৯ উইকেট নেন রকিবুল
ড্রয়ের পথে জাতীয় ক্রিকেট লীগে (এনসিএল) সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের ম্যাচ। তৃতীয় দিন ৪৮৯ রানে অলআউট হয়ে প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানের লিড নেয় সিলেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ময়মনসিংহ দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ৫৮ রানে। ৩০ রানে পিছিয়ে আছে তারা।
আগের দিন ৫৩ রানে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে মাঠ ছাড়া সৈকত সোমবার,(২৭ অক্টোবর ২০২৫) আবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭৫ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেন ২৩২ বলে। ১৯ চার ও ৮ ছক্কায় গড়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরির ইনিংসটি।
সাত নম্বরে নেমে ৯ চার ও এক ছক্কায় ১৬১ বলে ক্যারিয়ারসেরা ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন তোফায়েল আহমেদ। ১০ নম্বরে ইবাদত তার প্রথম ফিফটিতে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ১১০ বলে ৫৮। সৈকত ও ইবাদতের জুটিতে আসে ১৪৮ রান। বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল ৯ উইকেট নেন ১৬৮ রানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে স্বাগতিক দল। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান তোফায়েল ও রেজাউর রহমান রাজা দলের স্কোর পার করেন আড়াইশ’। ৮৭ বলে ৩১ রান করে ফেরেন রাজা। তোফায়েলের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ৭৭ রান।
রাজার বিদায়ের পর আবার ব্যাটিংয়ে নামেন সৈকত। তোফায়েল ফিফটি করেন ১২১ বলে। তাকে ফেরানোর পর সৈয়দ খালেদ আহমেদকে দ্রুত বিদায় করেন রকিবুল। সিলেটের প্রথম আট ব্যাটসম্যানই তার শিকার।
সেখান থেকেই সৈকত ও ইবাদতের বড় জুটিতে লিড পায় সিলেট। সৈকত সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৭৮ বলে, ২০৫ বলে পা রাখেন দেড়শতে।
তার চমৎকার ইনিংসটি থামান পেসার শহিদুল ইসলাম। রকিবুলের ১০ উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনাও তাতে শেষ হয়ে যায়। পরে ইবাদতকে ফিরিয়ে সিলেটের ইনিংস গুটিয়ে দেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে দিনের ১১ ওভার নিরাপদে কাটিয়ে দেন মাহফিজুল ও নাঈম শেখ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ময়মনসিংহ ১ম ইনিংস: ৪০১ ও ৫৮/০(মাহফিজুল ৩০*, নাঈম শেখ ১৯*)। সিলেট ১ম ইনিংস ৪৮৯ (সৈকত ১৭৫, তোফায়েল ৭৯, রাজা ৩১, ইবাদত ৫৮; রকিবুল ৫৫.৩-১০-১৬৮-৯ )।
রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ২৭তম জাতীয় ক্রিকেট লীগের চার দিনের ম্যাচে রাজশাহী বিপক্ষে চিটাগং আগের দিনের ১৩৩ রানের সঙ্গে আরও ১৪৪ রান যোগ করে ২য় ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৭৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করলে জয়ের জন্য রাজশাহীর লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৮৩ রান। দিনশেষে রাজশাহী ৪ উইকেটে ২১৯ রান করে। জয়ের জন্য রাজশাহীর এখনও ২৬৪ রানের প্রয়োজন। হাতে আছে ৬ উইকেট ও একদিন।
অন্যদিকে ম্যাচ জিততে চিটাগং এর প্রয়োজন ৬ উইকেট। ২য় ইনিংসে রাজশাহীর হাবিবুর ৩৩ বলে ৪৫, প্রিতম ৮৬ বলে ৫৬ ও এস এম মেহরন ৬১ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকে। এর আগে ২য় ইনিংসে চিটাগংয়ের ইয়াসির ৯২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। মাহমুদুল ৫১ রান করেন। রাজশাহীর শফিকুল ৬৬ রানে ৪টি ও পিয়াল ৩৫ রানে ৩টি উইকেট নেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
৯ উইকেট নেন রকিবুল
