প্রথম টি-২০ শুরু বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৬টায়
দলের বড় দুর্ভাবনার জায়গা ফিল্ডিং ও ব্যাটিং: লিটন
টি-২০ সিরিজের ট্রফি নিয়ে দুই অধিনায়ক
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শুরু বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপের আগে এটিই বাংলাদেশের শেষ সিরিজ।
অধিনায়ক লিটন দাস সিরিজ শুরুর আগে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ সিরিজেও দলকে চ্যালেঞ্জের মুখে দেখতে চান তিনি। ‘আমি চাই যে আমাদের ক্রিকেটাররা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ুক। গত সিরিজে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ার পর যে জিনিসটা হয়েছে, সিরিজটা আমরা জিততে পারিনি। এবার চেষ্টা করব যেন ওখান থেকে বের হয়ে যেন ম্যাচগুলো জিততে পারি।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক লড়াইয়ে বাংলাদেশ সিরিজ জিতলেও শেষ ম্যাচটি এই চট্টগ্রামেই জিতেছিল আইরিশরা। তবে নানা বাস্তবতা ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় পরিষ্কার ফেবারিট হয়েই মাঠে নামবে লিটনের দল। তারও চাওয়া, দল যেন মাঠের ক্রিকেটেও পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিতে পারে।
‘আমাদের যে দল আছে, আমাদের যে সামর্থ্য আছে, আমরা যদি আমাদের দিনে শতভাগ ক্রিকেট খেলতে পারি, অবশ্যই দাপুটে জয় পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি, আমাদেরকে ক্রিকেটে প্রত্যেক দলকে শ্রদ্ধা করতে হবে। যেদিন যে ভালো ক্রিকেট খেলবে, তাদেরই পক্ষে খেলা যাবে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলার।’
বাংলাদেশের বড় দুর্ভাবনার জায়গা দুটি। ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ পড়ছে নিয়মিতই। ক্যাচিংয়ে মাঝেমধ্যেই আসে খুব বাজে দিন। ব্যাটিংয়ে মিডল অর্ডার ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছে না অনেক দিন ধরেই।
লিটন যদিও দুর্ভাবনার কিছু দেখছেন না, তবে বিশ্বকাপের আগে এই জায়গাগুলোতে উন্নতির তাড়না ফুটে উঠলো তার কণ্ঠে। ‘আমার মনে হয় তিন বিভাগেই আমাদের উন্নতির জায়গা আছে। উন্নতির শেষ নেই। বিশেষ করে যদি আমরা ফিল্ডিংটা ভালো করতে পারি, আমাদের মনে হয় এটা প্লাস পয়েন্ট হবে।’ ‘আমি খুব একটা চিন্তিত নই মিডল অর্ডার নিয়ে। অবশ্যই গত দুই-একটা সিরিজে আমরা আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারিনি মিডল অর্ডারে। বাট তারা সবাই প্রমাণিত। কিছু কিছু সিরিজ দুই-একটা ক্রিকেটারের খারাপ যায়। তারা আবার ঘুরে দাঁড়াবে এবং আমি আশা করি, তারা এ সিরিজেই ঘুরে দাঁড়াবে।’
শামীমকে বাদ দেয়ায় অসন্তোষ
বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার শামীম হোসেনকে বাদ দেয়ায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন অধিনায়ক লিটন দাস। তিনি জানান, শামীমের বাদ পড়া কিংবা তার জায়গায় ডানহাতি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নেয়ার বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি, ‘অবশ্যই সে থাকলে ভালো হতো। কিন্তু এটা আমার সিদ্ধান্ত না, এটা নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত। শামীমকে বাদ দেয়া হয়েছে, এ কথাটাও আমাকে জানানো হয়নি।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘আমি সবসময়ই মনে করি, কোনো খেলোয়াড় আসছে বা যাচ্ছে, তা ক্যাপ্টেনের জানার কথা। তার বাদ পড়ার তেমন কোনো কারণও দেখছি না। স্কোয়াডে যে ১৫ জন আছে, সবাই সক্ষম। তার পরও শামীম থাকলে ভালো লাগতো।’
