আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সেই পরিচিত ব্যাটিং ধসে আরও একবার বাংলাদেশ পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়। আবুধাবীতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মাত্র ৬৭ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ৪৭.১ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ একই মাঠে হবে আগামীকাল।
রশিদ খানের দলের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে বাংলাদেশ ৩-০’তে জয়ী হওয়ার পর ওয়ানডেতেও জয় দিয়ে সিরিজ শুরুর প্রত্যাশা করেছিল।
গতকাল বুধবার রাতে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘প্রথম ১৫ ওভারে আমরা বেশ কিছু উইকেট হারিয়েছি। এই উইকেটে ব্যাটিং করাটা কঠিন। আরও অন্তত ৪০ রান করা জরুরি ছিল। আমি বলতে চাইছি ২৬০’র বেশি রান করতে পারলে সেটা অবশ্যই ভাল হতো। কারণ আমাদের বোলিং বিভাগ শক্তিশালী। সমস্যা হয়েছে শেষের দিকে বড় পার্টনারশিপ করতে না পারা।’
ওয়ানডে অভিষেকে সাইফ হাসানের কাছ থেকে আরও ভাল পারফরমেন্স আশা করা হয়েছিল। বিশেষ করে টি-২০ ফরম্যাটে তিনি ব্যাটিংয়ে আস্থা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ২৬ রানে আউট হয়ে সাইফ নিজেকে এগিয়ে নিতে পারেননি। অন্য ওপেনার তানজিদ তামিম মাত্র ১০ রানে ও নাজমুল হোসেন শান্ত ২ রানে আউট হলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৫৩।
চতুর্থ উইকেটে মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয় মিলে ১০১ রানের জুটি গড়ে তুলেন। এই জুটি বাংলাদেশকে বড় রানের স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি উপহার দিয়ে দুজনেই দ্রুত সাজঘরের পথ ধরলে বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামে।
মিরাজ বলেন, ‘উইকেটে কিছুটা টার্ন ছিল। আমরা ঐ সময়টা বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম। চাপের মধ্যেও ঠান্ডা মাথার ইনিংস খেলেছে হৃদয়। পরিস্থিতি সামলে পজিটিভ ক্রিকেট খেলেছে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে শেষ দিকে ভালো জুটি গড়তে পারিনি।’
সিরিজে ফেরা নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের হাতে এখনও সুযোগ আছে। দুই ম্যাচ বাকি আছে। সুযোগ আছে আরও ভালো করার। আশা করি, এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। আমি আত্মবিশ্বাসী ছেলেরা পরের ম্যাচে ভালো করবে।’
আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে নেমে যাওয়া বাংলাদেশের ইনিংসে ডট বল ছিল ১৬৯টি। উপরে-নিচে ব্যর্থতার মাঝে মিরাজ ও হৃদয় হাফসেঞ্চুরি পেলেও রানের চাকায় দম দিতে পারেননি। ৫৬ রান করতে হৃদয়ের লাগে ৮৫ বল। মিরাজ ৬০ করতে খেলেন ৮৭ বল।
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ৪৮.৫ ওভারে ২২১ (সাইফ ২৬, তানজিম ১০, শান্ত ২, হৃদয় ৫৬, মিরাজ ৬০, জাকের ১০, সোহান ৭, তানজিম ১৭, হাসান ৫, তাসকিন ৪*, তানভির ১১; ওমারজাই ৩/৪০, গাজানফার ২/৫৫, খারোটে ১/৩২, রশিদ ৩/৩৮)।
আফগানিস্তান ৪৭.১ ওভারে ২২৬/৫ (গুরবাজ ৫০, ইব্রাহিম ২৩, রেহমাত ৫০, শাহিদি ৩৩*, ওমারজাই ৪০; তাসকিন ৮-০-৫০-০, হাসান ৮-০-৪০-০, তানভির ১০-০-৪২-১, তানজিম ৭-১-৩১-৩, মিরাজ ১০-১-৩২-১, সাইফ ৩.১-০-২৪-০, শান্ত ১-০-৪-০)।
