হংকং ১ : বাংলাদেশ ১
হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের হামজার একটি আক্রমণ
হোম ম্যাচে না পারলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে ঠিকই হংকং, চায়নাকে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ কাই তাক স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা দশজনের দলে পরিণত হলে চেপে ধরে গোল আদায় করে নেয় লাল সবুজরা। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ফিরতি লেগের ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে এক পয়েন্ট আদায় করে নেন হামজা চৌধুরীরা। হংকংয়ের হয়ে ম্যাট অর গোল করেন। বাংলাদেশের হয়ে সেই গোল শোধ দেন রাকিব হোসাইন।
আফসোসে পুড়তেই পারেন হামজা, জামালরা। ঘরের মাঠে ড্র করতে পারলে অন্তত এখন গ্রুপে বেশ ভালোভাবেই টিকে থাকতে পারতেন। এ ড্রয়ে চার ম্যাচে দুই পয়েন্ট বাংলাদেশের। অন্যদিকে সমান ম্যাচে হংকংয়ের আট। গাণিতিক হিসাবে বাংলাদেশের এখনও আশা বেঁচে রয়েছে! তবে সেজন্য বাকি দুই ম্যাচ জিততে হবে। পাশাপাশি অন্যদের ফলের ওপর দৃষ্টি রাখতে হবে। ১৮ নভেম্বর হোমে ভারত এবং আগামী বছর ৩১ মার্চ সিঙ্গাপুরে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। পরের দুই ম্যাচ জিততে পারলে অন্তত দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে জামালরা।
চার ম্যাচে বাংলাদেশের দুই পয়েন্ট। হংকংয়ের ৮। গাণিতিক হিসাবে বাংলাদেশের এখনও আশা বেঁচে রয়েছে! তবে সেজন্য বাকি দুই ম্যাচ জিততে হবে। পাশাপাশি অন্যদের ফলের ওপর দৃষ্টি রাখতে হবে।
মঙ্গলবার হংকংয়ে ৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সেখানে লাল জার্সিধারীদেরই আধিক্য। প্রতিকূল পরিবেশে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ প্রথমার্ধে ভালো করতে পারেনি।
শুরু থেকে চাপ সামলে কিছুটা লড়াই করতে থাকে বাংলাদেশ। অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩টি পরিবর্তন রেখে একাদশ সাজান কোচ। জায়ান আহমেদ, শমিত শোম ও তপু বর্মণ রাখেন একাদশে। ছিলেন না ফাহিম, তাজ উদ্দিন ও সোহেল রানা। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও ছিলেন না শুরু থেকে।
রক্ষণ সামলে বাংলাদেশ বারকয়েক প্রতিপক্ষের সীমানায় গিয়েও সুবিধা করতে পারেনি। ৫-৪-১ ছকে কিংবা তা ভেঙে মিডফিল্ড কিংবা আক্রমণে রাকিবের সঙ্গে মোরসালিন যোগ হয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি। বরং হংকং দেখে শুনে খেলে আক্রমণ করেছে।
২২ মিনিট বল নিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় এগিয়ে যাওয়া শমিতকে হংকংয়ের এক ডিফেন্ডার বক্সের একটু ওপর করে। হামজার নেয়া ফ্রিকিক রক্ষণ দেয়ালে লেগে বাইরে বল বাইরে যায়। ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় হংকং। তারিক কাজী ফাউল করেন। জাপানের রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে সময় নেননি। স্পটকিক থেকে ম্যাট অর গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে জাল কাঁপান।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ডান দিক থেকে সাদ উদ্দিনের নিচু ক্রস ছিল। তা হেড দিয়ে শমিতের সামনে দেন হামজা, বল পোস্টের সামনে দাঁড়ানো শমিতের কাছে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে হংকংয়ের ডিফেন্ডার কর্নারে বল রক্ষা করেন।