এখানেই থামেননি লিটন। ইঙ্গিত দেন, স্কোয়াড নির্বাচনে তার প্রভাব কার্যত নেই বললেই চলে, ‘নির্বাচক আর বোর্ড আমাকে পরিষ্কার বলে দিয়েছে, যে দল দেবো, সে দল নিয়েই খেলতে হবে। কে আসবে, কে যাবে, এ জায়গায় এখন আর আমার কোনো ভূমিকা নেই। আমি সবসময় ভাবতাম, ক্যাপ্টেনের স্কোয়াড গঠনে ভূমিকা থাকা উচিত। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমাকে যে দল দেয়া হবে, সেখান থেকেই সেরাটা বের করে আনতে হবে।’
তিনি নির্বাচক প্যানেল, প্রধান কোচ ও অধিনায়কের মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন, ‘এটাকে অপমান বলবো না, কিন্তু কোচ আর ক্যাপ্টেনের জানা উচিত। আমরা কিছুই জানি না। আর একই ঘটনা বিশ্বকাপে হলে তখনও আমাকে তাদের দেয়া দল নিয়েই খেলতে হবে।’
মিডল অর্ডারে ডানহাতি ব্যাটারদের ভিড়ে একজন বাঁহাতিকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তের ক্রিকেটীয় যুক্তিতেও প্রশ্ন তোলেন লিটন, ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। বিষয়টা বিবেচনা করা উচিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডানহাতি-বাঁহাতির সমন্বয় লাগে। এখন যাদের দলে নেয়া হয়েছে তারা সবাই যোগ্য প্রমাণিত বলেই এসেছে। তারা চেষ্টা করবে সেরাটা দেয়ার।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
প্রথম টি-২০ শুরু বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৬টায়
দলের বড় দুর্ভাবনার জায়গা ফিল্ডিং ও ব্যাটিং: লিটন
টি-২০ সিরিজের ট্রফি নিয়ে দুই অধিনায়ক
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শুরু বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপের আগে এটিই বাংলাদেশের শেষ সিরিজ।
অধিনায়ক লিটন দাস সিরিজ শুরুর আগে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ সিরিজেও দলকে চ্যালেঞ্জের মুখে দেখতে চান তিনি। ‘আমি চাই যে আমাদের ক্রিকেটাররা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ুক। গত সিরিজে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ার পর যে জিনিসটা হয়েছে, সিরিজটা আমরা জিততে পারিনি। এবার চেষ্টা করব যেন ওখান থেকে বের হয়ে যেন ম্যাচগুলো জিততে পারি।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক লড়াইয়ে বাংলাদেশ সিরিজ জিতলেও শেষ ম্যাচটি এই চট্টগ্রামেই জিতেছিল আইরিশরা। তবে নানা বাস্তবতা ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় পরিষ্কার ফেবারিট হয়েই মাঠে নামবে লিটনের দল। তারও চাওয়া, দল যেন মাঠের ক্রিকেটেও পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিতে পারে।
‘আমাদের যে দল আছে, আমাদের যে সামর্থ্য আছে, আমরা যদি আমাদের দিনে শতভাগ ক্রিকেট খেলতে পারি, অবশ্যই দাপুটে জয় পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি, আমাদেরকে ক্রিকেটে প্রত্যেক দলকে শ্রদ্ধা করতে হবে। যেদিন যে ভালো ক্রিকেট খেলবে, তাদেরই পক্ষে খেলা যাবে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলার।’
