৩০ নভেম্বর নিলাম, আসর শুরু ১৯ ডিসেম্বর
বিপিএলের ফাইল ছবি
৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএলের ১২তম আসর। বুধবার,(২৬ নভেম্বর ২০২৫) শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে দিনক্ষণ নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু। এর আগে ৫টি ফ্র্যাঞ্চাইজির কথা জানিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু নতুন পরিকল্পনার পর মিঠু জানিয়েছেন, স্থানীয় ক্রিকেটারদের সুযোগ বাড়াতে ফ্র্যাঞ্চাইজির সংখ্যা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ছয় করা হয়েছে। পাশাপাশি সূচি তৈরির ক্ষেত্রেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ পাঁচ দল নিয়ে প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ আয়োজন কঠিন হয়ে উঠছিল।
নোয়াখালী এক্সপ্রেস নতুন দল হিসেবে যোগ দিচ্ছে এবারের আসরে। অন্যান্য দল হলো- ঢাকা ক্যাপিটালস, চট্টগ্রাম রয়্যালস, রাজশাহী ওয়ারিয়র্স, রংপুর রাইডার্স এবং সিলেট টাইটানস।
বসুন্ধরা গ্রুপের টগি স্পোর্টস মালিকানা পেয়েছে রংপুর রাইডার্সের। চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা দেওয়া হয়েছে ট্রায়াঙ্গাল সার্ভিসকে। এ ছাড়া নাবিল গ্রুপ রাজশাহী, ক্রিকেট উইথ সামি সিলেট ও চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস (রিমার্ক-হারল্যান) ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং দেশ ট্রাভেলসের মালিকানায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস ।
মিঠু বলেন, ‘নতুন একটি পরিকল্পনা হচ্ছে, সিলেট থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করার চেষ্টা করছি। ফাইনালের সম্ভাব্য তারিখ ১৬ জানুয়ারি। আর ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় ছোট্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনাও আছে।’
১২ বছর পর আবারও বিপিএলে খেলোয়াড়দের নিলাম পদ্ধতি ফিরছে। আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নিলাম। ২০১২ ও ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম দুই আসরে খেলোয়াড়দের নিলামের মাধ্যমে নেয়া হয়েছিল। এরপর টানা নয় আসরে ব্যবহার করা হয় ড্রাফট পদ্ধতি।
বিপিএল নিলামে পাঁচটি
ক্যাটাগরিতে ২৫০ বিদেশি
নিলামের আগে সরাসরি চুক্তিতে সর্বোচ্চ দুই জন বাংলাদেশি এবং দুই জন বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে অন্তত একজন করে দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি বাধ্যতামূলক।
নিলাম থেকে অন্তত দুজন বিদেশি ক্রিকেটার কিনতে হবে দলগুলোকে। সবমিলিয়ে বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে নিলাম শেষে পছন্দমতো বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে দলগুলো।
বিপিএল নিলামে মোট ২৫০ জন বিদেশিকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ডলার। এছাড়া ‘বি’ ২৬ হাজার ডলার, ‘সি’ ২০ হাজার ডলার, ‘ডি’ ১৫ হাজার ডলার এবং ‘ই’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ১৫ হাজার ডলার। ক্যাটাগরি অনুসারে যথাক্রমে প্রতি ডাকে বাড়বে ৫ হাজার ডলার, ৩ হাজার ডলার, ২ হাজার ডলার, ১ হাজার ৫০০ ডলার এবং ১ হাজার ডলার।
বিপিএল নিলামে নাম লেখানো দেশি ক্রিকেটারের মোট সংখ্যা প্রকাশ করেনি বিসিবি।
স্থানীয় ক্রিকেটারদের ‘এ’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ‘বি’ ৩৫ লাখ টাকা, ‘সি’ ২২ লাখ টাকা, ‘ডি’ ১৮ লাখ টাকা, ‘ই’ ১৪ লাখ টাকা এবং এফ ক্যাটাগরির স্থানীয় ক্রিকেটারদের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১১ হাজার টাকা।
‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রতি ডাকে ৫ লাখ টাকা করে বাড়বে। এ ছাড়া ‘বি’ ৩ লাখ টাকা, ‘সি’ ১ লাখ টাকা, ‘ডি’ ৫০ হাজার টাকা, ‘ই’ ৩০ হাজার টাকা এবং এফ ক্যাটাগরিতে বাড়বে ২০ হাজার টাকা করে।
‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে অন্তত একজন ক্রিকেটার নিতে হবে। পরবর্তীতে যথাক্রমে ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরি থেকে অন্তত তিনজন করে ক্রিকেটার নিতে হবে। ‘ই’ ক্যাটাগরি থেকে অন্তত ২ জন এবং ‘এফ’ ক্যাটাগরি থেকে ইচ্ছে মতো নিতে পারবে দলগুলো। স্থানীয় ক্রিকেটারের জন্য সাড়ে ৪ কোটি টাকা বাজেট পাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। তবে সেই টাকার বাইরে থাকবেন সরাসরি চুক্তিতে দল পাওয়া দুজন দেশি ক্রিকেটার। ম্যানেজার, কোচ, বিশ্লেষকসহ ১২ জন দলীয় কর্মকর্তাকে নিবন্ধন করাতে পারবে দলগুলো।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
