ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে প্রার্থীতা প্রত্যাহার বা সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদল। নির্বাচনে কারচুপির শঙ্কায় সরে দাঁড়ান আরেক প্রার্থী হাসিবুল আলম।
এখানে কারো দিকে আঙুল তুলছি না। তবে অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কখনো অনুকূলে থাকলে সবাইকে জানাবো
সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না, বরং এটা প্রহসনের নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করছি এই প্রক্রিয়ায় ভালো কোনো ফল আসবে না।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিসিবিতে সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্বাচন নিয়ে উচ্ছ্বাসের কথা বলেছিলেন লুৎফর রহমান বাদল। কিন্তু মধ্যরাতে তার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ক্লাবের চেয়ারম্যান।
নাটকীয় এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করেননি এই ক্রিকেট সংগঠক। তবে সিদ্ধান্তটি নিতে বাধ্য হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে সময় পেলে তিনি সব খোলাসা করবেন।
‘আমি লুৎফর রহমান বাদল, লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান, আসন্ন বিসিবি নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম। এখানে কারও দিকে আঙুল তুলছি না। তবে অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কখনো অনুকূলে থাকলে সবাইকে জানাবো, কেন এবং কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।’
‘কাঁদা ছোড়ার দিকে আমি যেতে চাই না। যারা এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে পরিচালক হচ্ছেন, তাদের প্রতি শুভকামনা। তবে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, একাধিক প্যানেলে নির্বাচনটা হলে সেটা মাইলফলক হয়ে থাকতো। যারা পুরো সময় আমার পাশে ছিলেন, তাদেরকে ধন্যবাদ।’
লুৎফর রহমান বাদল সরে দাঁড়ানোয় ক্যাটাগরি-২ বা ক্লাব প্রতিনিধি হিসেবে পরিচালক হওয়ার লড়াইয়ে নির্বাচনের সত্যিকারের আমেজ কমে গেলো আরও। এই ক্যাটাগরিতে থেকে ১২টি পরিচালক পদে লড়াইয়ে থাকলেন এখন কেবল আর ১৫ জন প্রার্থী।
সরে দাঁড়ালেন অন্য প্রার্থী হাসিবুল
শনিবার,(০৪ অক্টোবর ২০২৫) সকালে বিসিবিতে এসে নির্বাচন বর্জনের কথা জানান রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হাসিবুল আলম। আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহারের সুযোগ অবশ্য গত বুধবারই পেরিয়ে গেছে। ব্যালট পেপারে তাই হাসিবুলের নাম থাকবেই। তবে তার অংশগ্রহণ আর থাকছে না।
তার অভিযোগ, শুরু থেকেই তাকে ভোটারদের কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। ফলে সুষ্ঠু ভোটের কোনো পরিবেশ নেই বলে মনে করছেন তিনি।
‘গত ২ অক্টোবর আমি নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দিয়েছি। আমার ভোটারদের খুঁজে পাচ্ছি না, ভোট চাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না। আমি মনে করি মুখলেছুর রহমানের (এই ক্যাটাগরির আরেক প্রার্থী) মনোনয়নপত্র বাতিল করা উচিত। তিনি যেভাবে ভোট করছেন, তা পুরোপুরি অবৈধ। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। যে সব কাউন্সিলর প্রলোভনে পা দিয়েছেন, তাদের কাউন্সিলরশিপও বাতিল করতে হবে।’
‘যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে বিসিবি নির্বাচনের মান আরও খারাপ হবে। আগের নির্বাচনের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি এখন চোখে পড়ছে। সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না, বরং এটা প্রহসনের নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করছি এই প্রক্রিয়ায় ভালো কোনো ফল আসবে না। ফলে আমি স্বেচ্ছায় নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালাম। আর অংশগ্রহণ করবো না।’
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ক্যাটাগরি-১ থেকে ৬ অক্টোবরের নির্বাচনে মোট ভোট দেবেন ৩৫ জন। এর মধ্যে ১৯ জন ই-ভোট পদ্ধতিতে এবং ১৬ জন সরাসরি এসে ভোট দেবেন।
হাসিবুল আলম সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চাপাইনবাবগঞ্জের মুহাম্মদ মুখলেছুর রহমান (শামীম) রাজশাহীর ভোটারদের ঢাকায় একটি হোটেলে গোপনে রেখেছেন।
‘আমাকে একটি বিদেশি নাম্বার থেকে ফোন দেয়া হলো, জানানো হলো রাজশাহীর কাউন্সিলররা ঢাকার ইউনিক রিজেন্সি হোটেলে আছেন। বলা হলো, তারা ৮টি রুমে আছেন। হোটেলে আমি একজন প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলাম। যাওয়া মাত্রই ওখানকার কাউন্টারে নিশ্চিত করা হলো যে ওই প্রার্থী সেখানেই উঠেছেন।’
‘এরপর আমি বনানী থানার ডিসির কাছে গিয়েছিলাম অভিযোগ করতে। আমার জেলার কাউন্সিলরদের এভাবে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তবে তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থার চেয়ে ওই হোটেলে তাদের উপস্থিতি আছে কি না তা নিশ্চিত করে জানানোর কথা জানিয়েছেন।’
গত বুধবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তামিম ইকবালসহ মোট ১৬ জন প্রার্থী নাম প্রত্যাহার করে নেন নির্বাচন থেকে। এরপর গত ২৪ ঘণ্টায় দুই ক্যাটাগরি থেকে দুই প্রার্থীর সরে দাঁড়ানোয় বিসিবি নির্বাচনের পরিবেশকে ঘিরে প্রশ্নগুলোকেই আরও উচ্ছ্বশিত করছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী সোমবার।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে প্রার্থীতা প্রত্যাহার বা সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাদল। নির্বাচনে কারচুপির শঙ্কায় সরে দাঁড়ান আরেক প্রার্থী হাসিবুল আলম।