বাংলাদেশের বড় দুর্ভাবনার জায়গা দুটি। ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ পড়ছে নিয়মিতই। ক্যাচিংয়ে মাঝেমধ্যেই আসে খুব বাজে দিন। ব্যাটিংয়ে মিডল অর্ডার ধারাবাহিকতা দেখাতে পারছে না অনেক দিন ধরেই।
লিটন যদিও দুর্ভাবনার কিছু দেখছেন না, তবে বিশ্বকাপের আগে এই জায়গাগুলোতে উন্নতির তাড়না ফুটে উঠলো তার কণ্ঠে। ‘আমার মনে হয় তিন বিভাগেই আমাদের উন্নতির জায়গা আছে। উন্নতির শেষ নেই। বিশেষ করে যদি আমরা ফিল্ডিংটা ভালো করতে পারি, আমাদের মনে হয় এটা প্লাস পয়েন্ট হবে।’ ‘আমি খুব একটা চিন্তিত নই মিডল অর্ডার নিয়ে। অবশ্যই গত দুই-একটা সিরিজে আমরা আশানুরূপ পারফরম্যান্স করতে পারিনি মিডল অর্ডারে। বাট তারা সবাই প্রমাণিত। কিছু কিছু সিরিজ দুই-একটা ক্রিকেটারের খারাপ যায়। তারা আবার ঘুরে দাঁড়াবে এবং আমি আশা করি, তারা এ সিরিজেই ঘুরে দাঁড়াবে।’
শামীমকে বাদ দেয়ায় অসন্তোষ
বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার শামীম হোসেনকে বাদ দেয়ায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন অধিনায়ক লিটন দাস। তিনি জানান, শামীমের বাদ পড়া কিংবা তার জায়গায় ডানহাতি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নেয়ার বিষয়টি তাকে জানানো হয়নি, ‘অবশ্যই সে থাকলে ভালো হতো। কিন্তু এটা আমার সিদ্ধান্ত না, এটা নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত। শামীমকে বাদ দেয়া হয়েছে, এ কথাটাও আমাকে জানানো হয়নি।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘আমি সবসময়ই মনে করি, কোনো খেলোয়াড় আসছে বা যাচ্ছে, তা ক্যাপ্টেনের জানার কথা। তার বাদ পড়ার তেমন কোনো কারণও দেখছি না। স্কোয়াডে যে ১৫ জন আছে, সবাই সক্ষম। তার পরও শামীম থাকলে ভালো লাগতো।’
এখানেই থামেননি লিটন। ইঙ্গিত দেন, স্কোয়াড নির্বাচনে তার প্রভাব কার্যত নেই বললেই চলে, ‘নির্বাচক আর বোর্ড আমাকে পরিষ্কার বলে দিয়েছে, যে দল দেবো, সে দল নিয়েই খেলতে হবে। কে আসবে, কে যাবে, এ জায়গায় এখন আর আমার কোনো ভূমিকা নেই। আমি সবসময় ভাবতাম, ক্যাপ্টেনের স্কোয়াড গঠনে ভূমিকা থাকা উচিত। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, আমাকে যে দল দেয়া হবে, সেখান থেকেই সেরাটা বের করে আনতে হবে।’
তিনি নির্বাচক প্যানেল, প্রধান কোচ ও অধিনায়কের মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন, ‘এটাকে অপমান বলবো না, কিন্তু কোচ আর ক্যাপ্টেনের জানা উচিত। আমরা কিছুই জানি না। আর একই ঘটনা বিশ্বকাপে হলে তখনও আমাকে তাদের দেয়া দল নিয়েই খেলতে হবে।’
মিডল অর্ডারে ডানহাতি ব্যাটারদের ভিড়ে একজন বাঁহাতিকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তের ক্রিকেটীয় যুক্তিতেও প্রশ্ন তোলেন লিটন, ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। বিষয়টা বিবেচনা করা উচিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডানহাতি-বাঁহাতির সমন্বয় লাগে। এখন যাদের দলে নেয়া হয়েছে তারা সবাই যোগ্য প্রমাণিত বলেই এসেছে। তারা চেষ্টা করবে সেরাটা দেয়ার।’