ম্যাচসেরা: আজমাতউল্লাহ ওমারজাই।
বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সেই পরিচিত ব্যাটিং ধসে আরও একবার বাংলাদেশ পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়। আবুধাবীতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মাত্র ৬৭ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ৪৭.১ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ একই মাঠে হবে আগামীকাল।
রশিদ খানের দলের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে বাংলাদেশ ৩-০’তে জয়ী হওয়ার পর ওয়ানডেতেও জয় দিয়ে সিরিজ শুরুর প্রত্যাশা করেছিল।
গতকাল বুধবার রাতে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘প্রথম ১৫ ওভারে আমরা বেশ কিছু উইকেট হারিয়েছি। এই উইকেটে ব্যাটিং করাটা কঠিন। আরও অন্তত ৪০ রান করা জরুরি ছিল। আমি বলতে চাইছি ২৬০’র বেশি রান করতে পারলে সেটা অবশ্যই ভাল হতো। কারণ আমাদের বোলিং বিভাগ শক্তিশালী। সমস্যা হয়েছে শেষের দিকে বড় পার্টনারশিপ করতে না পারা।’
ওয়ানডে অভিষেকে সাইফ হাসানের কাছ থেকে আরও ভাল পারফরমেন্স আশা করা হয়েছিল। বিশেষ করে টি-২০ ফরম্যাটে তিনি ব্যাটিংয়ে আস্থা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু মাত্র ২৬ রানে আউট হয়ে সাইফ নিজেকে এগিয়ে নিতে পারেননি। অন্য ওপেনার তানজিদ তামিম মাত্র ১০ রানে ও নাজমুল হোসেন শান্ত ২ রানে আউট হলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৫৩।
চতুর্থ উইকেটে মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয় মিলে ১০১ রানের জুটি গড়ে তুলেন। এই জুটি বাংলাদেশকে বড় রানের স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি উপহার দিয়ে দুজনেই দ্রুত সাজঘরের পথ ধরলে বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামে।
মিরাজ বলেন, ‘উইকেটে কিছুটা টার্ন ছিল। আমরা ঐ সময়টা বেশ সমস্যায় পড়েছিলাম। চাপের মধ্যেও ঠান্ডা মাথার ইনিংস খেলেছে হৃদয়। পরিস্থিতি সামলে পজিটিভ ক্রিকেট খেলেছে। আমাদের সমস্যা হচ্ছে শেষ দিকে ভালো জুটি গড়তে পারিনি।’
সিরিজে ফেরা নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের হাতে এখনও সুযোগ আছে। দুই ম্যাচ বাকি আছে। সুযোগ আছে আরও ভালো করার। আশা করি, এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। আমি আত্মবিশ্বাসী ছেলেরা পরের ম্যাচে ভালো করবে।’
আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে নেমে যাওয়া বাংলাদেশের ইনিংসে ডট বল ছিল ১৬৯টি। উপরে-নিচে ব্যর্থতার মাঝে মিরাজ ও হৃদয় হাফসেঞ্চুরি পেলেও রানের চাকায় দম দিতে পারেননি। ৫৬ রান করতে হৃদয়ের লাগে ৮৫ বল। মিরাজ ৬০ করতে খেলেন ৮৭ বল।
প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ৪৮.৫ ওভারে ২২১ (সাইফ ২৬, তানজিম ১০, শান্ত ২, হৃদয় ৫৬, মিরাজ ৬০, জাকের ১০, সোহান ৭, তানজিম ১৭, হাসান ৫, তাসকিন ৪*, তানভির ১১; ওমারজাই ৩/৪০, গাজানফার ২/৫৫, খারোটে ১/৩২, রশিদ ৩/৩৮)।
আফগানিস্তান ৪৭.১ ওভারে ২২৬/৫ (গুরবাজ ৫০, ইব্রাহিম ২৩, রেহমাত ৫০, শাহিদি ৩৩*, ওমারজাই ৪০; তাসকিন ৮-০-৫০-০, হাসান ৮-০-৪০-০, তানভির ১০-০-৪২-১, তানজিম ৭-১-৩১-৩, মিরাজ ১০-১-৩২-১, সাইফ ৩.১-০-২৪-০, শান্ত ১-০-৪-০)।
ম্যাচসেরা: আজমাতউল্লাহ ওমারজাই।