বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে নারী বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী আট দলের অধিনায়ক
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের পর্দা উঠছে মঙ্গলবার। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে মূল আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
ভারতের মাটিতে পাকিস্তান ম্যাচ না খেলার কারণে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে শ্রীলঙ্কা। গত আসরের মতো এবারের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ খেলবে টাইগাইরা।
গৌহাটিতে মঙ্গলবার ভারত ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে। আট দলকে নিয়ে এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত হবে। ভারত মূল আয়োজক হলেও, শ্রীলঙ্কার মাটিতে নিজেদের ম্যাচগুলো খেলবে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলো হলো- ভারতের গৌহাটি, ইন্দোর, নাভি মুম্বাই, বিশাখাপত্তম এবং শ্রীলঙ্কার কলম্বো।
২০২২-২৫ আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলার সুযোগ পায় ভারত।
এছাড়া বাকি পাঁচ দল হলো- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। বাছাই পর্ব পেরিয়ে মূল পর্বের খেলার টিকেট পায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
লীগ পর্বসহ এবারের বিশ্বকাপে মোট ৩১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। লীগ পর্বে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে একবার করে খেলবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চার দল সেমিফাইনালের টিকেট পাবে। ২৬ অক্টোবর লীগ পর্বের খেলা শেষ হবে।
২৯ অক্টোবর প্রথম সেমিফাইনাল এবং ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ২ নভেম্বর ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বকাপের।
১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম শুরু হয় নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সর্বশেষ আসর। আগের ১২ আসরের সবগুলোতেই খেলেছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ সাতবার শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা ঘরে তুলে ইংল্যান্ড।
একবার সেরার মুকুট পড়েছে নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড ছাড়া কোনো দলই নারী ওয়ানােড বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে পারেনি। ভারত দু’বার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ একবার ফাইনালে উঠেও শিরোপা জয়ের স্বাদ নিতে পারেনি। ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। প্রথম আসরে সাত ম্যাচ খেলে মাত্র ১টিতে জয় পায় টাইগাইরা। লীগ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে ৯ রানে।
এবার অতীতের সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাবার লক্ষ্য বাংলাদেশের। সদ্য ব্যাঙ্গালুরু এবং কলম্বোতে একসঙ্গে অনুষ্ঠিত ক্যাপ্টেন্স ডে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘এটি আমাদের দ্বিতীয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এর আগে আমরা অনভিজ্ঞ ছিলাম এবং বড় মঞ্চে জয়ের কৌশল জানতাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বিশ্বকাপের পর আমরা দেশে এবং বিদেশে অনেক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছি। তাই আমাদের অভিজ্ঞতা বেড়েছে। এখন আমরা বড় টুর্নামেন্টে ম্যাচ জয়ের কৌশল জানি। এবারের বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য দলের সবাই মুখিয়ে আছি। এবার আমাদের ভালো করার সুযোগ আছে।’
আগামী ২ অক্টোবর কলম্বোতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর ৭ অক্টোবর ইংল্যান্ড এবং ১০ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গৌহাটিতে খেলবে টাইগাররা।
১৩ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবং ১৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচগুলো ভারতের বিশাখাপত্তমে খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ২০ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং ২৬ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে নাভী মুম্বাইয়ে খেলবে টাইগ্রেসরা।
মূল পর্বে খেলতে নামার আগে ইতোমধ্যে দু’টি অফিসিয়াল প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলেও, শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ১ রানে জয় পায় টাইগাররা। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া অন্যান্য দলও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে।
বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে নারী বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী আট দলের অধিনায়ক
সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের পর্দা উঠছে মঙ্গলবার। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে মূল আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
ভারতের মাটিতে পাকিস্তান ম্যাচ না খেলার কারণে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে শ্রীলঙ্কা। গত আসরের মতো এবারের বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ খেলবে টাইগাইরা।
গৌহাটিতে মঙ্গলবার ভারত ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে। আট দলকে নিয়ে এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ হাইব্রিড মডেলে অনুষ্ঠিত হবে। ভারত মূল আয়োজক হলেও, শ্রীলঙ্কার মাটিতে নিজেদের ম্যাচগুলো খেলবে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলো হলো- ভারতের গৌহাটি, ইন্দোর, নাভি মুম্বাই, বিশাখাপত্তম এবং শ্রীলঙ্কার কলম্বো।
২০২২-২৫ আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলার সুযোগ পায় ভারত।
এছাড়া বাকি পাঁচ দল হলো- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। বাছাই পর্ব পেরিয়ে মূল পর্বের খেলার টিকেট পায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।
লীগ পর্বসহ এবারের বিশ্বকাপে মোট ৩১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। লীগ পর্বে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে একবার করে খেলবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চার দল সেমিফাইনালের টিকেট পাবে। ২৬ অক্টোবর লীগ পর্বের খেলা শেষ হবে।
২৯ অক্টোবর প্রথম সেমিফাইনাল এবং ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ২ নভেম্বর ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বকাপের।
১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম শুরু হয় নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সর্বশেষ আসর। আগের ১২ আসরের সবগুলোতেই খেলেছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ সাতবার শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা ঘরে তুলে ইংল্যান্ড।
একবার সেরার মুকুট পড়েছে নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড ছাড়া কোনো দলই নারী ওয়ানােড বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে পারেনি। ভারত দু’বার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ একবার ফাইনালে উঠেও শিরোপা জয়ের স্বাদ নিতে পারেনি। ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। প্রথম আসরে সাত ম্যাচ খেলে মাত্র ১টিতে জয় পায় টাইগাইরা। লীগ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে ৯ রানে।
এবার অতীতের সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাবার লক্ষ্য বাংলাদেশের। সদ্য ব্যাঙ্গালুরু এবং কলম্বোতে একসঙ্গে অনুষ্ঠিত ক্যাপ্টেন্স ডে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘এটি আমাদের দ্বিতীয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এর আগে আমরা অনভিজ্ঞ ছিলাম এবং বড় মঞ্চে জয়ের কৌশল জানতাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বিশ্বকাপের পর আমরা দেশে এবং বিদেশে অনেক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছি। তাই আমাদের অভিজ্ঞতা বেড়েছে। এখন আমরা বড় টুর্নামেন্টে ম্যাচ জয়ের কৌশল জানি। এবারের বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য দলের সবাই মুখিয়ে আছি। এবার আমাদের ভালো করার সুযোগ আছে।’
আগামী ২ অক্টোবর কলম্বোতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ। এরপর ৭ অক্টোবর ইংল্যান্ড এবং ১০ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গৌহাটিতে খেলবে টাইগাররা।
১৩ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবং ১৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচগুলো ভারতের বিশাখাপত্তমে খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ২০ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং ২৬ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে নাভী মুম্বাইয়ে খেলবে টাইগ্রেসরা।
মূল পর্বে খেলতে নামার আগে ইতোমধ্যে দু’টি অফিসিয়াল প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলেও, শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে ১ রানে জয় পায় টাইগাররা। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া অন্যান্য দলও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে।