পেস বোলিং কোচ শন টেইট
বিশ্বকাপের বাকি দুই মাসের বেশি। তবে বাংলাদেশের ম্যাচ বাকি একটি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটিই বিশ্ব আসরের আগে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। সেই বড় চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হয়ে ওঠার পথে অনেক কিছুই ঠিকঠাক করা বাকি দলের। তবে এই এক ম্যাচেই অনেক কিছু করে ফেলার জটিল ভাবনায় যেতে চায় না বাংলাদেশ। লিটন কুমার দাসের দলের চাওয়া ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের হাসিতে শেষ করা। টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ প্রথম দিনেই লড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, যে ম্যাচ মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে পরের ধাপে পৌঁছানোর জন্য।
বিশ্বকাপের আগে ভারতে গিয়ে আনুষ্ঠানিক দুটি গা গরমের ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশের। তবে সেসব তো শেষ পর্যন্ত প্রস্তুতি ম্যাচ, প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ সেখানে থাকে না। চট্টগ্রামে আজ আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচে তাই অনেক কিছুই দেখে নেয়ার ব্যাপার আছে।
সমস্যা হলো, সিরিজে এখন ১-১ সমতা। প্রথম দুই ম্যাচে সিরিজ জিতে গেলে শেষ ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থাকতো অনেকটাই অবারিত। কিন্তু এখন সেই পথে পা বাড়াতে অনেক ভাবতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে।
দলের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলার জন্য পেস বোলিং কোচ খুব আদর্শ কেউ নন। শেষ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে এলেন সেই শন টেইট। দলের ভাবনার ছবিটা অবশ্য কিছুটা পরিষ্কার হয়ে উঠলো তার কথায়। ‘দেখুন, আমার মনে হয় নিজেদের কাজ জটিল করে তোলার কোনো প্রয়োজন আমাদের নেই। ¯্রফে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে এবং জিততে হবে। প্রতিটি জয়, প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতলেই সেটা থেকে আত্মবিশ্বাস মেলে।’
‘আমরা সেরা যে কাজটি করতে পারি তা হলো গত ম্যাচে জয়ের বিশ্বাসকে কালের ম্যাচে বয়ে নেয়া ও ভালো খেলা। আশা করি, আমরা জিতবো। তারপর তো কিছুটা বিরতি আছে। সেই বিরতিও জরুরি, তাই না? আমরা যদি জয় দিয়ে বিরতিতে যেতে পারি, সেটিই সেরা ব্যাপার হবে। আমার তাই মনে হয়, চিন্তা-ভাবনা জটিল করার দরকার খুব একটা নেই।’
বিশ্বকাপের একটি প্রস্তুতি অবশ্য এই ম্যাচে হবে। কলকাতায় তিনটি গ্রুপ ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে দিনের আলোয়। আজ ম্যাচটিও শুরু দুপুরে।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ভালো ক্রিকেট খেলার বার্তা শন টেইটের
সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। কালকের ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই টেইট বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের ভাবনাগুলো খুব জটিল করার দরকার নেই। ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, তাহলেই জিতবো। আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিটি জয়ই দলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেয়।’
চলতি সিরিজটা ফেব্রুয়ারির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের শেষ দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি। এখন আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করে বিরতির পর বিপিএলে অংশ নিতে উন্মুখ টাইগাররা। টেইট মনে করেন, ‘আমাদের যা করার, তা হলো ভালো খেলাটা ধরে রাখা। আগের ম্যাচের জয় থেকে যে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি, সেটা নিয়ে সামনের দিন মাঠে নামা। যদি জিততে পারি, বিরতির আগে এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। তাই মনে হয় না, চিন্তাকে খুব জটিল করার দরকার আছে।’
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ পেসার সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে আইরিশদের পারফরম্যান্সও তুলে ধরেন। তার মতে, দুই ম্যাচে বাংলাদেশ থেকে ভালো ব্যাটিং করেছে সফরকারীরা, ‘আয়ারল্যান্ড খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে, তাদেও বেশ কিছু মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ও আছে। দেখলে মনে হয়, তাদের টি-টোয়েন্টি দলটা বেশ গোছানো।’
তবু বাংলাদেশ খুশি প্রতিপক্ষের এমন চ্যালেঞ্জে। কারণ ফেব্রুয়ারির টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপই এখন বড় লক্ষ্য। টেইটের কথায়, ‘আমরা ভালো ধরনের চ্যালেঞ্জ চাই, এটাই দরকার। আমাদের পরের টুর্নামেন্ট টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ফলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চেয়ে বড় কিছু আর হয় না।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
