বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শনিবার
দুই অধিনায়ক লিটন দাস ও পল স্টার্লিং
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শনিবার। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এই মাঠে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার দিয়ে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিরিজে টিকে থাকতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের। তাই জয় দিয়ে সিরিজে ফেরার লক্ষ্য টাইগারদের।
অন্যদিকে, জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চায় আইরিশরা।
প্রথম ম্যাচে ৩৯ রানে হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ম্যাচটি হারতে হয়েছে টাইগারদের। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮১ রান করে আয়ারল্যান্ড। তিন নম্বরে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে ১টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪৫ বলে ৬৯ রান করেন হ্যারি টেক্টর।
বল হাতে বাংলাদেশের তানজিম হাসান ৪১ রানে ২টি, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে দলীয় ৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের মতো মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও ব্যর্থ হলে ৭৪ রানেই ৮ উইকেটের পতন হয় টাইগারদের। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন তাওহিদ হৃদয়।
ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে বাংলাদেশকে বড় হারের লজ্জা থেকে রক্ষা করেন হৃদয়।
নবম উইকেটে শরিফুল ইসলামকে সঙ্গী করে ৩১ বলে ৪৮ রান যোগ করেন হৃদয়। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে নবম উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪২ রান করে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫০ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৮৩ রান করেন হৃদয়।
শুরুতেই ৩ উইকেট পতন বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে বলে জানান অধিনায়ক লিটন দাস। তিনি বলেন, ‘আমি জানি চট্টগ্রামের উইকেট মাঝে মাঝে ব্যাটিং বান্ধব, বিশেষ করে যখন শিশির থাকে। কিন্তু পাওয়ার প্লেতে কিছু উইকেট হারিয়ে ফেললে পরের দিকের ব্যাটারদের জন্য পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে পড়ে। দ্রুত চার উইকেট হারানো আমাদের সমস্যায় ফেলেছে।’
বোলারদের প্রশংসা করে লিটন বলেন, ‘আমাদের বোলাররা ভালো করেছে, বিশেষ করে মুস্তাফিজ। আমরা জানি সে কেমন বোলিং করে। তারপরও আমরা আরও ভালো বোলিং করতে পারলে প্রতিপক্ষের আরও ২০-২৫ রান কম হতো।’
আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। টানা দ্বিতীয় সিরিজ হারের শঙ্কায় টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত নয়বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। এর মধ্যে টাইগারদের জয় ৫ ম্যাচে ও হার ৩ ম্যাচে। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
২০২৩ সালে সর্বশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শনিবার
দুই অধিনায়ক লিটন দাস ও পল স্টার্লিং
শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শনিবার। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এই মাঠে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার দিয়ে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিরিজে টিকে থাকতে হলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের। তাই জয় দিয়ে সিরিজে ফেরার লক্ষ্য টাইগারদের।
অন্যদিকে, জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চায় আইরিশরা।
প্রথম ম্যাচে ৩৯ রানে হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ম্যাচটি হারতে হয়েছে টাইগারদের। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮১ রান করে আয়ারল্যান্ড। তিন নম্বরে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে ১টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪৫ বলে ৬৯ রান করেন হ্যারি টেক্টর।
বল হাতে বাংলাদেশের তানজিম হাসান ৪১ রানে ২টি, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে দলীয় ৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের মতো মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও ব্যর্থ হলে ৭৪ রানেই ৮ উইকেটের পতন হয় টাইগারদের। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন তাওহিদ হৃদয়।
ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে বাংলাদেশকে বড় হারের লজ্জা থেকে রক্ষা করেন হৃদয়।
নবম উইকেটে শরিফুল ইসলামকে সঙ্গী করে ৩১ বলে ৪৮ রান যোগ করেন হৃদয়। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে নবম উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪২ রান করে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫০ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৮৩ রান করেন হৃদয়।
শুরুতেই ৩ উইকেট পতন বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে বলে জানান অধিনায়ক লিটন দাস। তিনি বলেন, ‘আমি জানি চট্টগ্রামের উইকেট মাঝে মাঝে ব্যাটিং বান্ধব, বিশেষ করে যখন শিশির থাকে। কিন্তু পাওয়ার প্লেতে কিছু উইকেট হারিয়ে ফেললে পরের দিকের ব্যাটারদের জন্য পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে পড়ে। দ্রুত চার উইকেট হারানো আমাদের সমস্যায় ফেলেছে।’
বোলারদের প্রশংসা করে লিটন বলেন, ‘আমাদের বোলাররা ভালো করেছে, বিশেষ করে মুস্তাফিজ। আমরা জানি সে কেমন বোলিং করে। তারপরও আমরা আরও ভালো বোলিং করতে পারলে প্রতিপক্ষের আরও ২০-২৫ রান কম হতো।’
আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। টানা দ্বিতীয় সিরিজ হারের শঙ্কায় টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত নয়বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। এর মধ্যে টাইগারদের জয় ৫ ম্যাচে ও হার ৩ ম্যাচে। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
২০২৩ সালে সর্বশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা।