চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
ম্যানচেস্টার সিটির তারকা খেলোয়াড় আর্লিং হাল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে ৫ গোল করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করার পাশাপাশি নিজ দলকে তুলে দিয়েছেন প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে। তার দল ম্যানসিটি মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোল’র ফিরতি লেগে ৭-০ গোলে পরাজিত করেছে আরবি লাইপজিগকে।
প্রথম লেগ উভয় দল ড্র করেছিল ১-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যানসিটি জয়ী হয়েছে ৮-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। ফিরতি লেগে ম্যানসিটির হয়ে বাকি গোল দুটি করেছেন ইকে গুন্ডোয়ান এবং কেভিন ডি ব্রুইনা।
ম্যানসিটিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই ক্লাবের গোল মেশিনে পরিনত হয়েছেন ২২ বছর বয়সী এ তারকা। মৌসুম শেষ হতে এখনো অনেক বাকি। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি ক্লাবের হয়ে এক মৌসুমে সবেচেয়ে বেশী গোলের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় তিনি গোল করেছেন ৩৯টি। ১৯২৮-২৯ মৌসুমে টমি জনসন ক্লাবের হয়ে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশী গোলের রেকর্ড করেছিলেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে কম বয়সে ৩০ গোলের রেকর্ডও এখন তার। এ প্রতিযোগিতায় ২৫ ম্যাচ খেলে তার গোল সংখ্যা এখন ৩৩টি।
ম্যাচ শেষে উচ্ছসিত হাল্যান্ড বলেন, ‘এটা ছিল দারুন একটি রাত। প্রথমত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে আমি গর্বিত। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আমি খুব ভালবাসি। এককভাবে ৫ গোল এবং দল ৭-০ গোলে জিতেছে। এটা সত্যিই অসাধারণ। আমার মূল শক্তিই হচ্ছে গোল করা। সত্যি কথা হলো আজ এতগুলো গোল আমি নিজেও প্রত্যাশা করিনি। আমি চেষ্টা করেছি কেবল বল জালে পাঠাতে। আমি এমন জায়গায় বল মারতে চেয়েছি যেখানে গোলরক্ষক নেই।’
হাল্যান্ড ২২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করার ১৯ সেকেন্ড পর আবারো গোল করেন। লাইপজিগের গোলরক্ষক ঠিক মতো বল ক্লিয়ার করতে না পারায় সেটি পেয়ে যান ডি ব্রুইনা এবং তার শট ক্রসবারে লেগে ফেরত গেলে হাল্যান্ড সেটি পেয়ে জালে পাঠান। প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে হাল্যান্ড হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
ম্যাচের ৪৯ মিনিটে গুন্ডোয়ান করেন চতুর্থ গোল। এর পর ৫৩ ও ৫৭ মিনিটে আরো দুটি গোল করেন হাল্যান্ড। কোচ গার্দিওয়ালা ৬২ মিনিটেই মাঠ থেকে তুলে নেন হাল্যান্ডকে। দলের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় কোচ তাকে মাঠে রেখে কোন ঝুকি নিতে চাননি। ম্যানসিটির শেষ গোলটি করেন ডি ব্রুইনা। খেলার শেষ বাশি বাজার ঠিক আগে তিনি গোলটি করেন।
হাল্যান্ডের প্রশংসা করে কোজ গার্দিওয়ালা বলেন, ‘অসাধারণ, মানসিক দিক থেকে সে খুবই শক্তিশালী। তার পরেও এমন একটি দলের বিপক্ষে ৫ গোল করা মোটেও সহজ কাজ নয়।’
হাল্যান্ড বলেন, ‘আমি কোচকে বলেছিলাম ডাবল হ্যাটট্রিক করতে চাই। কিন্তু কোচ আমাকে তুলে নিলে। আমি আর কি করতে পারি?
