টি-২০ সিরিজ
হ্যাজেলউডের অন্যতম শিকার সুরিয়াকুমার
জশ হেজেলউডের দুর্দান্ত এক স্পেলে ভারতের ব্যাটিংয়ের ভিত নাড়িয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টি-২০তে ৪ উইকেটে জয়লাভ করেছে। প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টিতে।
শুক্রবার মেলবোর্নে ভারতের ১২৫ রান ৪০ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা ৬ উইকেট হারিয়ে।
ভারতের হয়ে আভিশেক শর্মা করেন ৬৮ রান। এই ওপেনারের ৩৭ রানের ইনিংস গড়া ৮ চার ও ২ ছক্কায়।
সাত নম্বরে নেমে ৩৩ বলে ৩৫ রান করেন হার্শিত রানা। বাকিদের সম্মিলিত রান ১৯!
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক হেজেলউড। চার ওভারে ১৩ রান দিয়ে শুবমান গিল, সুরিয়াকুমার ও তিলাক ভার্মার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন ৩৪ বছর বয়সী পেসার। ‘ডট’ বল খেলান তিনি ১৫টি। অন্য দুই পেসার জেভিয়ার বার্টলেট ও ন্যাথান এলিস শিকার করেন ২টি করে উইকেট।
রান তাড়ায় ৪ ছক্কা ও ২ চারে ২৬ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে লক্ষ্যটা আরও সহজ করে দেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
উইকেটে যথেষ্ট বাউন্স ও সিম মুভমেন্ট ছিল। টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ে স্বাগতিকরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে চার ব্যাটভাকে হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত। হেজেলউডের করা ম্যাচের প্রথম বলেই গিলকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। ভারতের অধিনায়ক রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান বল স্টাম্প মিস যেতে যেত বলে। প্রথম ওভারে এক রান।
দ্বিতীয় ওভারে বার্টলেটকে আভিশেক চার ও ছক্কা মারলেও, পরের ওভারে গিলকে বিদায় করে দেন হেজেলউড। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে সাঞ্জু স্যামসনকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান এলিস।
হেজেলউডের পরের ওভারে জীবন পেয়ে, পরের বলেই কিপারকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সুরিয়াকুমার। একই ওভারে লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিলক। তখন ৩২ রানে নেই ৪ উইকেট।
এক স্পেলে হেজেলউড নিজের কোটার বোলিং শেষ করে দেন ইনিংসের সাত ওভারের মধ্যে।
অষ্টম ওভারে তৃতীয় রানের চেষ্টায় ভুল বোঝাবুঝিতে আকসার প্যাটেল যখন রান আউট হাড়ালে ভারতের রান তখন ৫ উইকেটে ৪৯।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্তে আভিশেক চালিয়ে যান আগ্রাসী ব্যাটিং। তাকে সঙ্গ দেন হার্শিত। ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। আভিশেকের ফিফটি ২৩ বলে। ষোড়শ ওভারে হার্শিতকে ফিরিয়ে পঞ্চাশোর্ধ জুটি ভাঙেন বার্টলেট। একই ওভারে কিপার জশ ইংলিসের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হন দুবে। কুলদিপ ফেরেন শূন্য রানে। ১৯তম ওভারে আভিশেককে থামান এলিস। পরের বলে বুমরাহর রান আউটে ভারত অলআউট হয় আট বল বাকি থাকতে।
জবাবে ট্রাভিস হেড ও মার্শের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম চার ওভারে আসে বিনা উইকেটে ৪৯ রান। পঞ্চম ওভারে হেডের (১৫ বলে ২৮) ঝড় থামান রহস্য স্পিনার ভারুন চক্রবর্তি। কুলদিপের এক ওভারে দুটি করে চার ও ছক্কা মেরে ফিফটির কাছে গিয়ে, ওই ওভারেই ফেরেন মার্শ। দুই ওপেনারকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ৮৭ রান তুলে ফেলে ৮ ওভারেই।
টিম ডেভিড টিকতে পারেননি। ইংলিস ২০ রান করেন ২০ বলে। অস্ট্রেলিয়ার দরকার যখন ২ রান, বুমরাহর পরপর দুই বলে আউউ হয়ে যান মিচেল ওয়েন ও ম্যাথু শর্ট। পরের ওভারেই ম্যাচের সমাপ্তি।
আগামী রোববার হোবার্টে দ্বিতীয় ম্যাচ।
এক মিনিট নীরবতা
নেট অনুশীলনের সময় ঘাড়ে বলের আঘাতের পর গত বৃহস্পতিবার মারা যাওয়া ১৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার বেন অস্টিনের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ম্যাচের শুরুতে। দু’দলের খেলোয়াড়ই কালো ব্যান্ড পড়ে। বড় স্ক্রিনে অস্টিনের ছবি দেখা যায়
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ১৮.৪ ওভারে ১২৫ (গিল ৫, আভিশেক ৬৮, স্যামসন ২, সুরিয়াকুমার ১, তিলাক ০, আকসার ৭, হার্শিত ৩৫, দুবে ৪, কুলদিপ ০, ভারুন ০*, বুমরাহ ০; হেইজেলউড ৪-০-১৩-৩, বার্টলেট ২/৩৯, এলিস ২/২১, স্টয়নিস ১/২৪)।
অস্ট্রেলিয়া: ১৩.২ ওভারে ১২৬/৬ (মার্শ ৪৬, হেড ২৮, ইংলিস ২০, ডেভিড ১, ওয়েন ১৪, স্টয়নিস ৬*; বুমরাহ ২/২৬, বরুন ২/২৩, কুলদিপ ২/৪৫)। ম্যাচসেরা: জশ হেজেলউড।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
টি-২০ সিরিজ
হ্যাজেলউডের অন্যতম শিকার সুরিয়াকুমার
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
জশ হেজেলউডের দুর্দান্ত এক স্পেলে ভারতের ব্যাটিংয়ের ভিত নাড়িয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টি-২০তে ৪ উইকেটে জয়লাভ করেছে। প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টিতে।
শুক্রবার মেলবোর্নে ভারতের ১২৫ রান ৪০ বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা ৬ উইকেট হারিয়ে।
ভারতের হয়ে আভিশেক শর্মা করেন ৬৮ রান। এই ওপেনারের ৩৭ রানের ইনিংস গড়া ৮ চার ও ২ ছক্কায়।
সাত নম্বরে নেমে ৩৩ বলে ৩৫ রান করেন হার্শিত রানা। বাকিদের সম্মিলিত রান ১৯!
