বাহরাইনে এশিয়ান যুব গেমস
আন্তর্জাতিক আসরে স্বর্ণপদক সোনার হরিণের মতো বাংলাদেশের কাছে। কেবল সাউথ এশিয়ান গেমস ছাড়া সোনার পদক দেখা মেলা ভার। যদিও সেই প্রত্যাশা নিয়েই ফি গেমসে অংশ নেন বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা। একই প্রত্যাশা নিয়ে বাহরাইনের ২০-৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এশিয়ান যুব গেমসে অংশ নিচ্ছেন ১৩ ডিসিপ্লিনে ৬০ জন খেলোয়াড়সহ বাংলাদেশের ৮১ জনের বহর। এবারের আসরে বাংলাদেশের অংশ নেয়া ডিসিপ্লিনগুলো হলো- অ্যাথলেটিক্স, ব্যাডমিন্টন, বক্সিং, বাস্কেটবল, সাইক্লিং, গলফ, জুডো, কাবাডি, সুইমিং, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, ভারোত্তোলন ও কুস্তি। গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে আগামী বুধবার । রোববার কাবাডি ডিসিপ্লিনের মাধ্যমে আসর শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। আজ থেকে পর্যায়ক্রমে যাবেন অন্য ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদরাও। রোববার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ-বাংলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দলের শেফ দ্য মিশন ব্রি. জেনারেল মো. হুমায়ুন কবীর। এ সময় বিওএর কোষাধ্যক্ষ একে সরকার ও মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল (অব.) এবিএম শেফাউল কবির উপস্থিত ছিলেন।
২০০৯ সালে সিঙ্গাপুরে এবং ২০১৩ সালে চীনের নানজিংয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইয়ুথ গেমসেও অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম আসরে চার ডিসিপ্লিনে ১২ জন এবং দ্বিতীয় আসরে ৮টি ডিসিপ্লিনে ১৯ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা ফিরেছেন খালি হাতে।
এবারের গেমসে পদক জয়ের প্রত্যয় নিয়ে আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করেন ক্রীড়াবিদরা। ক্রীড়া পরিষদ ও বিওএর সার্বিক তত্বাবধানে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ব্রি. জেনারেল মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বিগত দুটি গেমসে কোনো উল্লেখযোগ্য সাফল্য না থাকলেও এবারের আসরে কাবাডি, কুস্তি ও গলফে আমরা পদকের প্রত্যাশা করছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘এই তিন ডিসিপ্লিনের দায়িত্বে যারা আছেন তারা আমাকে পদক জয়ের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। আন্তর্জাতিক পরিম-লে সীমিত অংশগ্রহণ এবং অনুশীলনে ব্যবহƒত যুগোপযোগী সরঞ্জমাদির অপ্রতুলতার কারণে আমাদের ক্রীড়াবিদদের কিছুটা দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং প্রতিযোগিদের নিরলস অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা এসব দুর্বলতাসমূহ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।’ এশিয়ান ইয়ুথ গেমসে লাল সবুজের পতাকা বহন করবেন দুই তরুণ ক্রীড়াবিদ বক্সার সানি আহমেদ বেপারি ও কাবাডি দলের অধিনায়ক তাহরিম।
এবারই পদক জেতার সুযোগ কাবাডির
এশিয়ান ইয়ুথ গেমসের আগের দুই আসর থেকে শূন্য হাতে ফিরেছিল বাংলাদেশ। এবার পদক জয়কে পাখির চোখ করেছেন কর্মকর্তারা। প্রত্যাশিত সেই পদকটি এনে দিতে পারে তরুণী কাবাডি দল কারণ তাদের গ্রুপে মাত্র পাঁচটি দেশ রয়েছে।
বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে- ভারত, ইরান, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ড। পাঁচ দলের এই খেলায় চতুর্থ হলেই ব্রোঞ্জপদক পাবে বাংলাদেশ। কারণ কাবাডিতে সেমিফাইনালিস্ট দুই দলই ব্রোঞ্জ পায়। ডাবল লীগ পদ্ধতিতে হবে খেলাগুলো। মেয়েদের গ্রুপে শক্তিশালী দল রয়েছে ভারত ও ইরান। বাকি দুই দল শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডকে হারাতে পারলেই পদকের মুখ দেখতে পাবে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে ছেলেদের বিভাগে সাত দেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে শক্তিশালী ভারত, পাকিস্তান, ইরান, কাতার, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। এই বিভাগেও ডাবল লীগ পদ্ধতিতে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এখানেও চতুর্থ হলেই ব্রোঞ্জের দেখা মিলবে লাল সবুজ শিবিরে। এবারই পদক জয়ের সুবর্ণ সুযোগ লাল সবুজের কাবাডির সামনে। তাইতো পদকের প্রত্যাশায় দলের সঙ্গে মানামায় উড়ে গেছেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগও।
