নাজমুল হোসেন শান্ত
টেস্ট আঙ্গিনায় নবাগত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজে সহজ জয়ের পর টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, আইরিশদের চ্যালেঞ্জ তিনি উপভোগ করেছেন।
‘এটাই তো টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য, আমার মনে হয় ছোট দল বড় দল বলে আসলে কিছু নাই। ওরা খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছে, এটা মানতেই হবে। পঞ্চম দিনে গড়া ম্যাচটায় উইকেটে ওরা যে চ্যালেঞ্জটা আমাদের দিয়েছে, অবশ্যই ওদেরকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’ ‘পাশাপাশি আমি বলব যে, আমাদের বোলাররা যেভাবে বল করেছে, ওই ধৈর্য নিয়ে, এটাও আসলে কৃতিত্ব দেয়ার মতো। বিশেষ করে তাইজুল, মিরাজ, মুরাদ, খালেদ এবং ইবাদত, সবাই যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে বোলিং করেছে, এটা আসলে কৃতিত্ব দেয়ার মতো।’
আইরিশদের কাজ কিছুটা হলেও সহজ হয়েছে উইকেটের কারণে। বেশির ভাগ সময়ই পঞ্চম দিনে শেরেবাংলার উইকেট হয়ে ওঠে স্পিনারদের স্বর্গ আর ব্যাটারদের দুঃস্বপ্ন। এবার শেষ দিনেও ততটা ভয়াবহ হয়নি উইকেট। পাশাপাশি কৃতিত্ব দিলেন ক্যাম্ফারকে।
‘প্রথমত মিরপুরের উইকেট যেরকম দেখা যায়, এর থেকে এবার অনেক ভালো আচরণ করেছে। বিশেষ করে বাউন্স যদি দেখেন, একদমই ‘ট্রু’ বাউন্স ছিল, এমনকি রোববারও। প্রতিটি উইকেট নিতে কষ্ট হয়েছে। শেখার তো শেষ নেই। আমার মনে হয় যেভাবে ক্যাম্ফার ব্যাটিং করেছে, এতগুলো বল খেলেছে, এই জিনিসগুলো আসলে বোঝা যায় যে আসলে কতটুকু নিবেদিত, কতটুকু প্রতিজ্ঞা নিয়ে ব্যাটিং করেছে তারা।’
‘আমরাও করেছি। আমরা অতীতেও করেছি, এই সিরিজেও বেশ কিছু ইনিংস ছিল, যেখানে আমরা ওই চ্যালেঞ্জটা ভালোভাবে গ্রহণ করেছি। এরকম পরিস্থিতি আবার এলে আমাদেরও সেই মানসিকতা দেখাতে হবে দলের জন্য লম্বা সময় ব্যাট করা, পরিস্থিতি বুঝে স্থির থাকা। অতীতে যেভাবে পেরেছি, ভবিষ্যতেও যেন সেটা ধরে রাখতে পারি এই প্রত্যাশাই থাকবে।’
দ্বিতীয় টেস্ট পঞ্চম দিনে গড়ানোয় ভালো লাগছে বাংলাদেশ অধিনায়কের। ‘অবশ্যই ভালো লাগছে (পাঁচ দিনে গড়ানোয়)। সত্যি বলতে আমরাও আশা করিনি। তবে পাঁচ দিনে গিয়েছে, কষ্ট করে এই ইনিংসে ১০ উইকেট নিতে হয়েছে, এটাই আসলে টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য এবং আমরা সবাই খুব উপভোগ করেছি এই টেস্ট ম্যাচটি।’
দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনের মিরাজের ফর্ম নিয়ে প্রশের জবাবে শান্ত বলেন, ‘মিরাজ ফর্মেই আছে। আমার দলের সেরা ক্রিকেটার সে, সত্যি কথা।’
আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ ছাড়া এ বছর আর একটি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই সিরিজে একটি সেঞ্চুরি করে ও দুই টেস্টে ১৫ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছিলেন মিরাজ। এই টেস্ট শুরুর ঠিক আগে টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে মিরাজকে।