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
ড্রয়ের পথে জাতীয় ক্রিকেট লীগে (এনসিএল) সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের ম্যাচ। তৃতীয় দিন ৪৮৯ রানে অলআউট হয়ে প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানের লিড নেয় সিলেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ময়মনসিংহ দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ৫৮ রানে। ৩০ রানে পিছিয়ে আছে তারা।
আগের দিন ৫৩ রানে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হয়ে মাঠ ছাড়া সৈকত সোমবার,(২৭ অক্টোবর ২০২৫) আবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭৫ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেন ২৩২ বলে। ১৯ চার ও ৮ ছক্কায় গড়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরির ইনিংসটি।
সাত নম্বরে নেমে ৯ চার ও এক ছক্কায় ১৬১ বলে ক্যারিয়ারসেরা ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন তোফায়েল আহমেদ। ১০ নম্বরে ইবাদত তার প্রথম ফিফটিতে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ১১০ বলে ৫৮। সৈকত ও ইবাদতের জুটিতে আসে ১৪৮ রান। বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল ৯ উইকেট নেন ১৬৮ রানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ১৭৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে স্বাগতিক দল। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান তোফায়েল ও রেজাউর রহমান রাজা দলের স্কোর পার করেন আড়াইশ’। ৮৭ বলে ৩১ রান করে ফেরেন রাজা। তোফায়েলের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ৭৭ রান।
রাজার বিদায়ের পর আবার ব্যাটিংয়ে নামেন সৈকত। তোফায়েল ফিফটি করেন ১২১ বলে। তাকে ফেরানোর পর সৈয়দ খালেদ আহমেদকে দ্রুত বিদায় করেন রকিবুল। সিলেটের প্রথম আট ব্যাটসম্যানই তার শিকার।
সেখান থেকেই সৈকত ও ইবাদতের বড় জুটিতে লিড পায় সিলেট। সৈকত সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৭৮ বলে, ২০৫ বলে পা রাখেন দেড়শতে।
তার চমৎকার ইনিংসটি থামান পেসার শহিদুল ইসলাম। রকিবুলের ১০ উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনাও তাতে শেষ হয়ে যায়। পরে ইবাদতকে ফিরিয়ে সিলেটের ইনিংস গুটিয়ে দেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে দিনের ১১ ওভার নিরাপদে কাটিয়ে দেন মাহফিজুল ও নাঈম শেখ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ময়মনসিংহ ১ম ইনিংস: ৪০১ ও ৫৮/০(মাহফিজুল ৩০*, নাঈম শেখ ১৯*)। সিলেট ১ম ইনিংস ৪৮৯ (সৈকত ১৭৫, তোফায়েল ৭৯, রাজা ৩১, ইবাদত ৫৮; রকিবুল ৫৫.৩-১০-১৬৮-৯ )।
রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ২৭তম জাতীয় ক্রিকেট লীগের চার দিনের ম্যাচে রাজশাহী বিপক্ষে চিটাগং আগের দিনের ১৩৩ রানের সঙ্গে আরও ১৪৪ রান যোগ করে ২য় ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৭৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করলে জয়ের জন্য রাজশাহীর লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৮৩ রান। দিনশেষে রাজশাহী ৪ উইকেটে ২১৯ রান করে। জয়ের জন্য রাজশাহীর এখনও ২৬৪ রানের প্রয়োজন। হাতে আছে ৬ উইকেট ও একদিন।
অন্যদিকে ম্যাচ জিততে চিটাগং এর প্রয়োজন ৬ উইকেট। ২য় ইনিংসে রাজশাহীর হাবিবুর ৩৩ বলে ৪৫, প্রিতম ৮৬ বলে ৫৬ ও এস এম মেহরন ৬১ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকে। এর আগে ২য় ইনিংসে চিটাগংয়ের ইয়াসির ৯২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। মাহমুদুল ৫১ রান করেন। রাজশাহীর শফিকুল ৬৬ রানে ৪টি ও পিয়াল ৩৫ রানে ৩টি উইকেট নেন।