নুরুল হাসান সোহান
শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-২০তে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিং ধসের পর যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, তা সহজে ভোলার নয়। তবে দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহানের দৃঢ়তায় বাজে কিছু হয়নি। তার মতে, এখন দক্ষতার চেয়ে বেশি দরকার মানসিক দৃঢ়তা, যাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যর্থতার অভ্যাস কাটিয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে আফগানদের ১৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে ব্যর্থতার ক্ষত মুছে দিতে তানজিদ তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন জুটি শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করেন। ১১ ওভারে দল পৌঁছে যায় শতরানে, দুই ওপেনারই তুলে নেন অর্ধশতক। স্কোরবোর্ডে কোনো উইকেট না হারিয়েও যখন রান ১০৯, তখনই নেমে আসে বিপর্যয়।
মাত্র আট রানের মধ্যে হারাতে হয় পাঁচ উইকেট, স্কোর দাঁড়ায় ১১৭/৫। আফগানদের ঘুরে দাঁড়ানোর নায়ক ছিলেন রশিদ খান। এরপর তানজিম সাকিবও ফিরলে ১১৮ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশকে টেনে তোলেন সোহান ও রিশাদ হোসেন। শেষ দিকে তাদের মারমুখী ব্যাটিং নিশ্চিত করে চার উইকেটের জয়।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হাসান স্পষ্ট করেই বলেন, মানসিকতার জায়গাতেই বড় ঘাটতি আছে দলের মধ্যে। আমরা অনেকদিন ধরে ক্রিকেট খেলছি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কখনো কখনো মানসিকতার কারণেই ব্যর্থ হই। উইকেট একই ছিল, ইমন ও তানজিদ ভালো শুরু করেছিল। হয়তো ভেতরে ভেতরে আমাদের মধ্যে সন্দেহ ঢুকে পড়েছিল, কারণ রশিদ ও নূর আহমেদ দুজনেই বিশ্বমানের স্পিনার। তবে আমি মনে করি, দক্ষতার চেয়ে এই জায়গায় আমাদের মানসিকভাবে উন্নতির অনেক সুযোগ আছে।
এশিয়া কাপে সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন সোহান। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের দায় চাপানো হয়েছিল মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার ঘাড়েই। সেই প্রসঙ্গেও তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন, ‘আমার মনে হয় এশিয়া কাপে আমাদের দারুণ সুযোগ ছিল, যা আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। অবশ্যই সেই অবস্থান থেকে সবসময় ভাবতে হয় কীভাবে ভুল কমানো যায়। তবে একইসঙ্গে আমি মনে করি, এশিয়া কাপের পর এটা ছিল আমাদের প্রথম ম্যাচ, আর এই ম্যাচ জেতাটা আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
নুরুল হাসান সোহান
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
শারজাহতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-২০তে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিং ধসের পর যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, তা সহজে ভোলার নয়। তবে দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহানের দৃঢ়তায় বাজে কিছু হয়নি। তার মতে, এখন দক্ষতার চেয়ে বেশি দরকার মানসিক দৃঢ়তা, যাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যর্থতার অভ্যাস কাটিয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে আফগানদের ১৫১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
এশিয়া কাপে ব্যর্থতার ক্ষত মুছে দিতে তানজিদ তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন জুটি শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং করেন। ১১ ওভারে দল পৌঁছে যায় শতরানে, দুই ওপেনারই তুলে নেন অর্ধশতক। স্কোরবোর্ডে কোনো উইকেট না হারিয়েও যখন রান ১০৯, তখনই নেমে আসে বিপর্যয়।
মাত্র আট রানের মধ্যে হারাতে হয় পাঁচ উইকেট, স্কোর দাঁড়ায় ১১৭/৫। আফগানদের ঘুরে দাঁড়ানোর নায়ক ছিলেন রশিদ খান। এরপর তানজিম সাকিবও ফিরলে ১১৮ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশকে টেনে তোলেন সোহান ও রিশাদ হোসেন। শেষ দিকে তাদের মারমুখী ব্যাটিং নিশ্চিত করে চার উইকেটের জয়।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হাসান স্পষ্ট করেই বলেন, মানসিকতার জায়গাতেই বড় ঘাটতি আছে দলের মধ্যে। আমরা অনেকদিন ধরে ক্রিকেট খেলছি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কখনো কখনো মানসিকতার কারণেই ব্যর্থ হই। উইকেট একই ছিল, ইমন ও তানজিদ ভালো শুরু করেছিল। হয়তো ভেতরে ভেতরে আমাদের মধ্যে সন্দেহ ঢুকে পড়েছিল, কারণ রশিদ ও নূর আহমেদ দুজনেই বিশ্বমানের স্পিনার। তবে আমি মনে করি, দক্ষতার চেয়ে এই জায়গায় আমাদের মানসিকভাবে উন্নতির অনেক সুযোগ আছে।
এশিয়া কাপে সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন সোহান। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজয়ের দায় চাপানো হয়েছিল মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার ঘাড়েই। সেই প্রসঙ্গেও তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন, ‘আমার মনে হয় এশিয়া কাপে আমাদের দারুণ সুযোগ ছিল, যা আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। অবশ্যই সেই অবস্থান থেকে সবসময় ভাবতে হয় কীভাবে ভুল কমানো যায়। তবে একইসঙ্গে আমি মনে করি, এশিয়া কাপের পর এটা ছিল আমাদের প্রথম ম্যাচ, আর এই ম্যাচ জেতাটা আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’