। পাশে অভিষেক শর্মা চ্যাম্পিয়ন দলকে
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণীর মহা নাটকীয় পর্ব পেরুতে লেগে গেল এক ঘণ্টারও বেশি, আরও অনেক পর টুর্নামেন্টসেরা অভিষেক শর্মাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন সুরিয়াকুমার যাদব। ভারতীয় অধিনায়ককে রোমাঞ্চকর জয়ের গল্প বাদ দিয়ে জবাব দিতে হয় পুরস্কার বিতরণী আয়োজনের নাটক নিয়ে।
ভারত অধিনায়ক হাসিমুখে প্রবেশ করতেই স্বদেশি সাংবাদিক আনেন ট্রফি না পাওয়ার প্রসঙ্গ। সূর্যকুমার বলেন, ‘আমি যখন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি, যখন থেকে ক্রিকেটকে অনুসরণ করা শুরু করেছি, তখন থেকে এমনটা কখনো দেখিনি যে একটি চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি পেতে বাধা দেয়া হয়েছে। মানে, সেটাও আবার এত কষ্ট করে জেতা একটা টুর্নামেন্ট। আমরা ৪ তারিখ থেকে এখানে (গতকাল রোববার) একটা ম্যাচ খেললাম। দু’দিনে পরপর দুটো ভালো ম্যাচ খেলেছি। আমি মনে করি আমরা এর যোগ্য ছিলাম, এবং আমি এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
বিষয়টা আসলে কী হয়েছিল এ প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের উত্তরে ভারত অধিনায়ক পরিষ্কার করেন, এসিসিপ্রধান মহসিন নাকভির কাছ থেকে ট্রফি নিতে চায়নি তার দল। তবে অন্য কারো হাত থেকে ট্রফি নিতে প্রস্তুত ছিলেন তারা। সেজন্য মাঠে অপেক্ষাও করেছেন, কিন্তু তাদের ট্রফি না দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
ভারত অপরাজিত থেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোরে জেতে একপেশে লড়াইয়ে। ফাইনালে এসে খেলা হয় রোমাঞ্চকর। সেখানে ১৪৭ রান তাড়ায় ২ বল আগে ৫ উইকেটে জেতে তারা।
চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি বুঝে না পেলেও সুরিয়াকুমার জানান, তার দলের ১৪ জন খেলোয়াড়ই তার ট্রফি, ‘আমি মনে করি আমি বিষয়টা ভালোভাবে গুছিয়ে বলেছি। আর যদি আপনি আমাকে ট্রফির কথা বলেন, আমার ট্রফিগুলো আমার ড্রেসিংরুমে বসে আছে আমার সঙ্গে থাকা ১৪ জন খেলোয়াড়, সমস্ত সাপোর্ট স্টাফ, তারাই আসল ট্রফি। যারা এই এশিয়া কাপের যাত্রায় আমাদের বড় ভক্ত ছিল। আমরা এখানে আসার পর থেকে, আমরা এই টুর্নামেন্টটা খেলেছি, আমরা আমাদের প্রস্তুতি শুরু করেছি, আমি মনে করি তারাই আসল ট্রফি, আসল মুহূর্ত, যেগুলো আমি সুন্দর স্মৃতি হিসেবে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি, যা আমার সঙ্গে চিরকাল থাকবে, এটাই। জয় গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি দেখেন, ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে বড় স্ক্রিনে লেখা ছিল: ‘ভারত এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন’। এর থেকে ভালো আর কী হতে পারে। সব বোর্ডে ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা আছে ২০২৫ সালের এশিয়া কাপের জন্য। আর আপনি তো শুধুমাত্র সেটার জন্যই খেলেন। আমার মনে হয় এটা আমাদের দল হিসেবে একটা দারুণ মুহূর্ত, দারুণ যাত্রা, দারুণ অভিযান ছিল।’ সংবাদ সম্মেলনে সবার প্রশ্ন শেষ হওয়ার পর নিজে থেকেই সুরিয়াকুমার ‘বলেন হয়ত এটাও বিতর্কিত হতে পারে তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার গোটা আসরের ম্যাচ ফি’র পুরোটা ভারতীয় আর্মিকে দিচ্ছি।’
সামাজিক মাধ্যম এক্সে পিসিবি জানায়, পাকিস্তান দলও ফাইনাল থেকে পাওয়া ম্যাচ ফি উৎসর্গ করবে দেশে ৭ মে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে নিহত সাধারণ মানুষদের জন্য। তাদের বার্তায় বলা হয়, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট দল তাদের এশিয়া কাপ ফাইনালের ম্যাচ ফি উৎসর্গ করছে ৭ মে’র হামলায় শহীদ হওয়া নিরীহ নাগরিকদের, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। তাদের পরিবারগুলোর প্রতি আমাদের সমবেদনা ও প্রার্থনা রইল।’
