প্রথম ম্যাচে দলের ১৪২ রানে তাওহিদ হৃদয় একাই করেন অপরাজিত ৮৩। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রথমেই তাকে শুনতে হলো, এমন পরাজয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা কতোটা কঠিন? হৃদয় বললেন, তার কঠিন মনে হচ্ছে না। কিন্তু ম্যাচটা তো ছিল বাংলাদেশের জন্য কঠিন, সময়টাও এখন কঠিন।
‘আপনারা অবশ্যই যুক্তি দিয়ে সমালোচনা করবেন। এখান থেকে কিছু ম্যাসেজ আমরাও পেতে পারি, যদি ভালো কিছু হয়।’
জাতীয় দলে হৃদয়ের ভূমিকা ভিন্ন। এজন্যই তার সহজাত ব্যাটিং ব্যাহত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তার উত্তরে মিশে থাকলো একটু অন্যরকম সুর। ‘আমার কাছে তো এরকম মনে হয়নি (ওপরের দিকে ব্যাট করতে হবে)। কারণ ক্রিকেট খেলা তো শুধু আমার একার খেলা নয়। যেহেতু এটা দলীয় খেলা, এই মুহূর্তে ওপরের দিকে খেলার মতো আসলে কোনো জায়গা আমার নেই। আপনারা অনেকে হয়তো ভাবেন, আমি দলে থাকার মতোও নই। আমি যে পজিশনে আছি, ভালো আছি।’
‘ওপরে যারা আছে, ওরা অনেক ভালো টাচে আছে। সবাই খুব ভালো শেইপে আছে। পারফর্মও করছে, যদি আপনারা ভালোভাবে দেখেন। দিনশেষে, এত আফসোসের কিছু নাই। এটা পার্ট অফ লাইফ। চেষ্টা করি যখন যেখানে সুযোগ পাই, যতটুকু অবদান রাখতে পারি দলের জন্য।’
প্রথম ম্যাচে চরমভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে টপ অর্ডার, তবে মিডল অর্ডার দলকে ভোগাচ্ছে অনেকদিন থেকেই। তিনি বলেন, ‘শুধু মিডল অর্ডার নয়, টপ টু বটম সব জায়গায় উন্নতির জায়গা আছে আমাদের। যখন উন্নতিটা হবে, তখন আমরা আশা করি ভালো কিছু করবো।’ ‘উইকেট অবশ্যই অনেক ভালো। ওরা ভালো খেলেছে, আমরা ভালো করতে পারিনি। উইকেটের এখানে কোনো দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা নিজেরাই আমাদের বাস্তবায়ন ভালোভাবে করতে পারিনি। শুরুতে কিছু উইকেট পড়েছে।
আমি আর জাকের যখন ব্যাটিং করছিলাম, ওই সময় যদি আরেকটু খেলাটা যতটুকু নিয়ে যাওয়া যায়... তাহলে আমাদের পরে রিশাদ ও সাকিবের জন্য সহজ হয়ে যেত জিনিসটা। ওদের দুজনেরই সামর্থ্য আছে, দুজনই ভালো ব্যাটিং করে। কিন্তু ওদেরকে যদি আরেকটু দেরিতে আসতে হতো, চার-পাঁচ ওভার আছে, এরকম সময় যদি আসতো, তাহলে তখন খেলাটা অন্যরকম হতো।’
হৃদয়ের আক্ষেপ জাকের আলির সঙ্গে জুটি আরও বড় না হওয়ায়। ‘যদি আমাদের একটা বড় জুটি হতো, তাহলে খেলাটা অন্যরকম হতো।
কারণ খেলাটা দেখেন, শেষ পর্যন্ত আমরা বেশি রানে, মানে বড় ব্যবধানে হারিনি। স্রেফ একটা জুটি যদি হতো, এমনকি আমি আর জাকের যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখনও যদি আমাদের একটা ৭০-৮০ রানের জুটি হতো, তাহলে হয়তো অন্যরকম একটা চিত্র হতে পারতো।’
হৃদয়দের সেই উন্নতি দেখানোর পরের সুযোগ আজ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ মাঠে নামবে সিরিজে সমতা ফেরাতে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
