alt

সম্পাদকীয়

আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ল কেন

: মঙ্গলবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের কৃষকরা এখনও চাষাবাদে স্থানীয় রীতি ও জ্ঞানের ওপর নির্ভর করেন। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এ দুর্যোগ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ফসল রক্ষা ও সঠিক সময়ে চাষাবাদের আগাম তথ্য দিতে প্রকল্প গ্রহণ করে ডিএই ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর কিন্তু প্রকল্পটি কৃষকদের কোনো কাজে আসেনি। মুখ থুবড়ে পড়েছে এর কার্যক্রম।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ২০১৮ সালে প্রকল্পটির কাজ শুরু করে। প্রতিটি ইউনিয়নে ‘কৃষি আবহাওয়া ডিসপ্লে বোর্ড’ ও ‘অটোমেটিক রেইন গেজগুলো’ স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর কেউ আর এটির খোঁজ রাখেনি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে গেছে সেগুলো। আবার কোথাও কোথাও এসব যন্ত্রপাতি চুরিও হয়ে গেছে। যাদের এসব যন্ত্রপাতি দেখভালের দায়িত্ব ছিল তারা সেটা পালন করেননি। দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ও অনীহা কেন, সেটা একটা প্রশ্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থাপন করা ডিসপ্লে বোর্ডগুলোতে দেয়া হয় বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আদ্রতার হার, বায়ুপ্রবাহ, দিনের আলো কতক্ষণ থাকবে ও ঝড়ের পূর্বাভাসসহ ১০টি তথ্য। কৃষকরা এই বোর্ড থেকেই জানতে পারবেন তিন দিন আগের ও তিন দিন পরের আবহাওয়ার পূর্বাভাস; কিন্তু এসব বোর্ড স্থাপনের পর থেকেই নেই কোনো কার্যক্রম। তবে এ সেবা চালু থাকলে কৃষকরা অনেক উপকৃত হতেন। ফসলের উৎপাদন সাত শতাংশ বেড়ে যেত। কৃষকের আয় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ত। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট নয় জেলায় গবেষণা করে দেখেছে, যেসব কৃষক আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবহার করেছিলেন তারা বেশি ফসল উৎপাদন করতে পেরেছেন।

দেশের বেশিরভাগ ইউনিয়ন পরিষদে অটোমেটিক রেইন গেজ এবং কৃষি আবহাওয়া ডিসপ্লে বোর্ডের কোনো অস্তিত্বই নেই। বন্যা, খরা ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কৃষকের ফসল রক্ষার আগাম তথ্য পাওয়ার জন্যই রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ করে এ প্রকল্প নেয়া হয়। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ এলাকা থেকে কৃষকরা এ আবহাওয়ার তথ্য সেবা পাওয়ার কথা জানেনই না। কৃষক সুবিধা ভোগ করল না ঠিকই কিন্তু রাষ্ট্রের টাকার শ্রাদ্ধ ঠিকই হলো।

দেশে প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ থেকে দুই কোটি কৃষক রয়েছেন। তাই সরাসরি কৃষকদের কাছে এসব তথ্য সহজলভ্য করে তোলার জন্য যা যা দরকার তা তা করতে হবে। এ কাজে যারা সংশ্লিষ্ট তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্পটি চালু রাখবে- এটা আমরা চাইব।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ল কেন

মঙ্গলবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের কৃষকরা এখনও চাষাবাদে স্থানীয় রীতি ও জ্ঞানের ওপর নির্ভর করেন। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এ দুর্যোগ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে ফসল রক্ষা ও সঠিক সময়ে চাষাবাদের আগাম তথ্য দিতে প্রকল্প গ্রহণ করে ডিএই ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর কিন্তু প্রকল্পটি কৃষকদের কোনো কাজে আসেনি। মুখ থুবড়ে পড়েছে এর কার্যক্রম।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ২০১৮ সালে প্রকল্পটির কাজ শুরু করে। প্রতিটি ইউনিয়নে ‘কৃষি আবহাওয়া ডিসপ্লে বোর্ড’ ও ‘অটোমেটিক রেইন গেজগুলো’ স্থাপন করা হয়। স্থাপনের পর কেউ আর এটির খোঁজ রাখেনি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে গেছে সেগুলো। আবার কোথাও কোথাও এসব যন্ত্রপাতি চুরিও হয়ে গেছে। যাদের এসব যন্ত্রপাতি দেখভালের দায়িত্ব ছিল তারা সেটা পালন করেননি। দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ও অনীহা কেন, সেটা একটা প্রশ্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থাপন করা ডিসপ্লে বোর্ডগুলোতে দেয়া হয় বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আদ্রতার হার, বায়ুপ্রবাহ, দিনের আলো কতক্ষণ থাকবে ও ঝড়ের পূর্বাভাসসহ ১০টি তথ্য। কৃষকরা এই বোর্ড থেকেই জানতে পারবেন তিন দিন আগের ও তিন দিন পরের আবহাওয়ার পূর্বাভাস; কিন্তু এসব বোর্ড স্থাপনের পর থেকেই নেই কোনো কার্যক্রম। তবে এ সেবা চালু থাকলে কৃষকরা অনেক উপকৃত হতেন। ফসলের উৎপাদন সাত শতাংশ বেড়ে যেত। কৃষকের আয় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ত। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট নয় জেলায় গবেষণা করে দেখেছে, যেসব কৃষক আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবহার করেছিলেন তারা বেশি ফসল উৎপাদন করতে পেরেছেন।

দেশের বেশিরভাগ ইউনিয়ন পরিষদে অটোমেটিক রেইন গেজ এবং কৃষি আবহাওয়া ডিসপ্লে বোর্ডের কোনো অস্তিত্বই নেই। বন্যা, খরা ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কৃষকের ফসল রক্ষার আগাম তথ্য পাওয়ার জন্যই রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচ করে এ প্রকল্প নেয়া হয়। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ এলাকা থেকে কৃষকরা এ আবহাওয়ার তথ্য সেবা পাওয়ার কথা জানেনই না। কৃষক সুবিধা ভোগ করল না ঠিকই কিন্তু রাষ্ট্রের টাকার শ্রাদ্ধ ঠিকই হলো।

দেশে প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ থেকে দুই কোটি কৃষক রয়েছেন। তাই সরাসরি কৃষকদের কাছে এসব তথ্য সহজলভ্য করে তোলার জন্য যা যা দরকার তা তা করতে হবে। এ কাজে যারা সংশ্লিষ্ট তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকল্পটি চালু রাখবে- এটা আমরা চাইব।

back to top