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক হেজেলউড। চার ওভারে ১৩ রান দিয়ে শুবমান গিল, সুরিয়াকুমার ও তিলাক ভার্মার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন ৩৪ বছর বয়সী পেসার। ‘ডট’ বল খেলান তিনি ১৫টি। অন্য দুই পেসার জেভিয়ার বার্টলেট ও ন্যাথান এলিস শিকার করেন ২টি করে উইকেট।
রান তাড়ায় ৪ ছক্কা ও ২ চারে ২৬ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে লক্ষ্যটা আরও সহজ করে দেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
উইকেটে যথেষ্ট বাউন্স ও সিম মুভমেন্ট ছিল। টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ে স্বাগতিকরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে চার ব্যাটভাকে হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত। হেজেলউডের করা ম্যাচের প্রথম বলেই গিলকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। ভারতের অধিনায়ক রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান বল স্টাম্প মিস যেতে যেত বলে। প্রথম ওভারে এক রান।
দ্বিতীয় ওভারে বার্টলেটকে আভিশেক চার ও ছক্কা মারলেও, পরের ওভারে গিলকে বিদায় করে দেন হেজেলউড। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে সাঞ্জু স্যামসনকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান এলিস।
হেজেলউডের পরের ওভারে জীবন পেয়ে, পরের বলেই কিপারকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সুরিয়াকুমার। একই ওভারে লেগ সাইডে খেলার চেষ্টায় সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিলক। তখন ৩২ রানে নেই ৪ উইকেট।
এক স্পেলে হেজেলউড নিজের কোটার বোলিং শেষ করে দেন ইনিংসের সাত ওভারের মধ্যে।
অষ্টম ওভারে তৃতীয় রানের চেষ্টায় ভুল বোঝাবুঝিতে আকসার প্যাটেল যখন রান আউট হাড়ালে ভারতের রান তখন ৫ উইকেটে ৪৯।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্তে আভিশেক চালিয়ে যান আগ্রাসী ব্যাটিং। তাকে সঙ্গ দেন হার্শিত। ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। আভিশেকের ফিফটি ২৩ বলে। ষোড়শ ওভারে হার্শিতকে ফিরিয়ে পঞ্চাশোর্ধ জুটি ভাঙেন বার্টলেট। একই ওভারে কিপার জশ ইংলিসের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হন দুবে। কুলদিপ ফেরেন শূন্য রানে। ১৯তম ওভারে আভিশেককে থামান এলিস। পরের বলে বুমরাহর রান আউটে ভারত অলআউট হয় আট বল বাকি থাকতে।
জবাবে ট্রাভিস হেড ও মার্শের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম চার ওভারে আসে বিনা উইকেটে ৪৯ রান। পঞ্চম ওভারে হেডের (১৫ বলে ২৮) ঝড় থামান রহস্য স্পিনার ভারুন চক্রবর্তি। কুলদিপের এক ওভারে দুটি করে চার ও ছক্কা মেরে ফিফটির কাছে গিয়ে, ওই ওভারেই ফেরেন মার্শ। দুই ওপেনারকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ৮৭ রান তুলে ফেলে ৮ ওভারেই।
টিম ডেভিড টিকতে পারেননি। ইংলিস ২০ রান করেন ২০ বলে। অস্ট্রেলিয়ার দরকার যখন ২ রান, বুমরাহর পরপর দুই বলে আউউ হয়ে যান মিচেল ওয়েন ও ম্যাথু শর্ট। পরের ওভারেই ম্যাচের সমাপ্তি।
আগামী রোববার হোবার্টে দ্বিতীয় ম্যাচ।
এক মিনিট নীরবতা
নেট অনুশীলনের সময় ঘাড়ে বলের আঘাতের পর গত বৃহস্পতিবার মারা যাওয়া ১৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার বেন অস্টিনের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ম্যাচের শুরুতে। দু’দলের খেলোয়াড়ই কালো ব্যান্ড পড়ে। বড় স্ক্রিনে অস্টিনের ছবি দেখা যায়
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ১৮.৪ ওভারে ১২৫ (গিল ৫, আভিশেক ৬৮, স্যামসন ২, সুরিয়াকুমার ১, তিলাক ০, আকসার ৭, হার্শিত ৩৫, দুবে ৪, কুলদিপ ০, ভারুন ০*, বুমরাহ ০; হেইজেলউড ৪-০-১৩-৩, বার্টলেট ২/৩৯, এলিস ২/২১, স্টয়নিস ১/২৪)।
অস্ট্রেলিয়া: ১৩.২ ওভারে ১২৬/৬ (মার্শ ৪৬, হেড ২৮, ইংলিস ২০, ডেভিড ১, ওয়েন ১৪, স্টয়নিস ৬*; বুমরাহ ২/২৬, বরুন ২/২৩, কুলদিপ ২/৪৫)। ম্যাচসেরা: জশ হেজেলউড।