শান্ত বলেন, মুশফিকের অর্জন গোটা দলকে উজ্জীবিত করছে ১০০ টেস্টের সীমানা ছুঁতে।
‘এটা খুবই ভালো হয়েছে। আমরা সত্যি বলতে আগে কখনও এই বিষয়টা নিয়ে আলাপই করিনি বা ভাবিওনি যে, আমরা ১০০ টেস্ট খেলতে পারি। যে মুহূর্তে মুশফিক ভাই এটা অর্জন করে ফেলছেন, তারপর থেকে কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, সবাই আমরা এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলছি যে, ‘আমিও খেলতে চাই।’ কেউ হয়তো ১০ টেস্ট খেলেছে, সেও বলছে যে, আমিও ১০০ টেস্ট খেলতে চাই। এটা একটা ইতিবাচক দিক।’
‘মুশি ভাইয়ের সেলিব্রেশন তো ভেতরে-বাইরে একই রকম সবার সামনে এখন ওপেন। আমরা উপভোগ করেছি, সবাই পুরো ম্যাচ উপভোগ করেছে, মুশি ভাই অনেক উপভোগ করেছেন। ভালো সময়। আমি শুনছিলাম ড্রেসিংরুমে একজন পেস বোলার বলছিল যে, ‘আমিও ১০০ টেস্ট খেলতে চাই।’ আমাদের মতো দেশে একটা পেস বোলারের পক্ষে ১০০ টেস্ট খেলা আসলে মুখ দিয়ে বলাটাও অনেক সাহসের ব্যাপার। অন্তত বলেছে তো!’
‘আমার মনে হয় ৩৯-৪০ টেস্ট হয়েছে, মিরাজের মনে হয় ৫০টার বেশি (৫৬টি)। অনেক দূর যাওয়া বাকি। এত লম্বা চিন্তা না করে একটা একটা টেস্ট যদি আমরা খেলতে পারি, পারফর্ম করতে পারি, যদি কপালে থাকে, আশা করি একদিন অর্জন করতে পারবো।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নাজমুল হোসেন শান্ত
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
টেস্ট আঙ্গিনায় নবাগত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজে সহজ জয়ের পর টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, আইরিশদের চ্যালেঞ্জ তিনি উপভোগ করেছেন।
‘এটাই তো টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য, আমার মনে হয় ছোট দল বড় দল বলে আসলে কিছু নাই। ওরা খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছে, এটা মানতেই হবে। পঞ্চম দিনে গড়া ম্যাচটায় উইকেটে ওরা যে চ্যালেঞ্জটা আমাদের দিয়েছে, অবশ্যই ওদেরকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’ ‘পাশাপাশি আমি বলব যে, আমাদের বোলাররা যেভাবে বল করেছে, ওই ধৈর্য নিয়ে, এটাও আসলে কৃতিত্ব দেয়ার মতো। বিশেষ করে তাইজুল, মিরাজ, মুরাদ, খালেদ এবং ইবাদত, সবাই যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে বোলিং করেছে, এটা আসলে কৃতিত্ব দেয়ার মতো।’
আইরিশদের কাজ কিছুটা হলেও সহজ হয়েছে উইকেটের কারণে। বেশির ভাগ সময়ই পঞ্চম দিনে শেরেবাংলার উইকেট হয়ে ওঠে স্পিনারদের স্বর্গ আর ব্যাটারদের দুঃস্বপ্ন। এবার শেষ দিনেও ততটা ভয়াবহ হয়নি উইকেট। পাশাপাশি কৃতিত্ব দিলেন ক্যাম্ফারকে।