বিরতির পর বাংলাদেশ একটু আগ্রাসী হয়ে খেলার চেষ্টা করে। তবে শুরুর দিকে হংকং ব্যবধান বাড়ানোর সুযোপ পায়। মোরসালিনের ভুল পাস থেকে বক্সের ঠিক বাইরে পেরেইরার শট চলে যায় বার ঘেঁষে।
৬৩ মিনিটে জামাল ও ফাহামিদুল বদলি হয়ে নামেন। উঠে যান জায়ান ও সোহেল। ৫ মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে ফাহামিদুলের ডান পায়ের জোরালো শট গোলকিপার তালুবন্দী করে হংকংকে রক্ষা করেন। ৭৩ মিনিটে বাংলাদেশ সুবর্ণ সুযোগ হারায়।
৭৬ মিনিটে হংকং ১০ জনের দলে পরিণত হয়। শমিতকে ফাউল করে ডাবল হলুদে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অলিভার বেনজামিন। একটু পর মোরসালিনের জায়গায় ফাহিম নামেন। তাতে বাংলাদেশের আক্রমণে ধার বাড়ে আরও। গোলও পায় কাবরেরার দল। ৮৪ মিনিটে রাকিব হোসেনের গোল স্বস্তি ফেরায় বাংলাদেশ শিবিরে।
ফাহিমের বাঁ প্রান্তের ক্রসে বক্সের ভিতরে ফাহামিদুলের সামনের দিকে ফেলা হেডে রাকিব দারুণ এক প্লেসিংয়ে গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। গোল করেই তাদের ডিজিটাল বোর্ডের ওপর বসে আনন্দ উদযাপন ছিল দেখার মতো।
বাংলাদেশের প্রথম একাদশ: মিতুল মারমা (গোলকিপার), জায়ান আহমেদ, তপু বর্মণ (অধিনায়ক), শাকিল আহাদ তপু, তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, সোহেল রানা সিনিয়র, শেখ মোরসালিন ও রাকিব হোসেন।
হংকং ১ : বাংলাদেশ ১
হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের হামজার একটি আক্রমণ
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
হোম ম্যাচে না পারলেও অ্যাওয়ে ম্যাচে ঠিকই হংকং, চায়নাকে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ কাই তাক স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা দশজনের দলে পরিণত হলে চেপে ধরে গোল আদায় করে নেয় লাল সবুজরা। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ফিরতি লেগের ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে এক পয়েন্ট আদায় করে নেন হামজা চৌধুরীরা। হংকংয়ের হয়ে ম্যাট অর গোল করেন। বাংলাদেশের হয়ে সেই গোল শোধ দেন রাকিব হোসাইন।
আফসোসে পুড়তেই পারেন হামজা, জামালরা। ঘরের মাঠে ড্র করতে পারলে অন্তত এখন গ্রুপে বেশ ভালোভাবেই টিকে থাকতে পারতেন। এ ড্রয়ে চার ম্যাচে দুই পয়েন্ট বাংলাদেশের। অন্যদিকে সমান ম্যাচে হংকংয়ের আট। গাণিতিক হিসাবে বাংলাদেশের এখনও আশা বেঁচে রয়েছে! তবে সেজন্য বাকি দুই ম্যাচ জিততে হবে। পাশাপাশি অন্যদের ফলের ওপর দৃষ্টি রাখতে হবে। ১৮ নভেম্বর হোমে ভারত এবং আগামী বছর ৩১ মার্চ সিঙ্গাপুরে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। পরের দুই ম্যাচ জিততে পারলে অন্তত দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে জামালরা।
চার ম্যাচে বাংলাদেশের দুই পয়েন্ট। হংকংয়ের ৮। গাণিতিক হিসাবে বাংলাদেশের এখনও আশা বেঁচে রয়েছে! তবে সেজন্য বাকি দুই ম্যাচ জিততে হবে। পাশাপাশি অন্যদের ফলের ওপর দৃষ্টি রাখতে হবে।
