ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঝরছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আবার কখনও জোর বাড়িয়ে। বৃষ্টির এই দাপটে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে খেলা হয়েছে মোটে ৬.২ ওভার। আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় আগেভাগেই দিন শেষের ঘোষণা আসে।
শীত পুরোপুরি আসেনি, বাতাসে হিম শীতের ছোঁয়া। ডিসেম্বরে এই বৃষ্টিভেজা ম্যাড়মেড়ে দিনটিতে অন্যরকম এক দৃশ্য ফুটে উঠলো সাকিব আল হাসান হাসানের সৌজন্যে। দ্বিতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পরই মিরপুরে বৃষ্টিবিলাস করলেন এই অলরাউন্ডার।
আজ নির্ধারিত সময়েই দুই দল মাঠে আসে। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় ১২টা ৫০ মিনিটে আধঘণ্টার জন্য খেলার সুযোগ তৈরি হয়। ফলে দুই দলের ক্রিকেটাররা ড্রেসিং রুম, মাঠের কোনও পাশে দাঁড়িয়ে গল্প-আড্ডায় সময় কাটিয়েছেন। বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ড্রেসিং রুমে বসে না থেকে ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। সাকিবও ছিলেন তাদের সঙ্গী। পৌনে ২টা থেকে শুরু করে প্রায় ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।
দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণার কিছুক্ষণ পর সাকিব ইনডোর থেকে ড্রেসিং রুমের দিকে যাচ্ছিলেন। তারপর মাঠের পূর্ব দিকের ইনডোর থেকে মাঠে ঢুকে পড়েন। এরপরই হুট করে যেন ছোটবেলায় ফিরে গেলেন সাকিব। বৃষ্টিতে পিচ কভারের ওপর পানি জমে ছিল, সেই পানিতে স্লাইড করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। পুরো শরীর ছেড়ে দিলেন পানি জমে থাকা পিচ কভারের ওপর। ধীরে ধীরে স্লাইড করে চলে গেলেন কয়েক গজ দূরে। পুরো শরীরর ভাসালেন কাভারের পানিতে। মুহূর্তেই সাকিব আল হাসান ভিজে চুপচুপ। মুখে অনাবিল আনন্দ। মুখে অকৃত্রিম হাসি। পশ্চিম দিকে কভারের একদম শেষভাগে গিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।
বোঝা যাচ্ছিল বৃষ্টির ওই পানিতে শুধু শরীর-ই নয়, ভিজেছিল তার অন্তর। হৃদয় নিংড়ানো হাসিতে হৃদয়কেও নাড়িয়ে দেয় সেই মুহূর্ত। শীতল আমেজের ডিসেম্বরের এই বৃষ্টিতে শৈশবেই যেন ফিরে যেতে চাইলেন তিনি।
সাকিবের এই বৃষ্টিবিলাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। নানা রকম মন্তব্যে ফেসবুক সয়লাব। সাকিবভক্তরা প্রিয় ক্রিকেটারকে নিয়ে মজার মজার সব মন্তব্য করেছেন। অবশ্য নিন্দুকেরাও বসে নেই। কেউ কেউ সাকিবের বৃষ্টিতে ভেজা নিয়ে ট্রলও করেছেন!
বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচে অল্প কিছু দর্শক থাকলেও তাদের দিনটা ছিল হতাশার। বৃষ্টির কারণে সময় গড়ানোর সঙ্গে কমতে থাকে দর্শকের সংখ্যা। তবে শেষ মুহূর্তে সাকিবের এমন জলকেলি দেখে নিশ্চিতভাবেই বিনোদন পেয়েছেন তারা। খেলা দেখতে না পাওয়ার হতাশায় কিছুটা হলেও কেটেছে দেশসেরা ক্রিকেটারের বৃষ্টিবিলাসে।
রোববার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঝরছে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আবার কখনও জোর বাড়িয়ে। বৃষ্টির এই দাপটে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে খেলা হয়েছে মোটে ৬.২ ওভার। আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় আগেভাগেই দিন শেষের ঘোষণা আসে।
শীত পুরোপুরি আসেনি, বাতাসে হিম শীতের ছোঁয়া। ডিসেম্বরে এই বৃষ্টিভেজা ম্যাড়মেড়ে দিনটিতে অন্যরকম এক দৃশ্য ফুটে উঠলো সাকিব আল হাসান হাসানের সৌজন্যে। দ্বিতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত হওয়ার কিছুক্ষণ পরই মিরপুরে বৃষ্টিবিলাস করলেন এই অলরাউন্ডার।
আজ নির্ধারিত সময়েই দুই দল মাঠে আসে। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় ১২টা ৫০ মিনিটে আধঘণ্টার জন্য খেলার সুযোগ তৈরি হয়। ফলে দুই দলের ক্রিকেটাররা ড্রেসিং রুম, মাঠের কোনও পাশে দাঁড়িয়ে গল্প-আড্ডায় সময় কাটিয়েছেন। বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ড্রেসিং রুমে বসে না থেকে ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন। সাকিবও ছিলেন তাদের সঙ্গী। পৌনে ২টা থেকে শুরু করে প্রায় ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।
দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণার কিছুক্ষণ পর সাকিব ইনডোর থেকে ড্রেসিং রুমের দিকে যাচ্ছিলেন। তারপর মাঠের পূর্ব দিকের ইনডোর থেকে মাঠে ঢুকে পড়েন। এরপরই হুট করে যেন ছোটবেলায় ফিরে গেলেন সাকিব। বৃষ্টিতে পিচ কভারের ওপর পানি জমে ছিল, সেই পানিতে স্লাইড করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। পুরো শরীর ছেড়ে দিলেন পানি জমে থাকা পিচ কভারের ওপর। ধীরে ধীরে স্লাইড করে চলে গেলেন কয়েক গজ দূরে। পুরো শরীরর ভাসালেন কাভারের পানিতে। মুহূর্তেই সাকিব আল হাসান ভিজে চুপচুপ। মুখে অনাবিল আনন্দ। মুখে অকৃত্রিম হাসি। পশ্চিম দিকে কভারের একদম শেষভাগে গিয়ে উঠে দাঁড়ালেন।
বোঝা যাচ্ছিল বৃষ্টির ওই পানিতে শুধু শরীর-ই নয়, ভিজেছিল তার অন্তর। হৃদয় নিংড়ানো হাসিতে হৃদয়কেও নাড়িয়ে দেয় সেই মুহূর্ত। শীতল আমেজের ডিসেম্বরের এই বৃষ্টিতে শৈশবেই যেন ফিরে যেতে চাইলেন তিনি।
সাকিবের এই বৃষ্টিবিলাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। নানা রকম মন্তব্যে ফেসবুক সয়লাব। সাকিবভক্তরা প্রিয় ক্রিকেটারকে নিয়ে মজার মজার সব মন্তব্য করেছেন। অবশ্য নিন্দুকেরাও বসে নেই। কেউ কেউ সাকিবের বৃষ্টিতে ভেজা নিয়ে ট্রলও করেছেন!
বৃষ্টিবিঘ্নিত এই ম্যাচে অল্প কিছু দর্শক থাকলেও তাদের দিনটা ছিল হতাশার। বৃষ্টির কারণে সময় গড়ানোর সঙ্গে কমতে থাকে দর্শকের সংখ্যা। তবে শেষ মুহূর্তে সাকিবের এমন জলকেলি দেখে নিশ্চিতভাবেই বিনোদন পেয়েছেন তারা। খেলা দেখতে না পাওয়ার হতাশায় কিছুটা হলেও কেটেছে দেশসেরা ক্রিকেটারের বৃষ্টিবিলাসে।