বাহরাইনে এশিয়ান যুব গেমস
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
আন্তর্জাতিক আসরে স্বর্ণপদক সোনার হরিণের মতো বাংলাদেশের কাছে। কেবল সাউথ এশিয়ান গেমস ছাড়া সোনার পদক দেখা মেলা ভার। যদিও সেই প্রত্যাশা নিয়েই ফি গেমসে অংশ নেন বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা। একই প্রত্যাশা নিয়ে বাহরাইনের ২০-৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এশিয়ান যুব গেমসে অংশ নিচ্ছেন ১৩ ডিসিপ্লিনে ৬০ জন খেলোয়াড়সহ বাংলাদেশের ৮১ জনের বহর। এবারের আসরে বাংলাদেশের অংশ নেয়া ডিসিপ্লিনগুলো হলো- অ্যাথলেটিক্স, ব্যাডমিন্টন, বক্সিং, বাস্কেটবল, সাইক্লিং, গলফ, জুডো, কাবাডি, সুইমিং, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, ভারোত্তোলন ও কুস্তি। গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে আগামী বুধবার । রোববার কাবাডি ডিসিপ্লিনের মাধ্যমে আসর শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। আজ থেকে পর্যায়ক্রমে যাবেন অন্য ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদরাও। রোববার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ-বাংলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দলের শেফ দ্য মিশন ব্রি. জেনারেল মো. হুমায়ুন কবীর। এ সময় বিওএর কোষাধ্যক্ষ একে সরকার ও মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল (অব.) এবিএম শেফাউল কবির উপস্থিত ছিলেন।
২০০৯ সালে সিঙ্গাপুরে এবং ২০১৩ সালে চীনের নানজিংয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইয়ুথ গেমসেও অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম আসরে চার ডিসিপ্লিনে ১২ জন এবং দ্বিতীয় আসরে ৮টি ডিসিপ্লিনে ১৯ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তারা ফিরেছেন খালি হাতে।
এবারের গেমসে পদক জয়ের প্রত্যয় নিয়ে আগে থেকেই অনুশীলন শুরু করেন ক্রীড়াবিদরা। ক্রীড়া পরিষদ ও বিওএর সার্বিক তত্বাবধানে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ব্রি. জেনারেল মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বিগত দুটি গেমসে কোনো উল্লেখযোগ্য সাফল্য না থাকলেও এবারের আসরে কাবাডি, কুস্তি ও গলফে আমরা পদকের প্রত্যাশা করছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘এই তিন ডিসিপ্লিনের দায়িত্বে যারা আছেন তারা আমাকে পদক জয়ের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। আন্তর্জাতিক পরিম-লে সীমিত অংশগ্রহণ এবং অনুশীলনে ব্যবহƒত যুগোপযোগী সরঞ্জমাদির অপ্রতুলতার কারণে আমাদের ক্রীড়াবিদদের কিছুটা দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং প্রতিযোগিদের নিরলস অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা এসব দুর্বলতাসমূহ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।’ এশিয়ান ইয়ুথ গেমসে লাল সবুজের পতাকা বহন করবেন দুই তরুণ ক্রীড়াবিদ বক্সার সানি আহমেদ বেপারি ও কাবাডি দলের অধিনায়ক তাহরিম।
এবারই পদক জেতার সুযোগ কাবাডির
এশিয়ান ইয়ুথ গেমসের আগের দুই আসর থেকে শূন্য হাতে ফিরেছিল বাংলাদেশ। এবার পদক জয়কে পাখির চোখ করেছেন কর্মকর্তারা। প্রত্যাশিত সেই পদকটি এনে দিতে পারে তরুণী কাবাডি দল কারণ তাদের গ্রুপে মাত্র পাঁচটি দেশ রয়েছে।
বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে- ভারত, ইরান, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ড। পাঁচ দলের এই খেলায় চতুর্থ হলেই ব্রোঞ্জপদক পাবে বাংলাদেশ। কারণ কাবাডিতে সেমিফাইনালিস্ট দুই দলই ব্রোঞ্জ পায়। ডাবল লীগ পদ্ধতিতে হবে খেলাগুলো। মেয়েদের গ্রুপে শক্তিশালী দল রয়েছে ভারত ও ইরান। বাকি দুই দল শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডকে হারাতে পারলেই পদকের মুখ দেখতে পাবে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে ছেলেদের বিভাগে সাত দেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে শক্তিশালী ভারত, পাকিস্তান, ইরান, কাতার, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। এই বিভাগেও ডাবল লীগ পদ্ধতিতে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এখানেও চতুর্থ হলেই ব্রোঞ্জের দেখা মিলবে লাল সবুজ শিবিরে। এবারই পদক জয়ের সুবর্ণ সুযোগ লাল সবুজের কাবাডির সামনে। তাইতো পদকের প্রত্যাশায় দলের সঙ্গে মানামায় উড়ে গেছেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগও।