নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও ৩ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। সোমবার রাতে বিশাখাপত্তমে আগে ব্যাট করে শারমিন আক্তার সুপ্তা ও স্বর্ণা আক্তারের ফিফটিতে ২৩২ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ, যা ৩ বল আগে পেরিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। এদিন ৩৪ বলে দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন স্বর্ণা।
মাঝারি পুঁজি নিয়েও ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা এসেছিলো, মিলেছিলো সুযোগ। কিন্তু বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত ফসকে বেরিয়ে যায় তিনটি ক্যাচ, একদম ৪৯তম ওভারেও ক্যাচ মিসের মাশুল গুনতে হয়। আবার বোলারদের ক্রাঞ্চ মোমেন্টে লোপ্পা ফুলটস বলও করতে দেখা গেছে।
ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের দুর্দান্ত লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দলের পারফরমেন্স নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘শেষ বল পর্যন্ত মেয়েরা যেভাবে লড়াই করেছে তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। খারাপও লাগছে কারণ ড্র্রেসিংরুমে তারা কেঁদেছে। তাদের বয়স অল্প। সবারই বিশ্বাস ছিল ম্যাচটা আমরা জিততে পারবো। আমার মনে হয় এটা আমাদের জন্য শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। যেভাবে সবাই নিজেদের ১১০ শতাংশ দেয়ার চেষ্টা করেছে তাতে ভালো লাগছে।’
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯৭ বলে ৫৩ রানের সূচনা করে বাংলাদেশ। এরপর শারমিন আকতারের ৫০ ও স্বর্ণা আকতারের ৩৫ বলে অপরাজিত ৫১ রানে লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং পরিকল্পনা নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘আগের ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে শুরুর দিকে উইকেট হারিয়েছি। এবার শুরুতে একটি ভাল জুটি চেয়েছিলাম। ব্যাটাররা ভাল করেছে। তারপরও শেষ পর্যন্ত আমাদের ১৫-২০ রান কম হয়েছে।’
টুর্নামেন্টে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারলে অনেক বড় বার্তা দেয়া যেত। এই সুযোগ হাতছাড়ার আক্ষেপ থাকলেও হতাশ হতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আক্ষেপ তো থাকবেই, যদি ম্যাচটা জিততে পারতাম আমাদের জন্য ভালো হতো।’
৪ ম্যাচে ৩ হার ও ১ জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে আছে বাংলাদেশ। লীগ পর্বে আরও তিনটি ম্যাচ বাকি বাংলাদেশের। এরপর অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে খেলবে টাইগ্রেসরা।
সেমিফাইনালে খেলতে হলে পরের তিন ম্যাচে বাংলাদেশের জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জ্যোতি বলেন, ‘এটাই আমাদের শেষ ম্যাচ না। আরও তিনটি ম্যাচ আছে। আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। দল যেভাবে খেলেছে তাতে সবার মাথা উঁচু রাখা উচিত। মাঝের ওভারে আমরা প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছিলাম। পরের ম্যাচগুলোতেও এটি অব্যাহত রাখতে হবে।’
শিশিরের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বল করতে বোলারদের সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘শিশিরের কারণে বল গ্রিপ করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। বল ভেজা ছিল। দলের সেরা বোলারদের ব্যবহারের চেষ্টা করেছি। কখনও কখনও মোমেন্টাম ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এই অবস্থায় অনেক কিছু শেখার আছে। আমরা যদি পরেরবার কোনো ম্যাচে এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে পড়ি তাহলে কি করা উচিত হবে সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
চলতি আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। আগামীকাল নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ২৩২/৬ (ফারজানা ৩০, রুবাইয়া ২৫, শারমিন ৫০, নিগার ৩২, স্বর্ণা ৫১, সোবহানা ৯, রাবেয়া ০, রিতু ১৯*; এমলাবা ২/৪২)।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯.৩ ওভারে ২৩৫/৭ (ভলভার্ট ৩১, বশ ২৮, ক্যাপ ৫৬, ট্রায়ন ৬২, ডি ক্লার্ক ৩৭*, ক্লাস ১০*; নাহিদা ২/৪৪, রাবেয়া ১/৪৮, ফাহিমা ১/৫১, রিতু ১/২৯)।
ম্যাচসেরা: ক্লোয়ি ট্রায়ন।