ম্যানসিটি এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারেনি। তারা ২০২১ সালে ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু চেলসির কাছে ফাইনালে তারা হারে ১-০ গোলে। গত মৌসুমে তারা সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে যায়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল
বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
ম্যানচেস্টার সিটির তারকা খেলোয়াড় আর্লিং হাল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে ৫ গোল করার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করার পাশাপাশি নিজ দলকে তুলে দিয়েছেন প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে। তার দল ম্যানসিটি মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোল’র ফিরতি লেগে ৭-০ গোলে পরাজিত করেছে আরবি লাইপজিগকে।
প্রথম লেগ উভয় দল ড্র করেছিল ১-১ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যানসিটি জয়ী হয়েছে ৮-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। ফিরতি লেগে ম্যানসিটির হয়ে বাকি গোল দুটি করেছেন ইকে গুন্ডোয়ান এবং কেভিন ডি ব্রুইনা।
ম্যানসিটিতে যোগ দেয়ার পর থেকেই ক্লাবের গোল মেশিনে পরিনত হয়েছেন ২২ বছর বয়সী এ তারকা। মৌসুম শেষ হতে এখনো অনেক বাকি। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি ক্লাবের হয়ে এক মৌসুমে সবেচেয়ে বেশী গোলের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় তিনি গোল করেছেন ৩৯টি। ১৯২৮-২৯ মৌসুমে টমি জনসন ক্লাবের হয়ে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশী গোলের রেকর্ড করেছিলেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে কম বয়সে ৩০ গোলের রেকর্ডও এখন তার। এ প্রতিযোগিতায় ২৫ ম্যাচ খেলে তার গোল সংখ্যা এখন ৩৩টি।
ম্যাচ শেষে উচ্ছসিত হাল্যান্ড বলেন, ‘এটা ছিল দারুন একটি রাত। প্রথমত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে আমি গর্বিত। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আমি খুব ভালবাসি। এককভাবে ৫ গোল এবং দল ৭-০ গোলে জিতেছে। এটা সত্যিই অসাধারণ। আমার মূল শক্তিই হচ্ছে গোল করা। সত্যি কথা হলো আজ এতগুলো গোল আমি নিজেও প্রত্যাশা করিনি। আমি চেষ্টা করেছি কেবল বল জালে পাঠাতে। আমি এমন জায়গায় বল মারতে চেয়েছি যেখানে গোলরক্ষক নেই।’
হাল্যান্ড ২২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল করার ১৯ সেকেন্ড পর আবারো গোল করেন। লাইপজিগের গোলরক্ষক ঠিক মতো বল ক্লিয়ার করতে না পারায় সেটি পেয়ে যান ডি ব্রুইনা এবং তার শট ক্রসবারে লেগে ফেরত গেলে হাল্যান্ড সেটি পেয়ে জালে পাঠান। প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে হাল্যান্ড হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
ম্যাচের ৪৯ মিনিটে গুন্ডোয়ান করেন চতুর্থ গোল। এর পর ৫৩ ও ৫৭ মিনিটে আরো দুটি গোল করেন হাল্যান্ড। কোচ গার্দিওয়ালা ৬২ মিনিটেই মাঠ থেকে তুলে নেন হাল্যান্ডকে। দলের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় কোচ তাকে মাঠে রেখে কোন ঝুকি নিতে চাননি। ম্যানসিটির শেষ গোলটি করেন ডি ব্রুইনা। খেলার শেষ বাশি বাজার ঠিক আগে তিনি গোলটি করেন।
হাল্যান্ডের প্রশংসা করে কোজ গার্দিওয়ালা বলেন, ‘অসাধারণ, মানসিক দিক থেকে সে খুবই শক্তিশালী। তার পরেও এমন একটি দলের বিপক্ষে ৫ গোল করা মোটেও সহজ কাজ নয়।’
হাল্যান্ড বলেন, ‘আমি কোচকে বলেছিলাম ডাবল হ্যাটট্রিক করতে চাই। কিন্তু কোচ আমাকে তুলে নিলে। আমি আর কি করতে পারি?
ম্যানসিটি এখন পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারেনি। তারা ২০২১ সালে ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু চেলসির কাছে ফাইনালে তারা হারে ১-০ গোলে। গত মৌসুমে তারা সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে যায়।