মঙ্গলবার হংকংয়ে ৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সেখানে লাল জার্সিধারীদেরই আধিক্য। প্রতিকূল পরিবেশে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ প্রথমার্ধে ভালো করতে পারেনি।
শুরু থেকে চাপ সামলে কিছুটা লড়াই করতে থাকে বাংলাদেশ। অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩টি পরিবর্তন রেখে একাদশ সাজান কোচ। জায়ান আহমেদ, শমিত শোম ও তপু বর্মণ রাখেন একাদশে। ছিলেন না ফাহিম, তাজ উদ্দিন ও সোহেল রানা। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও ছিলেন না শুরু থেকে।
রক্ষণ সামলে বাংলাদেশ বারকয়েক প্রতিপক্ষের সীমানায় গিয়েও সুবিধা করতে পারেনি। ৫-৪-১ ছকে কিংবা তা ভেঙে মিডফিল্ড কিংবা আক্রমণে রাকিবের সঙ্গে মোরসালিন যোগ হয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি। বরং হংকং দেখে শুনে খেলে আক্রমণ করেছে।
২২ মিনিট বল নিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় এগিয়ে যাওয়া শমিতকে হংকংয়ের এক ডিফেন্ডার বক্সের একটু ওপর করে। হামজার নেয়া ফ্রিকিক রক্ষণ দেয়ালে লেগে বাইরে বল বাইরে যায়। ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় হংকং। তারিক কাজী ফাউল করেন। জাপানের রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে সময় নেননি। স্পটকিক থেকে ম্যাট অর গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে জাল কাঁপান।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ডান দিক থেকে সাদ উদ্দিনের নিচু ক্রস ছিল। তা হেড দিয়ে শমিতের সামনে দেন হামজা, বল পোস্টের সামনে দাঁড়ানো শমিতের কাছে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে হংকংয়ের ডিফেন্ডার কর্নারে বল রক্ষা করেন।
বিরতির পর বাংলাদেশ একটু আগ্রাসী হয়ে খেলার চেষ্টা করে। তবে শুরুর দিকে হংকং ব্যবধান বাড়ানোর সুযোপ পায়। মোরসালিনের ভুল পাস থেকে বক্সের ঠিক বাইরে পেরেইরার শট চলে যায় বার ঘেঁষে।
৬৩ মিনিটে জামাল ও ফাহামিদুল বদলি হয়ে নামেন। উঠে যান জায়ান ও সোহেল। ৫ মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে ফাহামিদুলের ডান পায়ের জোরালো শট গোলকিপার তালুবন্দী করে হংকংকে রক্ষা করেন। ৭৩ মিনিটে বাংলাদেশ সুবর্ণ সুযোগ হারায়।
৭৬ মিনিটে হংকং ১০ জনের দলে পরিণত হয়। শমিতকে ফাউল করে ডাবল হলুদে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অলিভার বেনজামিন। একটু পর মোরসালিনের জায়গায় ফাহিম নামেন। তাতে বাংলাদেশের আক্রমণে ধার বাড়ে আরও। গোলও পায় কাবরেরার দল। ৮৪ মিনিটে রাকিব হোসেনের গোল স্বস্তি ফেরায় বাংলাদেশ শিবিরে।
ফাহিমের বাঁ প্রান্তের ক্রসে বক্সের ভিতরে ফাহামিদুলের সামনের দিকে ফেলা হেডে রাকিব দারুণ এক প্লেসিংয়ে গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। গোল করেই তাদের ডিজিটাল বোর্ডের ওপর বসে আনন্দ উদযাপন ছিল দেখার মতো।
বাংলাদেশের প্রথম একাদশ: মিতুল মারমা (গোলকিপার), জায়ান আহমেদ, তপু বর্মণ (অধিনায়ক), শাকিল আহাদ তপু, তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, সোহেল রানা সিনিয়র, শেখ মোরসালিন ও রাকিব হোসেন।