সংবাদ সম্মেলনে সুরিয়াকুমার। পাশে অভিষেক শর্মা চ্যাম্পিয়ন দলকে
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণীর মহা নাটকীয় পর্ব পেরুতে লেগে গেল এক ঘণ্টারও বেশি, আরও অনেক পর টুর্নামেন্টসেরা অভিষেক শর্মাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন সুরিয়াকুমার যাদব। ভারতীয় অধিনায়ককে রোমাঞ্চকর জয়ের গল্প বাদ দিয়ে জবাব দিতে হয় পুরস্কার বিতরণী আয়োজনের নাটক নিয়ে।
ভারত অধিনায়ক হাসিমুখে প্রবেশ করতেই স্বদেশি সাংবাদিক আনেন ট্রফি না পাওয়ার প্রসঙ্গ। সূর্যকুমার বলেন, ‘আমি যখন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি, যখন থেকে ক্রিকেটকে অনুসরণ করা শুরু করেছি, তখন থেকে এমনটা কখনো দেখিনি যে একটি চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি পেতে বাধা দেয়া হয়েছে। মানে, সেটাও আবার এত কষ্ট করে জেতা একটা টুর্নামেন্ট। আমরা ৪ তারিখ থেকে এখানে (গতকাল রোববার) একটা ম্যাচ খেললাম। দু’দিনে পরপর দুটো ভালো ম্যাচ খেলেছি। আমি মনে করি আমরা এর যোগ্য ছিলাম, এবং আমি এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
বিষয়টা আসলে কী হয়েছিল এ প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের উত্তরে ভারত অধিনায়ক পরিষ্কার করেন, এসিসিপ্রধান মহসিন নাকভির কাছ থেকে ট্রফি নিতে চায়নি তার দল। তবে অন্য কারো হাত থেকে ট্রফি নিতে প্রস্তুত ছিলেন তারা। সেজন্য মাঠে অপেক্ষাও করেছেন, কিন্তু তাদের ট্রফি না দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
ভারত অপরাজিত থেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্ব ও সুপার ফোরে জেতে একপেশে লড়াইয়ে। ফাইনালে এসে খেলা হয় রোমাঞ্চকর। সেখানে ১৪৭ রান তাড়ায় ২ বল আগে ৫ উইকেটে জেতে তারা।
চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি বুঝে না পেলেও সুরিয়াকুমার জানান, তার দলের ১৪ জন খেলোয়াড়ই তার ট্রফি, ‘আমি মনে করি আমি বিষয়টা ভালোভাবে গুছিয়ে বলেছি। আর যদি আপনি আমাকে ট্রফির কথা বলেন, আমার ট্রফিগুলো আমার ড্রেসিংরুমে বসে আছে আমার সঙ্গে থাকা ১৪ জন খেলোয়াড়, সমস্ত সাপোর্ট স্টাফ, তারাই আসল ট্রফি। যারা এই এশিয়া কাপের যাত্রায় আমাদের বড় ভক্ত ছিল। আমরা এখানে আসার পর থেকে, আমরা এই টুর্নামেন্টটা খেলেছি, আমরা আমাদের প্রস্তুতি শুরু করেছি, আমি মনে করি তারাই আসল ট্রফি, আসল মুহূর্ত, যেগুলো আমি সুন্দর স্মৃতি হিসেবে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি, যা আমার সঙ্গে চিরকাল থাকবে, এটাই। জয় গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি দেখেন, ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে বড় স্ক্রিনে লেখা ছিল: ‘ভারত এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন’। এর থেকে ভালো আর কী হতে পারে। সব বোর্ডে ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা আছে ২০২৫ সালের এশিয়া কাপের জন্য। আর আপনি তো শুধুমাত্র সেটার জন্যই খেলেন। আমার মনে হয় এটা আমাদের দল হিসেবে একটা দারুণ মুহূর্ত, দারুণ যাত্রা, দারুণ অভিযান ছিল।’ সংবাদ সম্মেলনে সবার প্রশ্ন শেষ হওয়ার পর নিজে থেকেই সুরিয়াকুমার ‘বলেন হয়ত এটাও বিতর্কিত হতে পারে তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার গোটা আসরের ম্যাচ ফি’র পুরোটা ভারতীয় আর্মিকে দিচ্ছি।’
সামাজিক মাধ্যম এক্সে পিসিবি জানায়, পাকিস্তান দলও ফাইনাল থেকে পাওয়া ম্যাচ ফি উৎসর্গ করবে দেশে ৭ মে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে নিহত সাধারণ মানুষদের জন্য। তাদের বার্তায় বলা হয়, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট দল তাদের এশিয়া কাপ ফাইনালের ম্যাচ ফি উৎসর্গ করছে ৭ মে’র হামলায় শহীদ হওয়া নিরীহ নাগরিকদের, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। তাদের পরিবারগুলোর প্রতি আমাদের সমবেদনা ও প্রার্থনা রইল।’