এখানে কারো দিকে আঙুল তুলছি না। তবে অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কখনো অনুকূলে থাকলে সবাইকে জানাবো
সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না, বরং এটা প্রহসনের নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করছি এই প্রক্রিয়ায় ভালো কোনো ফল আসবে না।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিসিবিতে সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্বাচন নিয়ে উচ্ছ্বাসের কথা বলেছিলেন লুৎফর রহমান বাদল। কিন্তু মধ্যরাতে তার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ক্লাবের চেয়ারম্যান।
নাটকীয় এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করেননি এই ক্রিকেট সংগঠক। তবে সিদ্ধান্তটি নিতে বাধ্য হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে সময় পেলে তিনি সব খোলাসা করবেন।
‘আমি লুৎফর রহমান বাদল, লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ারম্যান, আসন্ন বিসিবি নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম। এখানে কারও দিকে আঙুল তুলছি না। তবে অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কখনো অনুকূলে থাকলে সবাইকে জানাবো, কেন এবং কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।’
‘কাঁদা ছোড়ার দিকে আমি যেতে চাই না। যারা এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে পরিচালক হচ্ছেন, তাদের প্রতি শুভকামনা। তবে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, একাধিক প্যানেলে নির্বাচনটা হলে সেটা মাইলফলক হয়ে থাকতো। যারা পুরো সময় আমার পাশে ছিলেন, তাদেরকে ধন্যবাদ।’
লুৎফর রহমান বাদল সরে দাঁড়ানোয় ক্যাটাগরি-২ বা ক্লাব প্রতিনিধি হিসেবে পরিচালক হওয়ার লড়াইয়ে নির্বাচনের সত্যিকারের আমেজ কমে গেলো আরও। এই ক্যাটাগরিতে থেকে ১২টি পরিচালক পদে লড়াইয়ে থাকলেন এখন কেবল আর ১৫ জন প্রার্থী।
সরে দাঁড়ালেন অন্য প্রার্থী হাসিবুল
শনিবার,(০৪ অক্টোবর ২০২৫) সকালে বিসিবিতে এসে নির্বাচন বর্জনের কথা জানান রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হাসিবুল আলম। আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রত্যাহারের সুযোগ অবশ্য গত বুধবারই পেরিয়ে গেছে। ব্যালট পেপারে তাই হাসিবুলের নাম থাকবেই। তবে তার অংশগ্রহণ আর থাকছে না।
তার অভিযোগ, শুরু থেকেই তাকে ভোটারদের কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। ফলে সুষ্ঠু ভোটের কোনো পরিবেশ নেই বলে মনে করছেন তিনি।
‘গত ২ অক্টোবর আমি নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দিয়েছি। আমার ভোটারদের খুঁজে পাচ্ছি না, ভোট চাওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না। আমি মনে করি মুখলেছুর রহমানের (এই ক্যাটাগরির আরেক প্রার্থী) মনোনয়নপত্র বাতিল করা উচিত। তিনি যেভাবে ভোট করছেন, তা পুরোপুরি অবৈধ। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। যে সব কাউন্সিলর প্রলোভনে পা দিয়েছেন, তাদের কাউন্সিলরশিপও বাতিল করতে হবে।’
‘যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে বিসিবি নির্বাচনের মান আরও খারাপ হবে। আগের নির্বাচনের চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি এখন চোখে পড়ছে। সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না, বরং এটা প্রহসনের নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি মনে করছি এই প্রক্রিয়ায় ভালো কোনো ফল আসবে না। ফলে আমি স্বেচ্ছায় নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালাম। আর অংশগ্রহণ করবো না।’
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ক্যাটাগরি-১ থেকে ৬ অক্টোবরের নির্বাচনে মোট ভোট দেবেন ৩৫ জন। এর মধ্যে ১৯ জন ই-ভোট পদ্ধতিতে এবং ১৬ জন সরাসরি এসে ভোট দেবেন।
হাসিবুল আলম সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চাপাইনবাবগঞ্জের মুহাম্মদ মুখলেছুর রহমান (শামীম) রাজশাহীর ভোটারদের ঢাকায় একটি হোটেলে গোপনে রেখেছেন।
‘আমাকে একটি বিদেশি নাম্বার থেকে ফোন দেয়া হলো, জানানো হলো রাজশাহীর কাউন্সিলররা ঢাকার ইউনিক রিজেন্সি হোটেলে আছেন। বলা হলো, তারা ৮টি রুমে আছেন। হোটেলে আমি একজন প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলাম। যাওয়া মাত্রই ওখানকার কাউন্টারে নিশ্চিত করা হলো যে ওই প্রার্থী সেখানেই উঠেছেন।’
‘এরপর আমি বনানী থানার ডিসির কাছে গিয়েছিলাম অভিযোগ করতে। আমার জেলার কাউন্সিলরদের এভাবে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তবে তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থার চেয়ে ওই হোটেলে তাদের উপস্থিতি আছে কি না তা নিশ্চিত করে জানানোর কথা জানিয়েছেন।’
গত বুধবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তামিম ইকবালসহ মোট ১৬ জন প্রার্থী নাম প্রত্যাহার করে নেন নির্বাচন থেকে। এরপর গত ২৪ ঘণ্টায় দুই ক্যাটাগরি থেকে দুই প্রার্থীর সরে দাঁড়ানোয় বিসিবি নির্বাচনের পরিবেশকে ঘিরে প্রশ্নগুলোকেই আরও উচ্ছ্বশিত করছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে বিসিবির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী সোমবার।