সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে টাইগাররা
মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে ২১৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ তে জিতলো বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট ইনিংস ও ৪৭ রানে জিতেছিল টাইগাররা।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ টেস্টের চতুর্থ দিন আয়ারল্যান্ডকে জয়ের জন্য ৫০৯ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় নাজমুল হোসেনের দল। জবাবে চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে সফরকারীরা। ফলে জয়ের জন্য শেষ দিন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৪ উইকেট এবং আয়ারল্যান্ডের আরও ৩৩৩ রান।
রোববার,(২৩ নভেম্বর ২০২৫) পঞ্চম দিনে ১১৫ রান চার উইকেট তুলে নিয়ে টাইগাররা সহজ জয় পায়। প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রান করা আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২৯১ রানে, ১১৩.৩ ওভারে।
শেরবাংলায় চতুর্থ ইনিংসে কোনো সফরকারী দল আগে কখনও ১০০ ওভার খেলেনি। কোনো সফরকারী দল চতুর্থ ইনিংসে আগে কখনো ২৫০ রান করতে পারেনি।
এ মাঠে চতুর্থ ইনিংসে সফরকারী দলের সর্বোচ্চ ইনিংস আগে ছিল ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার ২৪৪। সবচেয়ে বেশি ওভার ছিল ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের ৮৩.১ ওভার।
সাকিব আল হাসানকে টপকে আগের দিনই দেশের সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড গড়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। শেষ দিনে তিনি বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে স্পর্শ করেন ২৫০ উইকেট। ৫৭ টেস্টে এই মাইলফলকে পা রেখে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে দ্রুততম হিসেবে তিনি ছুঁয়ে ফেলেন শ্রীলঙ্কার রাঙ্গানা হেরাথের বিশ্ব রেকর্ড। দুই ইনিংসেই তাইজুলের প্রাপ্তি চারটি করে উইকেট। দুই টেস্টে প্রাপ্তি ১৩ উইকেট।
ঢাকা টেস্টে দেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামেন মুশফিকুর রহিম। শততম টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে- ১০৬ ও অপরাজিত ৫৩ রান করে ম্যাচসেরা হন মুশফিক।
দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিন ১৭৬/৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ডের সপ্তম উইকেট শিকার করেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ১৪তম ওভারে । প্রথম ইনংসে শূন্য রানে ফেরা ম্যাকব্রিনকে এদিন ২১ রানে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন তিনি। এই শিকারের মাধ্যমে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তাইজুল। এরপর অষ্টম উইকেটে ৪৮ রান যোগ করে দলের ২শ’ পার করেন কার্টিস ক্যাম্ফার ও জর্ডান নিল। ৩০ রান করা নিলকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। দলীয় ২৩৭ রানে নিল ফেরার পর প্রতিরোধ গড়ে ৬৯ বলে ২৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন ক্যাম্ফার ও গ্যাভিন হোয়ে। বিরতির পর আরও ২০ ওভার ব্যাট করেন তারা। অবশেষে ইনিংসের ১১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হোয়েকে লেগ বিফোর করে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্পিনার হাসান মুরাদ। পরের ডেলিভারিতে ম্যাথু হামফ্রিজকে শূন্যতে বোল্ড করে আয়ারল্যান্ডকে ২৯১ রানে গুটিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন মুরাদ। হোয়ে ১০৪ বল খেলে ৩৭ রানে আউট হলেও, ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৫৯ বলে ৭১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ক্যাম্ফার।
তাইজুল ইসলাম ১০৪ রানে এবং হাসান মুরাদ ৪৪ রানে ৪টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট শিকার করেন খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
শততম টেস্টে দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচসেরা হন মুশফিক। দুই টেস্টে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হন টাইগার স্পিনার তাইজুল।
আগামী ২৭, ২৯ নভেম্বর এবং ২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৪৭৬ (মুশফিক ১০৬, লিটন ১২৮; ম্যাকব্রাইন ৬/১০৯) ও ২৯৭/৪ ডি. (মোমিনুল ৮৭, সাদমান ৭৮, মাহমুদুল ৬০, মুশফিক ৫৩*, হোয়ে ২/৮৪)। আয়ারল্যান্ড ২৬৫ (টাকার ৭৫*তাইজুল ৪/৭৬) ও ২৯১ (ক্যাম্ফার ৭১*, টেক্টর ৫০, হোয়ে ৩৭, মুরাদ ৪/৪৪, তাইজুল ৪/১০৪)। ম্যাচসেরা: মুশফিকুর রহিম। সিরিজসেরা: তাইজুল ইসলাম।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে টাইগাররা