‘প্রথমত মিরপুরের উইকেট যেরকম দেখা যায়, এর থেকে এবার অনেক ভালো আচরণ করেছে। বিশেষ করে বাউন্স যদি দেখেন, একদমই ‘ট্রু’ বাউন্স ছিল, এমনকি রোববারও। প্রতিটি উইকেট নিতে কষ্ট হয়েছে। শেখার তো শেষ নেই। আমার মনে হয় যেভাবে ক্যাম্ফার ব্যাটিং করেছে, এতগুলো বল খেলেছে, এই জিনিসগুলো আসলে বোঝা যায় যে আসলে কতটুকু নিবেদিত, কতটুকু প্রতিজ্ঞা নিয়ে ব্যাটিং করেছে তারা।’
‘আমরাও করেছি। আমরা অতীতেও করেছি, এই সিরিজেও বেশ কিছু ইনিংস ছিল, যেখানে আমরা ওই চ্যালেঞ্জটা ভালোভাবে গ্রহণ করেছি। এরকম পরিস্থিতি আবার এলে আমাদেরও সেই মানসিকতা দেখাতে হবে দলের জন্য লম্বা সময় ব্যাট করা, পরিস্থিতি বুঝে স্থির থাকা। অতীতে যেভাবে পেরেছি, ভবিষ্যতেও যেন সেটা ধরে রাখতে পারি এই প্রত্যাশাই থাকবে।’
দ্বিতীয় টেস্ট পঞ্চম দিনে গড়ানোয় ভালো লাগছে বাংলাদেশ অধিনায়কের। ‘অবশ্যই ভালো লাগছে (পাঁচ দিনে গড়ানোয়)। সত্যি বলতে আমরাও আশা করিনি। তবে পাঁচ দিনে গিয়েছে, কষ্ট করে এই ইনিংসে ১০ উইকেট নিতে হয়েছে, এটাই আসলে টেস্ট ক্রিকেটের সৌন্দর্য এবং আমরা সবাই খুব উপভোগ করেছি এই টেস্ট ম্যাচটি।’
দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনের মিরাজের ফর্ম নিয়ে প্রশের জবাবে শান্ত বলেন, ‘মিরাজ ফর্মেই আছে। আমার দলের সেরা ক্রিকেটার সে, সত্যি কথা।’
আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ ছাড়া এ বছর আর একটি সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই সিরিজে একটি সেঞ্চুরি করে ও দুই টেস্টে ১৫ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছিলেন মিরাজ। এই টেস্ট শুরুর ঠিক আগে টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে মিরাজকে।
শান্ত বলেন, মুশফিকের অর্জন গোটা দলকে উজ্জীবিত করছে ১০০ টেস্টের সীমানা ছুঁতে।
‘এটা খুবই ভালো হয়েছে। আমরা সত্যি বলতে আগে কখনও এই বিষয়টা নিয়ে আলাপই করিনি বা ভাবিওনি যে, আমরা ১০০ টেস্ট খেলতে পারি। যে মুহূর্তে মুশফিক ভাই এটা অর্জন করে ফেলছেন, তারপর থেকে কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, সবাই আমরা এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলছি যে, ‘আমিও খেলতে চাই।’ কেউ হয়তো ১০ টেস্ট খেলেছে, সেও বলছে যে, আমিও ১০০ টেস্ট খেলতে চাই। এটা একটা ইতিবাচক দিক।’
‘মুশি ভাইয়ের সেলিব্রেশন তো ভেতরে-বাইরে একই রকম সবার সামনে এখন ওপেন। আমরা উপভোগ করেছি, সবাই পুরো ম্যাচ উপভোগ করেছে, মুশি ভাই অনেক উপভোগ করেছেন। ভালো সময়। আমি শুনছিলাম ড্রেসিংরুমে একজন পেস বোলার বলছিল যে, ‘আমিও ১০০ টেস্ট খেলতে চাই।’ আমাদের মতো দেশে একটা পেস বোলারের পক্ষে ১০০ টেস্ট খেলা আসলে মুখ দিয়ে বলাটাও অনেক সাহসের ব্যাপার। অন্তত বলেছে তো!’
‘আমার মনে হয় ৩৯-৪০ টেস্ট হয়েছে, মিরাজের মনে হয় ৫০টার বেশি (৫৬টি)। অনেক দূর যাওয়া বাকি। এত লম্বা চিন্তা না করে একটা একটা টেস্ট যদি আমরা খেলতে পারি, পারফর্ম করতে পারি, যদি কপালে থাকে, আশা করি একদিন অর্জন করতে পারবো।’