৩০ নভেম্বর নিলাম, আসর শুরু ১৯ ডিসেম্বর
বিপিএলের ফাইল ছবি
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএলের ১২তম আসর। বুধবার,(২৬ নভেম্বর ২০২৫) শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে দিনক্ষণ নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু। এর আগে ৫টি ফ্র্যাঞ্চাইজির কথা জানিয়েছিল বিসিবি। কিন্তু নতুন পরিকল্পনার পর মিঠু জানিয়েছেন, স্থানীয় ক্রিকেটারদের সুযোগ বাড়াতে ফ্র্যাঞ্চাইজির সংখ্যা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ছয় করা হয়েছে। পাশাপাশি সূচি তৈরির ক্ষেত্রেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ পাঁচ দল নিয়ে প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ আয়োজন কঠিন হয়ে উঠছিল।
নোয়াখালী এক্সপ্রেস নতুন দল হিসেবে যোগ দিচ্ছে এবারের আসরে। অন্যান্য দল হলো- ঢাকা ক্যাপিটালস, চট্টগ্রাম রয়্যালস, রাজশাহী ওয়ারিয়র্স, রংপুর রাইডার্স এবং সিলেট টাইটানস।
বসুন্ধরা গ্রুপের টগি স্পোর্টস মালিকানা পেয়েছে রংপুর রাইডার্সের। চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা দেওয়া হয়েছে ট্রায়াঙ্গাল সার্ভিসকে। এ ছাড়া নাবিল গ্রুপ রাজশাহী, ক্রিকেট উইথ সামি সিলেট ও চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস (রিমার্ক-হারল্যান) ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং দেশ ট্রাভেলসের মালিকানায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস ।
মিঠু বলেন, ‘নতুন একটি পরিকল্পনা হচ্ছে, সিলেট থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করার চেষ্টা করছি। ফাইনালের সম্ভাব্য তারিখ ১৬ জানুয়ারি। আর ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় ছোট্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনাও আছে।’
১২ বছর পর আবারও বিপিএলে খেলোয়াড়দের নিলাম পদ্ধতি ফিরছে। আগামী ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নিলাম। ২০১২ ও ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম দুই আসরে খেলোয়াড়দের নিলামের মাধ্যমে নেয়া হয়েছিল। এরপর টানা নয় আসরে ব্যবহার করা হয় ড্রাফট পদ্ধতি।
বিপিএল নিলামে পাঁচটি
ক্যাটাগরিতে ২৫০ বিদেশি
নিলামের আগে সরাসরি চুক্তিতে সর্বোচ্চ দুই জন বাংলাদেশি এবং দুই জন বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে অন্তত একজন করে দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি বাধ্যতামূলক।
নিলাম থেকে অন্তত দুজন বিদেশি ক্রিকেটার কিনতে হবে দলগুলোকে। সবমিলিয়ে বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে নিলাম শেষে পছন্দমতো বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে দলগুলো।
বিপিএল নিলামে মোট ২৫০ জন বিদেশিকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ডলার। এছাড়া ‘বি’ ২৬ হাজার ডলার, ‘সি’ ২০ হাজার ডলার, ‘ডি’ ১৫ হাজার ডলার এবং ‘ই’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ১৫ হাজার ডলার। ক্যাটাগরি অনুসারে যথাক্রমে প্রতি ডাকে বাড়বে ৫ হাজার ডলার, ৩ হাজার ডলার, ২ হাজার ডলার, ১ হাজার ৫০০ ডলার এবং ১ হাজার ডলার।
বিপিএল নিলামে নাম লেখানো দেশি ক্রিকেটারের মোট সংখ্যা প্রকাশ করেনি বিসিবি।
স্থানীয় ক্রিকেটারদের ‘এ’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ‘বি’ ৩৫ লাখ টাকা, ‘সি’ ২২ লাখ টাকা, ‘ডি’ ১৮ লাখ টাকা, ‘ই’ ১৪ লাখ টাকা এবং এফ ক্যাটাগরির স্থানীয় ক্রিকেটারদের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১১ হাজার টাকা।
‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রতি ডাকে ৫ লাখ টাকা করে বাড়বে। এ ছাড়া ‘বি’ ৩ লাখ টাকা, ‘সি’ ১ লাখ টাকা, ‘ডি’ ৫০ হাজার টাকা, ‘ই’ ৩০ হাজার টাকা এবং এফ ক্যাটাগরিতে বাড়বে ২০ হাজার টাকা করে।
‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে অন্তত একজন ক্রিকেটার নিতে হবে। পরবর্তীতে যথাক্রমে ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরি থেকে অন্তত তিনজন করে ক্রিকেটার নিতে হবে। ‘ই’ ক্যাটাগরি থেকে অন্তত ২ জন এবং ‘এফ’ ক্যাটাগরি থেকে ইচ্ছে মতো নিতে পারবে দলগুলো। স্থানীয় ক্রিকেটারের জন্য সাড়ে ৪ কোটি টাকা বাজেট পাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। তবে সেই টাকার বাইরে থাকবেন সরাসরি চুক্তিতে দল পাওয়া দুজন দেশি ক্রিকেটার। ম্যানেজার, কোচ, বিশ্লেষকসহ ১২ জন দলীয় কর্মকর্তাকে নিবন্ধন করাতে পারবে দলগুলো।