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে ২১৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ তে জিতলো বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট ইনিংস ও ৪৭ রানে জিতেছিল টাইগাররা।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ টেস্টের চতুর্থ দিন আয়ারল্যান্ডকে জয়ের জন্য ৫০৯ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় নাজমুল হোসেনের দল। জবাবে চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে সফরকারীরা। ফলে জয়ের জন্য শেষ দিন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৪ উইকেট এবং আয়ারল্যান্ডের আরও ৩৩৩ রান।
রোববার,(২৩ নভেম্বর ২০২৫) পঞ্চম দিনে ১১৫ রান চার উইকেট তুলে নিয়ে টাইগাররা সহজ জয় পায়। প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রান করা আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২৯১ রানে, ১১৩.৩ ওভারে।
শেরবাংলায় চতুর্থ ইনিংসে কোনো সফরকারী দল আগে কখনও ১০০ ওভার খেলেনি। কোনো সফরকারী দল চতুর্থ ইনিংসে আগে কখনো ২৫০ রান করতে পারেনি।
এ মাঠে চতুর্থ ইনিংসে সফরকারী দলের সর্বোচ্চ ইনিংস আগে ছিল ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার ২৪৪। সবচেয়ে বেশি ওভার ছিল ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের ৮৩.১ ওভার।
সাকিব আল হাসানকে টপকে আগের দিনই দেশের সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড গড়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। শেষ দিনে তিনি বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে স্পর্শ করেন ২৫০ উইকেট। ৫৭ টেস্টে এই মাইলফলকে পা রেখে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে দ্রুততম হিসেবে তিনি ছুঁয়ে ফেলেন শ্রীলঙ্কার রাঙ্গানা হেরাথের বিশ্ব রেকর্ড। দুই ইনিংসেই তাইজুলের প্রাপ্তি চারটি করে উইকেট। দুই টেস্টে প্রাপ্তি ১৩ উইকেট।
ঢাকা টেস্টে দেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে নামেন মুশফিকুর রহিম। শততম টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে- ১০৬ ও অপরাজিত ৫৩ রান করে ম্যাচসেরা হন মুশফিক।
দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিন ১৭৬/৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ডের সপ্তম উইকেট শিকার করেন বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ১৪তম ওভারে । প্রথম ইনংসে শূন্য রানে ফেরা ম্যাকব্রিনকে এদিন ২১ রানে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলেন তিনি। এই শিকারের মাধ্যমে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তাইজুল। এরপর অষ্টম উইকেটে ৪৮ রান যোগ করে দলের ২শ’ পার করেন কার্টিস ক্যাম্ফার ও জর্ডান নিল। ৩০ রান করা নিলকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। দলীয় ২৩৭ রানে নিল ফেরার পর প্রতিরোধ গড়ে ৬৯ বলে ২৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন ক্যাম্ফার ও গ্যাভিন হোয়ে। বিরতির পর আরও ২০ ওভার ব্যাট করেন তারা। অবশেষে ইনিংসের ১১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হোয়েকে লেগ বিফোর করে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্পিনার হাসান মুরাদ। পরের ডেলিভারিতে ম্যাথু হামফ্রিজকে শূন্যতে বোল্ড করে আয়ারল্যান্ডকে ২৯১ রানে গুটিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন মুরাদ। হোয়ে ১০৪ বল খেলে ৩৭ রানে আউট হলেও, ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৫৯ বলে ৭১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ক্যাম্ফার।
তাইজুল ইসলাম ১০৪ রানে এবং হাসান মুরাদ ৪৪ রানে ৪টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট শিকার করেন খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
শততম টেস্টে দারুণ ব্যাটিংয়ে ম্যাচসেরা হন মুশফিক। দুই টেস্টে ১৩ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হন টাইগার স্পিনার তাইজুল।
আগামী ২৭, ২৯ নভেম্বর এবং ২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৪৭৬ (মুশফিক ১০৬, লিটন ১২৮; ম্যাকব্রাইন ৬/১০৯) ও ২৯৭/৪ ডি. (মোমিনুল ৮৭, সাদমান ৭৮, মাহমুদুল ৬০, মুশফিক ৫৩*, হোয়ে ২/৮৪)। আয়ারল্যান্ড ২৬৫ (টাকার ৭৫*তাইজুল ৪/৭৬) ও ২৯১ (ক্যাম্ফার ৭১*, টেক্টর ৫০, হোয়ে ৩৭, মুরাদ ৪/৪৪, তাইজুল ৪/১০৪)। ম্যাচসেরা: মুশফিকুর রহিম। সিরিজসেরা: তাইজুল ইসলাম।