প্রথম ম্যাচে দলের ১৪২ রানে তাওহিদ হৃদয় একাই করেন অপরাজিত ৮৩। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রথমেই তাকে শুনতে হলো, এমন পরাজয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা কতোটা কঠিন? হৃদয় বললেন, তার কঠিন মনে হচ্ছে না। কিন্তু ম্যাচটা তো ছিল বাংলাদেশের জন্য কঠিন, সময়টাও এখন কঠিন।
‘আপনারা অবশ্যই যুক্তি দিয়ে সমালোচনা করবেন। এখান থেকে কিছু ম্যাসেজ আমরাও পেতে পারি, যদি ভালো কিছু হয়।’
জাতীয় দলে হৃদয়ের ভূমিকা ভিন্ন। এজন্যই তার সহজাত ব্যাটিং ব্যাহত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তার উত্তরে মিশে থাকলো একটু অন্যরকম সুর। ‘আমার কাছে তো এরকম মনে হয়নি (ওপরের দিকে ব্যাট করতে হবে)। কারণ ক্রিকেট খেলা তো শুধু আমার একার খেলা নয়। যেহেতু এটা দলীয় খেলা, এই মুহূর্তে ওপরের দিকে খেলার মতো আসলে কোনো জায়গা আমার নেই। আপনারা অনেকে হয়তো ভাবেন, আমি দলে থাকার মতোও নই। আমি যে পজিশনে আছি, ভালো আছি।’
‘ওপরে যারা আছে, ওরা অনেক ভালো টাচে আছে। সবাই খুব ভালো শেইপে আছে। পারফর্মও করছে, যদি আপনারা ভালোভাবে দেখেন। দিনশেষে, এত আফসোসের কিছু নাই। এটা পার্ট অফ লাইফ। চেষ্টা করি যখন যেখানে সুযোগ পাই, যতটুকু অবদান রাখতে পারি দলের জন্য।’
প্রথম ম্যাচে চরমভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে টপ অর্ডার, তবে মিডল অর্ডার দলকে ভোগাচ্ছে অনেকদিন থেকেই। তিনি বলেন, ‘শুধু মিডল অর্ডার নয়, টপ টু বটম সব জায়গায় উন্নতির জায়গা আছে আমাদের। যখন উন্নতিটা হবে, তখন আমরা আশা করি ভালো কিছু করবো।’ ‘উইকেট অবশ্যই অনেক ভালো। ওরা ভালো খেলেছে, আমরা ভালো করতে পারিনি। উইকেটের এখানে কোনো দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা নিজেরাই আমাদের বাস্তবায়ন ভালোভাবে করতে পারিনি। শুরুতে কিছু উইকেট পড়েছে।
আমি আর জাকের যখন ব্যাটিং করছিলাম, ওই সময় যদি আরেকটু খেলাটা যতটুকু নিয়ে যাওয়া যায়... তাহলে আমাদের পরে রিশাদ ও সাকিবের জন্য সহজ হয়ে যেত জিনিসটা। ওদের দুজনেরই সামর্থ্য আছে, দুজনই ভালো ব্যাটিং করে। কিন্তু ওদেরকে যদি আরেকটু দেরিতে আসতে হতো, চার-পাঁচ ওভার আছে, এরকম সময় যদি আসতো, তাহলে তখন খেলাটা অন্যরকম হতো।’
হৃদয়ের আক্ষেপ জাকের আলির সঙ্গে জুটি আরও বড় না হওয়ায়। ‘যদি আমাদের একটা বড় জুটি হতো, তাহলে খেলাটা অন্যরকম হতো।
কারণ খেলাটা দেখেন, শেষ পর্যন্ত আমরা বেশি রানে, মানে বড় ব্যবধানে হারিনি। স্রেফ একটা জুটি যদি হতো, এমনকি আমি আর জাকের যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখনও যদি আমাদের একটা ৭০-৮০ রানের জুটি হতো, তাহলে হয়তো অন্যরকম একটা চিত্র হতে পারতো।’
হৃদয়দের সেই উন্নতি দেখানোর পরের সুযোগ আজ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ মাঠে নামবে সিরিজে সমতা ফেরাতে।