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও ৩ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। সোমবার রাতে বিশাখাপত্তমে আগে ব্যাট করে শারমিন আক্তার সুপ্তা ও স্বর্ণা আক্তারের ফিফটিতে ২৩২ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ, যা ৩ বল আগে পেরিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। এদিন ৩৪ বলে দেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন স্বর্ণা।
মাঝারি পুঁজি নিয়েও ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা এসেছিলো, মিলেছিলো সুযোগ। কিন্তু বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত ফসকে বেরিয়ে যায় তিনটি ক্যাচ, একদম ৪৯তম ওভারেও ক্যাচ মিসের মাশুল গুনতে হয়। আবার বোলারদের ক্রাঞ্চ মোমেন্টে লোপ্পা ফুলটস বলও করতে দেখা গেছে।
ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের দুর্দান্ত লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দলের পারফরমেন্স নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘শেষ বল পর্যন্ত মেয়েরা যেভাবে লড়াই করেছে তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। খারাপও লাগছে কারণ ড্র্রেসিংরুমে তারা কেঁদেছে। তাদের বয়স অল্প। সবারই বিশ্বাস ছিল ম্যাচটা আমরা জিততে পারবো। আমার মনে হয় এটা আমাদের জন্য শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। যেভাবে সবাই নিজেদের ১১০ শতাংশ দেয়ার চেষ্টা করেছে তাতে ভালো লাগছে।’
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯৭ বলে ৫৩ রানের সূচনা করে বাংলাদেশ। এরপর শারমিন আকতারের ৫০ ও স্বর্ণা আকতারের ৩৫ বলে অপরাজিত ৫১ রানে লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং পরিকল্পনা নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘আগের ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে শুরুর দিকে উইকেট হারিয়েছি। এবার শুরুতে একটি ভাল জুটি চেয়েছিলাম। ব্যাটাররা ভাল করেছে। তারপরও শেষ পর্যন্ত আমাদের ১৫-২০ রান কম হয়েছে।’
টুর্নামেন্টে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারলে অনেক বড় বার্তা দেয়া যেত। এই সুযোগ হাতছাড়ার আক্ষেপ থাকলেও হতাশ হতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আক্ষেপ তো থাকবেই, যদি ম্যাচটা জিততে পারতাম আমাদের জন্য ভালো হতো।’
৪ ম্যাচে ৩ হার ও ১ জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে আছে বাংলাদেশ। লীগ পর্বে আরও তিনটি ম্যাচ বাকি বাংলাদেশের। এরপর অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে খেলবে টাইগ্রেসরা।
সেমিফাইনালে খেলতে হলে পরের তিন ম্যাচে বাংলাদেশের জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জ্যোতি বলেন, ‘এটাই আমাদের শেষ ম্যাচ না। আরও তিনটি ম্যাচ আছে। আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। দল যেভাবে খেলেছে তাতে সবার মাথা উঁচু রাখা উচিত। মাঝের ওভারে আমরা প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছিলাম। পরের ম্যাচগুলোতেও এটি অব্যাহত রাখতে হবে।’
শিশিরের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বল করতে বোলারদের সমস্যা হয়েছে বলে জানিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘শিশিরের কারণে বল গ্রিপ করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। বল ভেজা ছিল। দলের সেরা বোলারদের ব্যবহারের চেষ্টা করেছি। কখনও কখনও মোমেন্টাম ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এই অবস্থায় অনেক কিছু শেখার আছে। আমরা যদি পরেরবার কোনো ম্যাচে এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে পড়ি তাহলে কি করা উচিত হবে সেই অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
চলতি আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। আগামীকাল নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ২৩২/৬ (ফারজানা ৩০, রুবাইয়া ২৫, শারমিন ৫০, নিগার ৩২, স্বর্ণা ৫১, সোবহানা ৯, রাবেয়া ০, রিতু ১৯*; এমলাবা ২/৪২)।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯.৩ ওভারে ২৩৫/৭ (ভলভার্ট ৩১, বশ ২৮, ক্যাপ ৫৬, ট্রায়ন ৬২, ডি ক্লার্ক ৩৭*, ক্লাস ১০*; নাহিদা ২/৪৪, রাবেয়া ১/৪৮, ফাহিমা ১/৫১, রিতু ১/২৯)।
ম্যাচসেরা: ক্লোয়ি ট্রায়ন।