প্রকৃতি-পরিবেশ সংরক্ষণে শকুনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। একে বলা হয় ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী’। বিশ্বজুড়েই এর অস্তিত্ব আজ বিপন্নপ্রায়।
দেশেও পাখিটিকে আগের মতো দেখা যায় না। বন বিভাগ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন আইইউসিএনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে শকুনের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ। সংখ্যাটি কমতে কমতে ২০১২ সালে এসে দাঁড়ায় ৫৫০টিতে। ২০১৬ সালে ২৪০টি শকুনের কথা জানা গেছে।
শকুন প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। এই পাখির প্রধান খাবার হচ্ছে মৃত পশু। মৃত প্রাণীর দেহ থেকে ক্ষতিকর জীবাণু প্রকৃতিতে ছড়ানোর আগেই তা খেয়ে ফেলে। এজন্য একে বলা হয়- ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী’। গরু ও মানুষের জীবনের জন্য অন্যতম ঝুঁকি হচ্ছে অ্যানথ্রাক্স রোগ। শকুন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত মৃত গবাদিপশুর মাংস খেয়ে হজম করতে পারে। প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জোটের মতে শকুন প্রায় ৪০ প্রকার জীবাণু ধ্বংস করতে পারে।
প্রকৃতির এমন উপকারী এক পাখি আজ বিপন্ন প্রায়। একসময় সারাদেশেই শকুনের দেখা পাওয়া যেত। এখন বৃহত্তর সিলেট এবং সুন্দরবন ছাড়া পাখিটিকে সচরাচর আর কোথাও দেখা যায় না।
প্রকৃতি ও মানুষের জন্য উপকারী পাখির অস্তিত্ব কেন বিপন্ন হয়ে পড়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্র কলেজ অব ভেটেরিনারি মেডিসিনের গবেষণা জানাচ্ছে, গবাদিপশুর চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাকের ব্যবহার শকুন বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শকুন কমে যাওয়ার প্রধান কারণ ছিল ডাইক্লোফেনাক ও কিটোফেন নামের দুটি ওষুধ। গরুর বিভিন্ন রোগে ওষুধ দুটি ব্যবহার করা হতো। গরু মারা গেলেও তার দেহে ওষুধ দুটির কার্যক্ষমতা সক্রিয় থাকত। এ ধরনের গরুর মাংস খাওয়ার কারণে শকুন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
আশার কথা হচ্ছে- ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ এই পাখি রক্ষায় সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। খুলনা ও সিলেটের দুটি এলাকায় ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বলতে চাই, ঘোষিত এলাকায় শকুনের জন্য নিরাপদ খাবার সরবরাহে যেন কোনো ঘাটতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। শকুনরা উঁচু গাছে বাসা বাঁধে। বন ও বৃক্ষ নিধনের কারণে শকুনের আবাসস্থল কমছে। শকুন রক্ষা করতে হলে উঁচু গাছ রক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রকৃতি-পরিবেশ সংরক্ষণে শকুনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। একে বলা হয় ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী’। বিশ্বজুড়েই এর অস্তিত্ব আজ বিপন্নপ্রায়।
দেশেও পাখিটিকে আগের মতো দেখা যায় না। বন বিভাগ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন আইইউসিএনের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে শকুনের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ। সংখ্যাটি কমতে কমতে ২০১২ সালে এসে দাঁড়ায় ৫৫০টিতে। ২০১৬ সালে ২৪০টি শকুনের কথা জানা গেছে।
শকুন প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। এই পাখির প্রধান খাবার হচ্ছে মৃত পশু। মৃত প্রাণীর দেহ থেকে ক্ষতিকর জীবাণু প্রকৃতিতে ছড়ানোর আগেই তা খেয়ে ফেলে। এজন্য একে বলা হয়- ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী’। গরু ও মানুষের জীবনের জন্য অন্যতম ঝুঁকি হচ্ছে অ্যানথ্রাক্স রোগ। শকুন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত মৃত গবাদিপশুর মাংস খেয়ে হজম করতে পারে। প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জোটের মতে শকুন প্রায় ৪০ প্রকার জীবাণু ধ্বংস করতে পারে।
প্রকৃতির এমন উপকারী এক পাখি আজ বিপন্ন প্রায়। একসময় সারাদেশেই শকুনের দেখা পাওয়া যেত। এখন বৃহত্তর সিলেট এবং সুন্দরবন ছাড়া পাখিটিকে সচরাচর আর কোথাও দেখা যায় না।
প্রকৃতি ও মানুষের জন্য উপকারী পাখির অস্তিত্ব কেন বিপন্ন হয়ে পড়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্র কলেজ অব ভেটেরিনারি মেডিসিনের গবেষণা জানাচ্ছে, গবাদিপশুর চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাকের ব্যবহার শকুন বিলুপ্তির অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শকুন কমে যাওয়ার প্রধান কারণ ছিল ডাইক্লোফেনাক ও কিটোফেন নামের দুটি ওষুধ। গরুর বিভিন্ন রোগে ওষুধ দুটি ব্যবহার করা হতো। গরু মারা গেলেও তার দেহে ওষুধ দুটির কার্যক্ষমতা সক্রিয় থাকত। এ ধরনের গরুর মাংস খাওয়ার কারণে শকুন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
আশার কথা হচ্ছে- ‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ এই পাখি রক্ষায় সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। খুলনা ও সিলেটের দুটি এলাকায় ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা বলতে চাই, ঘোষিত এলাকায় শকুনের জন্য নিরাপদ খাবার সরবরাহে যেন কোনো ঘাটতি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। শকুনরা উঁচু গাছে বাসা বাঁধে। বন ও বৃক্ষ নিধনের কারণে শকুনের আবাসস্থল কমছে। শকুন রক্ষা করতে হলে উঁচু গাছ রক্ষা করতে হবে।