alt

সম্পাদকীয়

‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের’ রক্ষায় তৎপর হতে হবে

: মঙ্গলবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রকৃতি-পরিবেশ সংরক্ষণে শকুনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। একে বলা হয় ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী’। বিশ্বজুড়েই এর অস্তিত্ব আজ বিপন্নপ্রায়।

দেশেও পাখিটিকে আগের মতো দেখা যায় না। বন বিভাগ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন আইইউসিএনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে শকুনের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ। সংখ্যাটি কমতে কমতে ২০১২ সালে এসে দাঁড়ায় ৫৫০টিতে। ২০১৬ সালে ২৪০টি শকুনের কথা জানা গেছে।

শকুন প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। এই পাখির প্রধান খাবার হচ্ছে মৃত পশু। মৃত প্রাণীর দেহ থেকে ক্ষতিকর জীবাণু প্রকৃতিতে ছড়ানোর আগেই তা খেয়ে ফেলে। এজন্য একে বলা হয়- ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী’। গরু ও মানুষের জীবনের জন্য অন্যতম ঝুঁকি হচ্ছে অ্যানথ্রাক্স রোগ। শকুন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত মৃত গবাদিপশুর মাংস খেয়ে হজম করতে পারে। প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জোটের মতে শকুন প্রায় ৪০ প্রকার জীবাণু ধ্বংস করতে পারে।

প্রকৃতির এমন উপকারী এক পাখি আজ বিপন্ন প্রায়। একসময় সারাদেশেই শকুনের দেখা পাওয়া যেত। এখন বৃহত্তর সিলেট এবং সুন্দরবন ছাড়া পাখিটিকে সচরাচর আর কোথাও দেখা যায় না।

প্রকৃতি ও মানুষের জন্য উপকারী পাখির অস্তিত্ব কেন বিপন্ন হয়ে পড়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্র কলেজ অব ভেটেরিনারি মেডিসিনের গবেষণা জানাচ্ছে, গবাদিপশুর চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাকের ব্যবহার শকুন বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শকুন কমে যাওয়ার প্রধান কারণ ছিল ডাইক্লোফেনাক ও কিটোফেন নামের দুটি ওষুধ। গরুর বিভিন্ন রোগে ওষুধ দুটি ব্যবহার করা হতো। গরু মারা গেলেও তার দেহে ওষুধ দুটির কার্যক্ষমতা সক্রিয় থাকত। এ ধরনের গরুর মাংস খাওয়ার কারণে শকুন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

আশার কথা হচ্ছে- ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ এই পাখি রক্ষায় সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। খুলনা ও সিলেটের দুটি এলাকায় ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বলতে চাই, ঘোষিত এলাকায় শকুনের জন্য নিরাপদ খাবার সরবরাহে যেন কোনো ঘাটতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। শকুনরা উঁচু গাছে বাসা বাঁধে। বন ও বৃক্ষ নিধনের কারণে শকুনের আবাসস্থল কমছে। শকুন রক্ষা করতে হলে উঁচু গাছ রক্ষা করতে হবে।

পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহারে চাই সচেতনতা

প্লাস্টিক কারখানার অবৈধ গ্যাসলাইন, ব্যবস্থা নিন

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যালাইনের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

চালতাবুনিয়ায় পাকা রাস্তা চাই

মানসিক অসুস্থতা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

রাজধানীতে বৃষ্টি কেন এত ভোগান্তি বয়ে আনল

কৃষিযন্ত্র বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের বেঁধে দেয়া দর কার্যকর করতে হবে

রেল যাত্রীদের সেবার মান বাড়ান

সড়কে চালকদের হয়রানির অভিযোগ আমলে নিন

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা দূর করুন

অনুমোদনহীন তিন চাকার যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশি মূল্যে খাবার কিনছে কেন

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ করতে হবে

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না কেন

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে চাই সচেতনতা

ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রসঙ্গে

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো ছাড় নয়

বেদে শিশুদের শিক্ষা অর্জনের পথে বাধা দূর করুন

সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

সিসা দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিন

কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী

জাংকফুডে স্বাস্থ্যঝুঁকি : মানুষকে সচেতন হতে হবে

কৃষক কেন পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না

নন্দীগ্রামে নকল কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

গাইড-কোচিং নির্ভরতা কমানো যাচ্ছে না কেন

সংরক্ষিত বন রক্ষা করুন

মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প

শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ

ডেঙ্গু রোগ : মশারি ব্যবহারে অনীহা নয়

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্কভাতা কার্ড প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন

ইবিতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ আমলে নিন

কৃষককে পাটের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের’ রক্ষায় তৎপর হতে হবে

মঙ্গলবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রকৃতি-পরিবেশ সংরক্ষণে শকুনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। একে বলা হয় ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী’। বিশ্বজুড়েই এর অস্তিত্ব আজ বিপন্নপ্রায়।

দেশেও পাখিটিকে আগের মতো দেখা যায় না। বন বিভাগ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন আইইউসিএনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে শকুনের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ। সংখ্যাটি কমতে কমতে ২০১২ সালে এসে দাঁড়ায় ৫৫০টিতে। ২০১৬ সালে ২৪০টি শকুনের কথা জানা গেছে।

শকুন প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। এই পাখির প্রধান খাবার হচ্ছে মৃত পশু। মৃত প্রাণীর দেহ থেকে ক্ষতিকর জীবাণু প্রকৃতিতে ছড়ানোর আগেই তা খেয়ে ফেলে। এজন্য একে বলা হয়- ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী’। গরু ও মানুষের জীবনের জন্য অন্যতম ঝুঁকি হচ্ছে অ্যানথ্রাক্স রোগ। শকুন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত মৃত গবাদিপশুর মাংস খেয়ে হজম করতে পারে। প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জোটের মতে শকুন প্রায় ৪০ প্রকার জীবাণু ধ্বংস করতে পারে।

প্রকৃতির এমন উপকারী এক পাখি আজ বিপন্ন প্রায়। একসময় সারাদেশেই শকুনের দেখা পাওয়া যেত। এখন বৃহত্তর সিলেট এবং সুন্দরবন ছাড়া পাখিটিকে সচরাচর আর কোথাও দেখা যায় না।

প্রকৃতি ও মানুষের জন্য উপকারী পাখির অস্তিত্ব কেন বিপন্ন হয়ে পড়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্র কলেজ অব ভেটেরিনারি মেডিসিনের গবেষণা জানাচ্ছে, গবাদিপশুর চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাকের ব্যবহার শকুন বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শকুন কমে যাওয়ার প্রধান কারণ ছিল ডাইক্লোফেনাক ও কিটোফেন নামের দুটি ওষুধ। গরুর বিভিন্ন রোগে ওষুধ দুটি ব্যবহার করা হতো। গরু মারা গেলেও তার দেহে ওষুধ দুটির কার্যক্ষমতা সক্রিয় থাকত। এ ধরনের গরুর মাংস খাওয়ার কারণে শকুন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

আশার কথা হচ্ছে- ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ এই পাখি রক্ষায় সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। খুলনা ও সিলেটের দুটি এলাকায় ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বলতে চাই, ঘোষিত এলাকায় শকুনের জন্য নিরাপদ খাবার সরবরাহে যেন কোনো ঘাটতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। শকুনরা উঁচু গাছে বাসা বাঁধে। বন ও বৃক্ষ নিধনের কারণে শকুনের আবাসস্থল কমছে। শকুন রক্ষা করতে হলে উঁচু গাছ রক্ষা করতে হবে।

back to top