পেস বোলিং কোচ শন টেইট
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
বিশ্বকাপের বাকি দুই মাসের বেশি। তবে বাংলাদেশের ম্যাচ বাকি একটি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটিই বিশ্ব আসরের আগে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। সেই বড় চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি হয়ে ওঠার পথে অনেক কিছুই ঠিকঠাক করা বাকি দলের। তবে এই এক ম্যাচেই অনেক কিছু করে ফেলার জটিল ভাবনায় যেতে চায় না বাংলাদেশ। লিটন কুমার দাসের দলের চাওয়া ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের হাসিতে শেষ করা। টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ প্রথম দিনেই লড়বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, যে ম্যাচ মহাগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে পরের ধাপে পৌঁছানোর জন্য।
বিশ্বকাপের আগে ভারতে গিয়ে আনুষ্ঠানিক দুটি গা গরমের ম্যাচ খেলার কথা বাংলাদেশের। তবে সেসব তো শেষ পর্যন্ত প্রস্তুতি ম্যাচ, প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ সেখানে থাকে না। চট্টগ্রামে আজ আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচে তাই অনেক কিছুই দেখে নেয়ার ব্যাপার আছে।
সমস্যা হলো, সিরিজে এখন ১-১ সমতা। প্রথম দুই ম্যাচে সিরিজ জিতে গেলে শেষ ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ থাকতো অনেকটাই অবারিত। কিন্তু এখন সেই পথে পা বাড়াতে অনেক ভাবতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে।
দলের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলার জন্য পেস বোলিং কোচ খুব আদর্শ কেউ নন। শেষ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে এলেন সেই শন টেইট। দলের ভাবনার ছবিটা অবশ্য কিছুটা পরিষ্কার হয়ে উঠলো তার কথায়। ‘দেখুন, আমার মনে হয় নিজেদের কাজ জটিল করে তোলার কোনো প্রয়োজন আমাদের নেই। ¯্রফে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে এবং জিততে হবে। প্রতিটি জয়, প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতলেই সেটা থেকে আত্মবিশ্বাস মেলে।’
‘আমরা সেরা যে কাজটি করতে পারি তা হলো গত ম্যাচে জয়ের বিশ্বাসকে কালের ম্যাচে বয়ে নেয়া ও ভালো খেলা। আশা করি, আমরা জিতবো। তারপর তো কিছুটা বিরতি আছে। সেই বিরতিও জরুরি, তাই না? আমরা যদি জয় দিয়ে বিরতিতে যেতে পারি, সেটিই সেরা ব্যাপার হবে। আমার তাই মনে হয়, চিন্তা-ভাবনা জটিল করার দরকার খুব একটা নেই।’
বিশ্বকাপের একটি প্রস্তুতি অবশ্য এই ম্যাচে হবে। কলকাতায় তিনটি গ্রুপ ম্যাচ বাংলাদেশ খেলবে দিনের আলোয়। আজ ম্যাচটিও শুরু দুপুরে।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ভালো ক্রিকেট খেলার বার্তা শন টেইটের
সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। কালকের ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই টেইট বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের ভাবনাগুলো খুব জটিল করার দরকার নেই। ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, তাহলেই জিতবো। আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিটি জয়ই দলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেয়।’
চলতি সিরিজটা ফেব্রুয়ারির টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের শেষ দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি। এখন আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করে বিরতির পর বিপিএলে অংশ নিতে উন্মুখ টাইগাররা। টেইট মনে করেন, ‘আমাদের যা করার, তা হলো ভালো খেলাটা ধরে রাখা। আগের ম্যাচের জয় থেকে যে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি, সেটা নিয়ে সামনের দিন মাঠে নামা। যদি জিততে পারি, বিরতির আগে এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। তাই মনে হয় না, চিন্তাকে খুব জটিল করার দরকার আছে।’
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ পেসার সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে আইরিশদের পারফরম্যান্সও তুলে ধরেন। তার মতে, দুই ম্যাচে বাংলাদেশ থেকে ভালো ব্যাটিং করেছে সফরকারীরা, ‘আয়ারল্যান্ড খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে, তাদেও বেশ কিছু মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ও আছে। দেখলে মনে হয়, তাদের টি-টোয়েন্টি দলটা বেশ গোছানো।’
তবু বাংলাদেশ খুশি প্রতিপক্ষের এমন চ্যালেঞ্জে। কারণ ফেব্রুয়ারির টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপই এখন বড় লক্ষ্য। টেইটের কথায়, ‘আমরা ভালো ধরনের চ্যালেঞ্জ চাই, এটাই দরকার। আমাদের পরের টুর্নামেন্ট টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ফলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চেয়ে বড় কিছু আর হয় না।’