দেশের কৃষকরা এখনও চাষাবাদে স্থানীয় রীতি ও জ্ঞানের ওপর নির্ভর করেন। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এ দুর্যোগ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ফসল রক্ষা ও সঠিক সময়ে চাষাবাদের আগাম তথ্য দিতে প্রকল্প গ্রহণ করে ডিএই ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর কিন্তু প্রকল্পটি কৃষকদের কোনো কাজে আসেনি। মুখ থুবড়ে পড়েছে এর কার্যক্রম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ২০১৮ সালে প্রকল্পটির কাজ শুরু করে। প্রতিটি ইউনিয়নে ‘কৃষি আবহাওয়া ডিসপ্লে বোর্ড’ ও ‘অটোমেটিক রেইন গেজগুলো’ স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর কেউ আর এটির খোঁজ রাখেনি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে গেছে সেগুলো। আবার কোথাও কোথাও এসব যন্ত্রপাতি চুরিও হয়ে গেছে। যাদের এসব যন্ত্রপাতি দেখভালের দায়িত্ব ছিল তারা সেটা পালন করেননি। দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ও অনীহা কেন, সেটা একটা প্রশ্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থাপন করা ডিসপ্লে বোর্ডগুলোতে দেয়া হয় বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আদ্রতার হার, বায়ুপ্রবাহ, দিনের আলো কতক্ষণ থাকবে ও ঝড়ের পূর্বাভাসসহ ১০টি তথ্য। কৃষকরা এই বোর্ড থেকেই জানতে পারবেন তিন দিন আগের ও তিন দিন পরের আবহাওয়ার পূর্বাভাস; কিন্তু এসব বোর্ড স্থাপনের পর থেকেই নেই কোনো কার্যক্রম। তবে এ সেবা চালু থাকলে কৃষকরা অনেক উপকৃত হতেন। ফসলের উৎপাদন সাত শতাংশ বেড়ে যেত। কৃষকের আয় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ত। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট নয় জেলায় গবেষণা করে দেখেছে, যেসব কৃষক আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবহার করেছিলেন তারা বেশি ফসল উৎপাদন করতে পেরেছেন।
দেশের বেশিরভাগ ইউনিয়ন পরিষদে অটোমেটিক রেইন গেজ এবং কৃষি আবহাওয়া ডিসপ্লে বোর্ডের কোনো অস্তিত্বই নেই। বন্যা, খরা ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কৃষকের ফসল রক্ষার আগাম তথ্য পাওয়ার জন্যই রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ করে এ প্রকল্প নেয়া হয়। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ এলাকা থেকে কৃষকরা এ আবহাওয়ার তথ্য সেবা পাওয়ার কথা জানেনই না। কৃষক সুবিধা ভোগ করল না ঠিকই কিন্তু রাষ্ট্রের টাকার শ্রাদ্ধ ঠিকই হলো।
দেশে প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ থেকে দুই কোটি কৃষক রয়েছেন। তাই সরাসরি কৃষকদের কাছে এসব তথ্য সহজলভ্য করে তোলার জন্য যা যা দরকার তা তা করতে হবে। এ কাজে যারা সংশ্লিষ্ট তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্পটি চালু রাখবে- এটা আমরা চাইব।
মঙ্গলবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশের কৃষকরা এখনও চাষাবাদে স্থানীয় রীতি ও জ্ঞানের ওপর নির্ভর করেন। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এ দুর্যোগ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ফসল রক্ষা ও সঠিক সময়ে চাষাবাদের আগাম তথ্য দিতে প্রকল্প গ্রহণ করে ডিএই ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর কিন্তু প্রকল্পটি কৃষকদের কোনো কাজে আসেনি। মুখ থুবড়ে পড়েছে এর কার্যক্রম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ২০১৮ সালে প্রকল্পটির কাজ শুরু করে। প্রতিটি ইউনিয়নে ‘কৃষি আবহাওয়া ডিসপ্লে বোর্ড’ ও ‘অটোমেটিক রেইন গেজগুলো’ স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর কেউ আর এটির খোঁজ রাখেনি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে গেছে সেগুলো। আবার কোথাও কোথাও এসব যন্ত্রপাতি চুরিও হয়ে গেছে। যাদের এসব যন্ত্রপাতি দেখভালের দায়িত্ব ছিল তারা সেটা পালন করেননি। দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ও অনীহা কেন, সেটা একটা প্রশ্ন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থাপন করা ডিসপ্লে বোর্ডগুলোতে দেয়া হয় বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আদ্রতার হার, বায়ুপ্রবাহ, দিনের আলো কতক্ষণ থাকবে ও ঝড়ের পূর্বাভাসসহ ১০টি তথ্য। কৃষকরা এই বোর্ড থেকেই জানতে পারবেন তিন দিন আগের ও তিন দিন পরের আবহাওয়ার পূর্বাভাস; কিন্তু এসব বোর্ড স্থাপনের পর থেকেই নেই কোনো কার্যক্রম। তবে এ সেবা চালু থাকলে কৃষকরা অনেক উপকৃত হতেন। ফসলের উৎপাদন সাত শতাংশ বেড়ে যেত। কৃষকের আয় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ত। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট নয় জেলায় গবেষণা করে দেখেছে, যেসব কৃষক আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবহার করেছিলেন তারা বেশি ফসল উৎপাদন করতে পেরেছেন।
দেশের বেশিরভাগ ইউনিয়ন পরিষদে অটোমেটিক রেইন গেজ এবং কৃষি আবহাওয়া ডিসপ্লে বোর্ডের কোনো অস্তিত্বই নেই। বন্যা, খরা ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কৃষকের ফসল রক্ষার আগাম তথ্য পাওয়ার জন্যই রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ করে এ প্রকল্প নেয়া হয়। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ এলাকা থেকে কৃষকরা এ আবহাওয়ার তথ্য সেবা পাওয়ার কথা জানেনই না। কৃষক সুবিধা ভোগ করল না ঠিকই কিন্তু রাষ্ট্রের টাকার শ্রাদ্ধ ঠিকই হলো।
দেশে প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ থেকে দুই কোটি কৃষক রয়েছেন। তাই সরাসরি কৃষকদের কাছে এসব তথ্য সহজলভ্য করে তোলার জন্য যা যা দরকার তা তা করতে হবে। এ কাজে যারা সংশ্লিষ্ট তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্পটি চালু রাখবে- এটা আমরা চাইব।